জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحمن
(০১)
কোরআনে কারীমে মু'মিনদের উত্তম ও প্রশংসনীয় গুনাবলীর আলোচনা করতে যেয়ে বলা হয়,
ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻫُﻢْ ﻋَﻦِ ﺍﻟﻠَّﻐْﻮِ ﻣُﻌْﺮِﺿُﻮﻥَ
যারা অনর্থক কথা-বার্তায় নির্লিপ্ত,(মু'মিনুন-৩)
ﻭَﺇِﺫَﺍ ﻣَﺮُّﻭﺍ ﺑِﺎﻟﻠَّﻐْﻮِ ﻣَﺮُّﻭﺍ ﻛِﺮَﺍﻣًﺎ
এবং যখন অসার ক্রিয়াকর্মের সম্মুখীন হয়, তখন মান রক্ষার্থে ভদ্রভাবে চলে যায়।(ফুরকান-৭৩)
ইসলামে দু’ ধরণের খেলাধুলাকে বৈধ রেখেছে দু’শর্ত সাপেক্ষে।
যে দুই ধরণের খেলা জায়েজ-
১-শারিরীক উপকার নিহিত।যেমন দৌড়, ফুটবল ও ক্রিকেট ও হতে পারে।
২-দ্বীনের শত্রুর বিরুদ্ধে প্রশিক্ষণমূলক খেলা। যেমন তীরন্দাজী, ঘোড় দৌড় ইত্যাদি।
এসব খেলা জায়েজ থাকার জন্য শর্ত দু’টি। যথা-
১- ফরজ ও ওয়াজিব কোন ইবাদতে বিঘ্ন না হতে হবে।
২-এর সাথে আর কোন গোনাহের বিষয় মিলিত না হতে হবে। যেমন জুয়া, বেপর্দা ইত্যাদি।
এছাড়া বাকি সব খেলাই অহেতুক হওয়ায় মাকরূহ বা নাজায়েজ।
মোবাইল,কম্পিউটারের যাবতীয় ভিডিও গেম এ অনর্থক খেলার মাঝে শামিল। যেহেতু এর দ্বারা শারিরিক কোন উপকার নেই। অহেতুক সময় নষ্ট করা, তাই এটি অপছন্দনীয়। কিন্তু বর্তমানের ভিডিও গেমগুলোতে নানা ধরণের হারাম মিউজিক থাকে।যা সম্পূর্ণই নাজায়েজ।
তাই কোনোভাবেই এসব গেইম খেলার অনুমতি দেওয়া যায়না।
বিস্তারিত জানুনঃ
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত গেম খেলার অনুমতি শরীয়ত দেয়না
তাই এহেন গেম খেলা থেকে বিরত থাকা উচিত।
,
(০২)
যেহেতু অনলাইনে গেম খেলাকে ইসলামী স্কলারগন অনুমতি প্রদান করেননা।
তাই এ ধরনের যেকোনো গেম খেলে ৩য় পক্ষ পুরুস্কার দিলেও তাহা নাজায়েজ হবে।
কেননা মূল এই গেম খেলাই নাজায়েজ।