আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
193 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।

১. "উম্মতের জন্য কষ্টকর না হলে ইশার সালাত দেরি করে আদায়ের নির্দেশ দেয়া হতো" এই প্রসঙ্গে একটা হাদিস আছে।আমরা জানি, সালাত জামাতের সাথে আদায় করা উচিত। কিন্তু মেয়েদের যেহেতু জামাত নেই, তাই ইশার সালাতের ক্ষেত্রে একজন মেয়ের কখন সালাত আদায় করা উচিত? আযানের পরপরই নাকি দেরি করে? যদি মেয়েটার কাছে তাড়াতাড়ি এবং দেরিতে দুই সময়েই পড়ার সুযোগ থাকে? কখন পড়লে উত্তম হবে?

২. স্কুল কলেজে দেখা যায়, যেদিন ১০ম শ্রেণির শেষ ক্লাস সেদিন বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শিক্ষকরা বিভিন্ন উপদেশ দেন, স্কুলের পক্ষ থেকে উপহার থাকে। বিভিন্ন স্কুলে বিভিন্ন ভাবে বিদায় দেয়া হয় শিক্ষার্থীদেরকে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফ্রি মিক্সিং থাকে, অথবা ইসলামের সাথে সম্পর্কিত তেমন কিছু থাকে না। এখন দিনদিন বিদায় অনুষ্ঠানের নামে বেপর্দা, অশালীন বিষয় বেড়ে যাচ্ছে।
তো এসবের মধ্যেই একটা স্কুলে ব্যাতিক্রম দেখলাম। সেটা শুধুমাত্র ছেলেদের স্কুল। সেখানে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিদায় উপলক্ষে ছেলেরা সবাই মিলে কুরআন খতমের আয়োজন করেছে। এটা কি বিদআত হবে? তারা তো কুরআন সুন্নাহয় আছে মনে করে করছে না। নিজেরা মিলে উদ্যোগ নিয়েছে শেষ দিন হিসেবে একটা ভালো কাজ করার। শুধু এটাই ভালো লাগছে, বাকিদের অনুসরণ করে নাচগান না করে, তারা আল্লাহর কালাম তিলাওয়াতের উদ্যোগ নিয়েছে। সুবহান আল্লাহ!  
★এমন উদ্যোগ নেয়া কি জায়েজ আছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বিদায় উপলক্ষে?
★আমি কি তাদের এই কাজকে সমর্থন জানাতে পারবো? তাদের এই কাজ বাকিদের সাথে শেয়ার করতে পারবো, যেন তারাও উৎসাহ পায় এমন উদ্যোগ নেয়ার?

৩. "রেগ ডে" নামক একটা দিবস পালন করা হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। ঐদিন সবাইকে একটা করে গেন্জি দেয়া হবে পরার জন্য। গেঞ্জি ও স্যারদের হাদিয়া বাবদ চাঁদা তুলেছে। যারা টাকা দিবে, শুধু তারাই গেঞ্জি পাবে। আমি মূলত স্যারদের হাদিয়ার উদ্দেশ্যেই ifatwa থেকে পরামর্শ নিয়ে তারপর টাকা দিয়েছি। এখন আমি তো কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নিবো না, গেঞ্জি পরার তো প্রশ্নই উঠে না। তবে গেন্জিটা যদি আমি না নিই, তাহলে সেটা অন্য কোনো বোনকে পরতে বলা হতে পারে, যা তাকে বেপর্দা বানাবে।

★ তার চেয়ে আমি যদি কোনো কিছুতে অংশ না নিয়ে কেবল গেন্জিটা নিয়ে বাসায় চলে আসি এবং আমার পরিবারের কোনো পুরুষকে সেটা পরতে দিই অথবা সেটা দান করে দিই কাউকে, তাহলে কি তা আমার জন্য জায়েজ হবে? কারণ গেঞ্জিটা তো আমার দেয়া টাকা থেকেই কেনা হয়েছে। তাই বাসার কাউকে পরতে দেয়া বা দান করে দেয়া যাবে?

