বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/20044 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
আপনি বাংলাদেশের যে সব স্কলারদের কথা বলেছেন, তারা মাশাআল্লাহ অনেক বিজ্ঞ আলেম, তাদের আলোচনা অত্যান্ত সুন্দর। তবে তারা কোনো মাযহাবকে ফলো করেন কি না ? তা আমাদের জানা নেই। বরং আমাদের সাধারণ জানামতে তারা মুজতাহিদের ভুমিকায় আলোচনা করে থাকেন( আমাদের জানা ভুলও হতে পারে)। তাদের ইজতেহাদ তাদের জন্য দলীল বা গ্রহণযোগ্য কিন্তু কোনো এক মাযহাবের মূলনীতির অনুসরণ ব্যতীত জনগণের ব্যাপারে তাদের ফাতাওয়া ফিকহের মূলনীতি অনুসারে গ্রহণযোগ্য নয়। তাই তাদের কাছ থেকে ফিকহ বা আকিদা গ্রহণ করা যাবে না। আমি আবার বলছি যে, চার মাযহাবের উপর উলামাদের ইজমা হয়েছে। সুতরাং চার মাযহাবের যে কোনো একটিকে মানতে হবে। কিন্তু যেহেতু তারা কোনো মাযহাবকে ফলো করেন না, তাই তাদের কাছ থেকে কোনো মাসআলা নেয়া যাবে না।(শেষ)
(২)
https://www.ifatwa.info/3712 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
দ্বিতীয় প্রকারে পিতা-মাতা ছাড়াও আরও অনেকের জন্য নাফক্বাহ ওয়াজিব হয়।
এ বিষয়ে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত আছে,
وَالنَّفَقَةُ لِكُلِّ ذِي رَحِمٍ مَحْرَمٍ إذَا كَانَ صَغِيرًا فَقِيرًا، أَوْ كَانَتْ امْرَأَةً بَالِغَةً فَقِيرَةً، أَوْ كَانَ ذَكَرًا فَقِيرًا زَمِنًا، أَوْ أَعْمَى وَيَجِبُ ذَلِكَ عَلَى قَدْرِ الْمِيرَاثِ وَيُجْبَرُ كَذَا فِي الْهِدَايَةِ وَتُعْتَبَرُ أَهْلِيَّةُ الْإِرْثِ لَا حَقِيقَتُهُ كَذَا فِي النُّقَايَةِ.
প্রত্যেক আত্মীয়র জন্য নিকটত্বের ধারাবাহিতায় নাফক্বাহ ওয়াজিব হবে,যদি তারা নাবালিগ ও ফকির হয়।অথবা ফকির বালিগা মহিলা হয়।অথবা বার্ধক্য বা রোগগ্রস্ত উপার্জনে অক্ষম(ফকির)অথবা অন্ধ হয়।এবং তা মিরাসের ভিত্তিতে ওয়াজিব হবে।অর্থ্যাৎ উক্ত ধনী ব্যক্তিকে তাদের উপর তাদের কাছ থেকে তার জন্য প্রাপ্য মিরাস অনুযায়ী নাফক্বাহ দিতে তাকে বাধ্য করা হবে।এক্ষেত্রে ওরাসতের আহল হওয়াই যতেষ্ট বাস্তবে ওয়ারিছ হওয়া শর্ত নয়।নুক্বায়া কিতাবে এভাবেই বর্ণিত রয়েছে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৫৬৬)
প্রাপ্তবয়স্কা মহিলা গরিব/ফকির হলে কার উপর তার নাফক্বাহ ওয়াজিব?
এমন প্রশ্নের জবাবে বলা যায়,
প্রথমে তার পিতার উপর তারপর স্বামীর উপর তারপর সন্তানের উপর।এদের মধ্যে যদি কেউ জীবিত না থাকে অথবা নাফক্বাহ দেওয়ার সামর্থ্য না থাকে, তাহলে ওরাসতে নিকটত্বের ভিত্তিতে নিকটাত্মীয় উপর উক্ত মহিলার নাফক্বাহ ওয়াজিব হবে।
وَتَجِبُ نَفَقَةُ الْإِنَاثِ الْكِبَارِ مِنْ ذَوِي الْأَرْحَامِ، وَإِنْ كُنَّ صَحِيحَاتِ الْبَدَنِ إذَا كَانَ بِهِنَّ حَاجَةٌ إلَى النَّفَقَةِ كَذَا فِي الذَّخِيرَةِ
প্রাপ্তবয়স্কা মহিলার নাফক্বাহ ওরাসতে নিকটত্বের ভিত্তিতে নিকটাত্মীয় উপর ওয়াজিব হবে,যখন তার নাফক্বাহর প্রয়োজন হবে।।যদিও সে শারিরিকভাবে সুস্থ থাকে না কেন।