আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
159 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (9 points)
(১)শায়খ আহমাদুল্লাহ সাহেবের ওয়াজ  কি শুনা যাবে? েসই অনুযায়ী কি আমল করা যাবে?আমি হানাফি মাযহাবে বিশ্বাসী।তবে উনি হানাফি মাযহাব বিরোধী কোনো কথা বলেন না দয়া করে দলিল সহ কারণ জানাবেন।(২)বোনের প্রতি নিজ রক্তের ভাইয়ের দায়িত্ব গুলো দয়া করে দলিল সহ জানাবেন।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/20044 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
আপনি বাংলাদেশের যে সব স্কলারদের কথা বলেছেন, তারা মাশাআল্লাহ অনেক বিজ্ঞ আলেম, তাদের আলোচনা অত্যান্ত সুন্দর। তবে তারা কোনো মাযহাবকে ফলো করেন কি না ? তা আমাদের জানা নেই। বরং আমাদের সাধারণ জানামতে  তারা মুজতাহিদের ভুমিকায় আলোচনা করে থাকেন( আমাদের জানা ভুলও হতে পারে)। তাদের ইজতেহাদ তাদের জন্য দলীল বা গ্রহণযোগ্য কিন্তু কোনো এক মাযহাবের মূলনীতির অনুসরণ ব্যতীত জনগণের ব্যাপারে তাদের ফাতাওয়া ফিকহের মূলনীতি অনুসারে গ্রহণযোগ্য নয়। তাই তাদের কাছ থেকে ফিকহ বা আকিদা গ্রহণ করা যাবে না। আমি আবার বলছি যে, চার মাযহাবের উপর উলামাদের ইজমা হয়েছে। সুতরাং চার মাযহাবের যে কোনো একটিকে মানতে হবে। কিন্তু যেহেতু তারা কোনো মাযহাবকে ফলো করেন না, তাই তাদের কাছ থেকে কোনো মাসআলা নেয়া যাবে না।(শেষ)

(২)
https://www.ifatwa.info/3712 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
দ্বিতীয় প্রকারে পিতা-মাতা ছাড়াও আরও অনেকের জন্য নাফক্বাহ ওয়াজিব হয়।
এ বিষয়ে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত আছে,
وَالنَّفَقَةُ لِكُلِّ ذِي رَحِمٍ مَحْرَمٍ إذَا كَانَ صَغِيرًا فَقِيرًا، أَوْ كَانَتْ امْرَأَةً بَالِغَةً فَقِيرَةً، أَوْ كَانَ ذَكَرًا فَقِيرًا زَمِنًا، أَوْ أَعْمَى وَيَجِبُ ذَلِكَ عَلَى قَدْرِ الْمِيرَاثِ وَيُجْبَرُ كَذَا فِي الْهِدَايَةِ وَتُعْتَبَرُ أَهْلِيَّةُ الْإِرْثِ لَا حَقِيقَتُهُ كَذَا فِي النُّقَايَةِ.
প্রত্যেক আত্মীয়র জন্য নিকটত্বের ধারাবাহিতায় নাফক্বাহ ওয়াজিব হবে,যদি তারা নাবালিগ ও ফকির হয়।অথবা ফকির বালিগা মহিলা হয়।অথবা বার্ধক্য বা রোগগ্রস্ত উপার্জনে অক্ষম(ফকির)অথবা অন্ধ হয়।এবং তা মিরাসের ভিত্তিতে ওয়াজিব হবে।অর্থ্যাৎ উক্ত ধনী ব্যক্তিকে তাদের উপর তাদের কাছ থেকে তার জন্য প্রাপ্য মিরাস অনুযায়ী নাফক্বাহ দিতে তাকে বাধ্য করা হবে।এক্ষেত্রে ওরাসতের আহল হওয়াই যতেষ্ট বাস্তবে ওয়ারিছ হওয়া শর্ত নয়।নুক্বায়া কিতাবে এভাবেই বর্ণিত রয়েছে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৫৬৬)

প্রাপ্তবয়স্কা মহিলা গরিব/ফকির হলে  কার উপর তার নাফক্বাহ ওয়াজিব?
এমন প্রশ্নের জবাবে বলা যায়,
প্রথমে তার পিতার উপর তারপর স্বামীর উপর তারপর সন্তানের উপর।এদের মধ্যে যদি কেউ জীবিত না থাকে অথবা নাফক্বাহ দেওয়ার সামর্থ্য না থাকে, তাহলে ওরাসতে নিকটত্বের ভিত্তিতে নিকটাত্মীয় উপর  উক্ত মহিলার  নাফক্বাহ ওয়াজিব হবে।
وَتَجِبُ نَفَقَةُ الْإِنَاثِ الْكِبَارِ مِنْ ذَوِي الْأَرْحَامِ، وَإِنْ كُنَّ صَحِيحَاتِ الْبَدَنِ إذَا كَانَ بِهِنَّ حَاجَةٌ إلَى النَّفَقَةِ كَذَا فِي الذَّخِيرَةِ
প্রাপ্তবয়স্কা মহিলার নাফক্বাহ ওরাসতে নিকটত্বের ভিত্তিতে নিকটাত্মীয় উপর  ওয়াজিব হবে,যখন তার নাফক্বাহর প্রয়োজন হবে।।যদিও সে শারিরিকভাবে সুস্থ থাকে না কেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...