জাযাকুমুল্লাহ খইরন।
closed
by
বিদায় সংবর্ধনা উপলক্ষে কুরআন খতমের আয়োজন করা হয়েছিল একদি মসজিদে।       

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
selected by
 
Best answer
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
আওয়াল ওয়াক্তে নামাজ পড়া উত্তম।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মহিলাদের জন্য ওয়াক্তের শুরুতে নামাজ আদায় করা উত্তম হবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ كَيْفَ أَنْتَ إِذَا كَانَتْ عَلَيْكَ أُمَرَاءُ يُمِيتُونَ الصَّلَاةَ اَوْ يُؤَخِّرُوْنَهَا عَنْ وَقْتِهَا قُلْتُ فَمَا تَأْمُرُنِي قَالَ صَلِّ الصَّلَاةَ لِوَقْتِهَا فَإِنْ أَدْرَكْتَهَا مَعَهُمْ فَصَلِّ فَإِنَّهَا لَكَ نَافِلَةٌ.

আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, সে সময় তুমি কী করবে যখন তোমাদের ওপর শাসকবৃন্দ এমন হবে, যারা সলাতের প্রতি অমনোযোগী হবে অথবা তা সঠিক সময় হতে পিছিয়ে দিবে? আমি বললাম, আপনি আমাকে কী নির্দেশ দেন? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, এ সময়ে তুমি তোমার সলাতকে সঠিক সময়ে আদায় করে নিবে। অতঃপর তাদের সাথে পাও, আবার আদায় করবে। আর এ সলাত (সালাত/নামায/নামাজ) তোমার জন্য নফল হিসেবে গণ্য হবে।
সহীহ : মুসলিম ৬৪৮, আবূ দাঊদ ৪৩১, ইবনু মাজাহ্ ১২৫৬, তিরমিযী ১৭৬, দারেমী ১২৬৪, আহমাদ ২১৩২৪, সহীহ আল জামি‘ ৪৫৮৮।

এই হাদীসের ব্যাখ্যায় মিনহাজ গ্রন্থে আছেঃ 

وفيه: أن الإمام إذا أخرها عن أول وقتها يستحب للمأموم أن يصليها في أول الوقت منفردا، ثم يصليها مع الإمام فيجمع فضيلتي أول الوقت والجماعة، فلو أراد الاقتصار على إحداهما فهل الأفضل الاقتصار على فعلها منفردا في أول الوقت أم الاقتصار على فعلها جماعة في آخر الوقت؟ فيه خلاف مشهور لأصحابنا، 
সারমর্মঃ 
এই হাদীসে নামাজের ওয়াক্তের শুরুতে নামাজ পড়ার প্রতি উদ্ভুদ্ধ করা হয়েছে।

کذا فی الشامیۃ:
أن أداء الصلاة في أول الوقت أفضل، إلا إذا تضمن التأخير فضيلة لا تحصل بدونه، كتكثير الجماعة؛ ولهذا كان أولى للنساء أن يصلين في أول الوقت؛ لأنهن لا يخرجن إلى الجماعة، كذا في مبسوطي شمس الأئمة وفخر الإسلام.
(رد المحتار،1/ 367)
সারমর্মঃ
নিশ্চয়ই আওয়াল ওয়াক্তে নামাজ পড়া উত্তম। 
কিন্তু যদি দেড়ি করে পড়ার ক্ষেত্রে ফজিলত থাকে,যাহা দেড়িতে না পড়লে পাওয়া যাবেনা,তাহলে দেড়ি করে পড়বে।
যেমন জামা'আত বড় হওয়া ইত্যাদি। 
এই কারনে মহিলাদের জন্য আওয়াল ওয়াক্তে নামাজ উত্তম।
কেননা তাদের জামা'আতের জন্য বের হতে হয়না।

(০২)
এটিকে আবশ্যকীয় মনে না করে করা হলে কোনো ভাবেই নেই।
আপনি সমর্থন জানাতে পারেন।
,
(০৩)
উক্ত গেঞ্জিকে কাউকে দিলে যেহেতু বেপর্দা বানানো বিষয় রয়েছে,তাই আপনি সেই গেঞ্জি নিয়ে আসবেন।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ         

وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢] 

সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}

(০৪)
হ্যাঁ আপনি পরিবারের কাউকে দিতে পারবেন,কাউকে দান করতেও পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...