বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম।
জবাবঃ
হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ عَدْوَى وَلاَ طِيَرَةَ وَأُحِبُّ
الْفَأْلَ " . قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا الْفَأْلُ قَالَ
" الْكَلِمَةُ الطَّيِّبَةُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ
حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সংক্রমনতা
কিছু নেই, শুভাশুভ কিছু নেই। আমি
‘‘ফাল’’ পছন্দ করি। সাহাবীগণ বললেন, ইয়া
রাসূলাল্লাহ ‘‘ফাল’’ কি? তিনি বললেন, শুভ
কথা। সহীহ, ইবনু মাজাহ ৩৫৩৭, নাসাঈ, তিরমিজী
হাদিস নম্বরঃ ১৬১৫ [আল মাদানী প্রকাশনী] ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই
হাদীসটি হাসান-সহীহ।
অন্য এক হাদীসে এসেছে-
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ
مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الطِّيَرَةُ
مِنَ الشِّرْكِ " . وَمَا مِنَّا إِلاَّ وَلَكِنَّ اللَّهَ يُذْهِبُهُ
بِالتَّوَكُّلِ .
আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে
বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
বলেছেন, শুভাশুভে
বিশ্বাস হল শিরকের অন্তর্গত আমাদের এমন কেউ নেই যার এই ওয়াসওয়াসা আসে না। তবে
আল্লাহ তা‘আলা তাঁর উপর তাওয়াক্কুলের মাধ্যমে তা বিদুরিত করে দেন। সহীহ, ইবনু
মাজাহ ৩৫৩৮, তিরমিজী
হাদিস নম্বরঃ ১৬১৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]
হাদীস শরীফে এসেছে-
أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ،
قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لاَ طِيَرَةَ،
وَخَيْرُهَا الْفَأْلُ ". قَالُوا وَمَا الْفَأْلُ قَالَ "
الْكَلِمَةُ الصَّالِحَةُ يَسْمَعُهَا أَحَدُكُمْ ".
আবূ হুরায়য়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ
আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, শুভ-অশুভ
নির্ণয়ে কোন লাভ নেই, বরং
শুভ লক্ষণ গ্রহণ করা ভাল। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা কবলেন শুভ লক্ষণ কি? তিনি
বললেন ভাল বাক্য যা তোমাদের কেউ শুনে থাকে। (সহীহ বুখারী ৫৩৪৩)
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যদি এই বিশ্বাস করে যে, সুইয়ে সুতা ঢুকানো বা না ঢুকানোর মধ্যে
পরীক্ষায় পাস করা বা না করার কোনো প্রভাব বা ক্ষমতা আছে তাহলে তা শিরকে আকবর হবে।
আর যদি এরুপ বিশ্বাস না করেন বরং সুদৃঢ় বিশ্বাস করেন যে, ভালো মন্দ সব কিছু দেওয়ার মালিক একমাত্র
আল্লাহ তায়ালা, কিন্তু কথাচ্ছলে এরূপ বলে ফেলেছে তবে তা
শিরকে আসগর বলে গণ্য হবে।