بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
যদি কাহারো পুরা বা অধিকাংশ কামাই হারাম হয়,তাহলে তার দান মসজিদে
বা মাদ্রাসায় গ্রহন করা জায়েজ নেই।যদি কাহারো
কামাই হালাল হারাম মিশ্রিত হয়,এক্ষেত্রে যদি হালাল বেশি হয়,তাহলে তার সম্পদ মসজিদ নির্মান বা দ্বীনি কোন কাজে দান হিসেবে নেওয়া জায়েজ
আছে।অন্যথায় জায়েজ নেই।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا
شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي الْمَلِيحِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ
صلي الله عليه وسلم قَالَ " لَا يَقْبَلُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ صَدَقَةً مِنْ
غُلُولٍ وَلَا صَلَاةً بِغَيْرِ طُهُورٍ " .
আবুল মালীহ্ (রহঃ) হতে তার পিতা সূত্রে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আল্লাহ আত্মসাৎকৃত মালের দান এবং পবিত্রতা ছাড়া সলাত কবুল
করেন না।
(আবু দাউদ ৫৯.নাসায়ী (অধ্যায়ঃ পবিত্রতাম অনুঃ
উযু ফারয, হাঃ ১৩৯ এবং অধ্যায়ঃ যাকাত, অনুঃ
হারাম পন্থায় উপার্জিত মালের সাদাকা, হাঃ ২৫২৩), ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ আল্লাহ পবিত্রতা
ব্যতীত সালাত কবুল করেন না, হাঃ ২৭১) হাফিয ইবনু হাজার ‘ফাতহুল
বারী’ (৩/৩২৬) গ্রন্থে বলেন, এর সানাদ সহীহ।)
عن أبي ہریرۃ رضي اللّٰہ عنہ قال: قال رسول اللّٰہ صلی
اللّٰہ علیہ وسلم: … لا یقبل اللّٰہ إلا الطیب۔ (صحیح البخاري / باب الصدقۃ من کسب
طیب ۱؍۱۸۹)
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেনঃ
আল্লাহ তাআ’লা হালাল ও পবিত্র মাল ছাড়া গ্রহণ করেন না।
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ
سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ يَسَارٍ، أَنَّهُ
سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
" مَا تَصَدَّقَ أَحَدٌ بِصَدَقَةٍ مِنْ طَيِّبٍ وَلاَ يَقْبَلُ اللَّهُ
إِلاَّ الطَّيِّبَ إِلاَّ أَخَذَهَا الرَّحْمَنُ بِيَمِينِهِ وَإِنْ كَانَتْ
تَمْرَةً تَرْبُو فِي كَفِّ الرَّحْمَنِ حَتَّى تَكُونَ أَعْظَمَ مِنَ الْجَبَلِ
كَمَا يُرَبِّي أَحَدُكُمْ فَلُوَّهُ أَوْ فَصِيلَهُ "
সাঈদ ইবনু ইয়াসার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি আবু হুরাইরা
(রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেনঃ যে লোক বৈধ উপার্জন হতে দান খায়রাত করে, আর আল্লাহ তাআ’লা
হালাল ও পবিত্র মাল ছাড়া গ্রহণ করেন না, সেই দান দয়াময় রাহমান
স্বয়ং ডান হাতে গ্রহণ করেন, তা যদি সামান্য একটি খেজুর হয় তাহলেও।
এটা দয়াময় রাহমানের হাতে বাড়তে বাড়তে পাহাড় হতেও বড় হয়ে যায়; যেভাবে তোমাদের কেউ তার দুধ ছাড়ানো গাভী বা ঘোড়ার বাচ্চাকে লালন পালন করে
থাকে।(সহীহ, তিরমিজি ৬৬১ জিলালুল জুন্নাহ (৬২৩), তা’লীকুর রাগীব, ইরওয়া (৮৮৬), বুখারী, মুসলিম)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
প্রশ্নোক্ত বর্ণনানুপাতে আপনার দানকৃত টাকার কিছু অংশে সন্দেহ
থাকলেও অধিকাংশ টাকা হালাল হওয়ার ব্যাপারে যেহেতু আপনি নিশ্চিত আছেন বিধায় আপনার দানকৃত
টাকা আল্লাহ তায়ালার নিকট গ্রহণযোগ্য হবে বলে আশা করা যায় এবং আপনি উক্ত সদকার সওয়াবও
পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।