ওয়া আলাইকুমুস সালাম
ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম।
জবাবঃ
আল্লাহ তায়ালা বলেন-
يَا أَيُّهَا
الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نُودِيَ لِلصَّلَاةِ مِن يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا
إِلَىٰ ذِكْرِ اللَّهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ ۚ ذَٰلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِن كُنتُمْ
تَعْلَمُونَ
মুমিনগণ, জুমআর দিনে যখন নামাযের আযান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের পানে ত্বরা কর
এবং বেচাকেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ। (সূরা জুমআ)
নামাজ পড়া ফরজ। আল্লাহ তায়ালা বলেন-
وَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ وَارْكَعُوا مَعَ
الرَّاكِعِينَ
আর নামায কায়েম কর, যাকাত দান
কর এবং নামাযে অবনত হও তাদের সাথে, যারা অবনত হয়। ( সূরা বাকারা, আয়াত ৪৩)
অন্যত্র আল্লাহ তায়ালা বলেন-
فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ
অতএব আপনার পালনকর্তার উদ্দেশ্যে নামায পড়ুন এবং কোরবানী করুন। (সূরা কাউসার, আয়াত ২)
যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় নামাজ ত্যাগ করে তার থেকে (আল্লাহর ) যিম্মদারি উঠে যায়।
হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ أَبِي
الدَّرْدَاءِ، قَالَ أَوْصَانِي خَلِيلِي ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ "
وَلاَ تَتْرُكْ صَلاَةً مَكْتُوبَةً مُتَعَمِّدًا فَمَنْ تَرَكَهَا مُتَعَمِّدًا
فَقَدْ بَرِئَتْ مِنْهُ الذِّمَّةُ وَلاَ تَشْرَبِ الْخَمْرَ فَإِنَّهَا مِفْتَاحُ
كُلِّ شَرٍّ " .
আবূ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার প্রিয় বন্ধু (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
আমাকে এই উপদেশ তুমি স্বেচ্ছায় ফরয নামায ত্যাগ করো না। যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায়
তা ত্যাগ করে তারথেকে (আল্লাহর ) যিম্মদারি উঠে যায়। তুমি মদ্যপান করো না। কেননা
তা সর্বপ্রকার অনিষ্টের চাবিকাঠি। (সুনানে ইবনে মাজাহ ৪০৩৪)
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
১. জুমআর নামাজ
পড়াও ফরজ। শুক্রবারে জহরের নামাজের পরিবর্তে জুমআর নামাজ পড়তে হবে, এটাই শরীয়তের বিধান। সুতরাং কেউ যদি জুমআর নামাজ না পড়ে তাহলে সে গুনাহগার
হবে।
২. তাকে বলবেন
উভয়টিই আগে। কারণ, ঈমান আনতে হলেও তো ন্যূনতম ঈমান সম্পর্কে
ইলম জরুরী। আবার ঈমান ছাড়াও তো ইলম কোন কাজে আসবে না।