উত্তরঃ
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
ইশরাকের নামাজ কমপক্ষে ২ রাকাত।
সর্বোচ্চ চার রাকাত।
কিতাবুন নাওয়াজেল (৩/১৩৭)
সুতরাং আপনার ইচ্ছা,২ রাকাতও পড়তে পারেন,আবার ৪ রাকাতও পড়তে পারেন।
,
হাদীস শরীফে উভয়টির কথাই উল্লেখ আছে।
হাদিস শরিফে এসেছে
عن أنس رضي اللّٰہ عنہ قال: قال رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم: من صلی الفجر في جماعۃ ثم قعد بذکر اللّٰہ حتی تطلع الشمس ثم صلی رکعتین کانت لہ کأجر حجۃ وعمرۃ، قال: قال رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم تامۃ تامۃ۔ (سنن الترمذي ۱؍۱۳۰)
রাসুল সাঃ বলেন যে ব্যাক্তি মসজিদে জামাতের সাথে ফজরের নামাজ আদায় করার পর সূর্য উদিত হওয়া পর্যন্ত সেখানেই আল্লাহর যিকিরে বসে থাকে,অতঃপর ২ রাকাত নামাজ আদায় করে,তাহলে সে হজ ও উমরার ছওয়াব পাবে।
অন্যত্রে এসেছে
عن نعیم بن عمارۃ رضي اللّٰہ عنہ قال: سمعت رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم یقول: یقول اللّٰہ عزوجل یا ابن اٰدم لا تعجزني من أربع رکعات في أول نہارک أکفاک أخرہ۔ (سنن أبي داؤد ۱؍۱۸۳)
যার সারমর্ম হলো দিনের শুরুতে ৪ রাকাত নামাজ পড়তে তুমি যেনো অপারগ না হও,,,
★ইশরাকের নামাজ ২-২ রাকাত পড়া যাবে,সরাসরি ৪ রাকাতও পড়া যাবে।
তবে চাশতের নামাজ একেবারে ৪ রাকাত পড়াই উত্তম।
(ফাতাওয়ায়ে উসমানী ১/৩০৪)
(০২)
কেহ যদি বাসায় এসে কুরআন মাজিদ তেলাওয়াত,যিকির আযকার,দুয়ায় লিপ্ত থাকে,অতঃপর বাসাতে ইশরাক নামাজ আদায় করে,তাহলেও সে ইশরাক নামাজের পূর্ণ ফজিলত পাবে। ইনশাআল্লাহ.
তবে মসজিদে ইশরাক পর্যন্ত বসে যিকির আযকার করে সেখানেই ইশরাকের নামাজ পড়া বেশি উত্তম।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/২৫৮)
হাদিস শরিফে এসেছে
عن أنس رضي اللّٰہ عنہ قال: قال رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم: من صلی الفجر في جماعۃ ثم قعد بذکر اللّٰہ حتی تطلع الشمس ثم صلی رکعتین کانت لہ کأجر حجۃ وعمرۃ، قال: قال رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم تامۃ تامۃ۔ (سنن الترمذي ۱؍۱۳۰)
রাসুল সাঃ বলেন যে ব্যাক্তি মসজিদে জামাতের সাথে ফজরের নামাজ আদায় করার পর সূর্য উদিত হওয়া পর্যন্ত সেখানেই আল্লাহর যিকিরে বসে থাকে,অতঃপর ২ রাকাত নামাজ আদায় করে,তাহলে সে হজ ও উমরার ছওয়াব পাবে।