আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
285 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (97 points)
আসসালামু আলাইকুম
(১) মাঝেমধ্যে আমি একটি গেম খেলি..  এই গেমটিতে কিছুক্ষণ খেললে কিছু কয়েন দেয়, সেই কয়েন একটা লটারি বক্সে ঢালতে হয়, লটারিতে ভালো পণ্য পেলে গেমটি খেলতে আরও মজা এবং সুবিধা হয়, ভালো পণ্য না পেলে আগের পণ্যগুলো দিয়েই খেলতে থাকতে হয়। এই লটারিতে আমার টাকা ব্যায় হচ্ছে না, তবে শ্রম হচ্ছে। আর এখান থেকে আমার সরাসরি টাকাও আয় হচ্ছেনা। এই লটারির গেম খেলা কি জায়েজ?

(২) কোন প্রতিযোগিতায় যদি দুইজন প্রতিযোগী নিজেরা অর্থ দেয় এবং সেই প্রতিযোগিতার জয়ী যদি সব অর্থ গ্রহণ করে তাহলে তা জুয়া হয়। কিন্তু কোনো প্রতিযোগীই যদি অর্থ না দেয় এবং বাইরের কোনো তৃতীয় পক্ষ জয়ীকে পুরষ্কার দেয় তাহলে তা হালাল গণ্য হয়। এখন সেই পুরষ্কার কি কেবল শারীরিক খেলাতেই হালাল হবে নাকি অনলাইন গেমেও হালাল গণ্য হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحمن


(০১)
কোরআনে কারীমে মু'মিনদের উত্তম ও প্রশংসনীয় গুনাবলীর আলোচনা করতে যেয়ে বলা হয়,
ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻫُﻢْ ﻋَﻦِ ﺍﻟﻠَّﻐْﻮِ ﻣُﻌْﺮِﺿُﻮﻥَ
যারা অনর্থক কথা-বার্তায় নির্লিপ্ত,(মু'মিনুন-৩) 
ﻭَﺇِﺫَﺍ ﻣَﺮُّﻭﺍ ﺑِﺎﻟﻠَّﻐْﻮِ ﻣَﺮُّﻭﺍ ﻛِﺮَﺍﻣًﺎ
এবং যখন অসার ক্রিয়াকর্মের সম্মুখীন হয়, তখন মান রক্ষার্থে ভদ্রভাবে চলে যায়।(ফুরকান-৭৩)

ইসলামে দু’ ধরণের খেলাধুলাকে বৈধ রেখেছে দু’শর্ত সাপেক্ষে।

যে দুই ধরণের খেলা জায়েজ-

১-শারিরীক উপকার নিহিত।যেমন দৌড়, ফুটবল ও ক্রিকেট ও হতে পারে।

২-দ্বীনের শত্রুর বিরুদ্ধে প্রশিক্ষণমূলক খেলা। যেমন তীরন্দাজী, ঘোড় দৌড় ইত্যাদি।

এসব খেলা জায়েজ থাকার জন্য শর্ত দু’টি। যথা-

১- ফরজ ও ওয়াজিব কোন ইবাদতে বিঘ্ন না হতে হবে।

২-এর সাথে আর কোন গোনাহের বিষয় মিলিত না হতে হবে। যেমন জুয়া, বেপর্দা ইত্যাদি।
এছাড়া বাকি সব খেলাই অহেতুক হওয়ায় মাকরূহ বা নাজায়েজ।

মোবাইল,কম্পিউটারের যাবতীয় ভিডিও গেম এ অনর্থক খেলার মাঝে শামিল। যেহেতু এর দ্বারা শারিরিক কোন উপকার নেই। অহেতুক সময় নষ্ট করা, তাই এটি অপছন্দনীয়। কিন্তু বর্তমানের ভিডিও গেমগুলোতে নানা ধরণের হারাম মিউজিক থাকে।যা সম্পূর্ণই নাজায়েজ। 

তাই কোনোভাবেই এসব গেইম খেলার অনুমতি দেওয়া যায়না। 

বিস্তারিত জানুনঃ   

★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত গেম খেলার অনুমতি শরীয়ত দেয়না 
তাই এহেন গেম খেলা থেকে বিরত থাকা উচিত। 
,
(০২)
যেহেতু অনলাইনে গেম খেলাকে ইসলামী স্কলারগন অনুমতি প্রদান করেননা।
তাই এ ধরনের যেকোনো গেম খেলে ৩য় পক্ষ পুরুস্কার দিলেও তাহা নাজায়েজ হবে।
কেননা মূল এই গেম খেলাই নাজায়েজ।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (13 points)
ইসলামে দু’ ধরণের খেলাধুলাকে বৈধ রেখেছে-এর দলীল দিন?
আর অনলাইন গেম খেলা হারাম, সেটারও দলীল দিন।
যেই গেমে কোনো অশ্লীলতা, বাদ্যযন্ত্র, কার্টুন নেই সেটা নাজায়েজ হবে কেনো?
বিভিন্ন গেম আচছে হালাল বিনোদনের জন্য, সেগুলাকে আপনি সময়ের অপচয় বলছেন কেনো? বিনোদন কি হারাম?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...