আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
219 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (12 points)
আসসালামু'আলাইকুম ।
কোন মুসলিম যদি গান বাজনা হারাম জেনেও যখন সে গান শুনে অন্য কেউ নিষেধ করার পর বলে নবী-রাসূলগণ এখন নেই,আগে ছিলো - এরকম কথা বলে তাকে কি তাকফির করা যাবে? কেউ যদি অজ্ঞতাবশত তাকফির করে ফেলে তাকে এবং কিছুক্ষণের মধ্যে তাওবা করে, তার বিধান কী?
২) বর্তমানের স্কুল কলেজে সন্তান দেয়া কি হারাম হবে যেহেতু সেখানে যিনা ব্যভিচার, ফ্রি মিক্সিং, গান বাজনাকে অহরহ প্রমোট করা হয়? আর সেখানকার বইগুলোতে যেমন বিজ্ঞান বইতে নাস্তিকতা, আর সাহিত্য বইতে ব্যভিচারের গল্প খুব রসিয়ে আলাপ করা হয়; হিন্দুদের কালচারকে প্রমোট করা হয়; তাদের কথিত দেবদেবীদের কাহিনী ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে!! ওখানে দ্বীন ধর্ম ইসলাম বলতে কিছুই নেই। বরং সেক্যুলার, মুনাফিক হবার সম্ভাবনা বেশি স্কুল কলেজে সন্তান পড়ালে....

৩) পরিবারে থেকে যদি মেয়ের প্রতি দায়িত্ব পালনে মেয়ের বাবা ভাই গড়িমসি করে, খরচ দিতে চায় না, আর মেয়েকে অমর্যাদা করে, এমতাবস্থায় মেয়ে কি নিজের দায়িত্ব নিয়ে ঘর ছেড়ে বের হয়ে যেতে পারবে? চাকরি করে নিজে সংস্থান করে চলতে পারবে দুনিয়ায়?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১) শরীয়তের বিধান হলো  কোন মুসলিমের মধ্যে নামাজ না পড়া, উপহাস করা ইত্যাদি দেখতে পেলে তাকে মুশরিক বা কাফের বলে ডাকা যাবে না। 

আল্লাহ বলেন,  
ولا تلمزوا انفسكم ولا تناولوا بالالقاب
তোমরা কাউকে মন্দ লকবে ডেকো না’… (হুজুরাত ৪৯/১১)।

 উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় ক্বাতাদাহ বলেন, এর অর্থ হ’ল, কাউকে হে মুনাফিক, হে ফাসেক ইত্যাদি বলে ডাকা যাবে না’ (বায়হাক্বী শু‘আব হা/৬৭৪৮, কুরতুবী, তাফসীর হুজুরাত ১১ আয়াত)। 

রাসূল (ছাঃ) বলেন, যাকে কাফের বলা হবে সে সত্যিকারে কাফের না হ’লে যে কাফের বলল তার দিকেই সেটা ফিরে আসবে (মুসলিম হা/৬০; বুখারী হা/৬১০৩)। 

তিনি বলেন, কোন ব্যক্তি কর্তৃক তার (মুসলিম) ভাইকে কাফের বলাটা তাকে হত্যা করার মত অপরাধ (বুখারী হা/৬০৪৭; মিশকাত হা/৩৪১০)। 

★তবে কাহারো ভিতর ইসলাম বিদ্বেষ মুলক কোনো আচরন থাকলে,বা  তাকে  এরূপ কাজ করতে দেখলে, তোমার এ কাজটি কুফরী পর্যায়ভুক্ত বা তোমার মধ্যে মুনাফিকের এই আলামতটা দেখা যাচ্ছে এরূপ বলা যেতে পারে।
,
(০২) বর্তমান যদি কোনো স্কুল কলেজে  যিনা ব্যভিচার, ফ্রি মিক্সিং, গান বাজনাকে অহরহ প্রমোট করা হয়,আর সেখানকার বইগুলোতে যেমন বিজ্ঞান বইতে নাস্তিকতা, আর সাহিত্য বইতে ব্যভিচারের গল্প খুব রসিয়ে আলাপ করা হয়; হিন্দুদের কালচারকে প্রমোট করা হয়; তাদের কথিত দেবদেবীদের কাহিনী ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে!! ওখানে দ্বীন ধর্ম ইসলাম বলতে আসলেই কিছুই না থাকে,বরং সেক্যুলার, মুনাফিক হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে,,,
(উপরের সব তথ্য যদি সঠিক থাকে)
 তাহলে এমন স্কুল কলেজে মুসলিম সন্তানদের পড়ানো জায়েজ নেই।   
,
(০৩)
এমতাবস্থায় মেয়ে বিয়ে বসার আগ পর্যন্ত বাসা থেকে বের হয়ে যেতে পারবেনা। 
পরিবারের অন্যান্য  সদস্য বা আত্মীয় স্বজনদেরকে দিয়ে বাবাকে বুঝাইতে হবে।  

★মহিলাদের চাকুরী বিষয়ে বিস্তারিতঃ   
মহিলাদের জন্য পর্দা রক্ষা করে ব্যবসা বাণিজ্য ও চাকুরী করা জায়েজ আছে। তবে এক্ষেত্রে যেন পর্দা লঙ্ঘণ না হয়, সেই সাথে শরয়ী অন্য কোন বিধান লঙ্ঘিত না হয়, সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।

হ্যাঁ, যদি উপার্জনক্ষম কোন মাহরাম আত্মীয় থাকে, বা অভিভাবক থাকে, তাহলে মহিলাদের জন্য ব্যবসা ও চাকরীর জন্য বাহিরে যাওয়া উচিত নয়।

শরয়ী পর্দা ও বিধান অনুসরণ করে মহিলাদের ব্যবসা বাণিজ্য ও চাকুরী করাতে কোন নিষেধাজ্ঞা আসেনি। তা’ই শরয়ী কোন কারণ ছাড়া মহিলাদের ব্যবসা করা ও চাকুরী করাকে হারাম বলার সুযোগ নেই।

-তাবয়ীনুল হাকায়েক ৬/১১৭; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৫৫; আলবাহরুর রায়েক ১/২০০; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৩৮, ফিকহুন নাওয়াযিল ৩/৩৫৯

তবে যদি পর্দা লঙ্ঘণ হয়, পুরুষদের মিলে একসাথে কাজ করতে হয়, সেই সাথে ফিতনার আশংকা হয়, তাহলে জায়েজ নেই।

ولها ان تقوم بالتدريس والبيع والشراء والصناعة من نسيج وصيغ وغزل وخياطة ونحو ذلك إذا لم يفض إلى مالا يجوز شرعا من خلوتها بأجنبى، أو اختلاطها برجال غير محارم اختلاطا تحدث منه فتنة أو يؤدى إلى فوات ما يجب عليها نحو اسرتها دون أن تقيم مقامها من يقوم بالواجب عنها ودون رضاهم (فقه النوازل-3/359


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 123 views
...