আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
114 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (72 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু,

শায়েখ,

১.শক্তি সম্পর্কে বিজ্ঞান এর প্রমান যুক্তি আর ব্যবহার হলো, শক্তি সৃষ্টি বা ধংশ হয় না। সেটি পৃথিবীতে এক অবস্থা থেকে আরেক অবস্থায় রূপান্তরিত হয়। অর্থাৎ যা ছিল পৃথিবীতে সে পরিমাণ শক্তিই সবসময় থাকে। এই শক্তিগুলো হল: বিদ্যুৎ, গতিশক্তি, তাপশক্তি, আলোক শক্তি, চৌম্বক শক্তি ইত্যাদি। https://www.google.com/url?sa=t&source=web&rct=j&url=https://bn.m.wikipedia.org/wiki/%25E0%25A6%25B6%25E0%25A6%2595%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25A4%25E0%25A6%25BF&ved=2ahUKEwi_0NPF3OXzAhU0wzgGHYfgBPIQFnoECA8QAQ&usg=AOvVaw0LgW6qxBJFxVV88IfJXBKf

ইনশাআল্লাহ এ কথা নাজায়েজ হওয়ার কথা নয়। তবুও জিজ্ঞেস করছি, ঈমান আকিদা ঠিক রেখে পড়লে, পড়ালে, বিশ্বাস করে বুঝালে সমস্যা আছে কিনা?

২. ঈমান আকিদা ঠিক রেখে বলতে কি বুঝায়? কেউ যদি গুনাহগার হয় তাহলেও ঈমান আকিদা ঠিক আছে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-

(০১)
পৃথিবী ধ্বংসের আগে স্বাভাবিক অবস্থায় এ পরিমান শক্তি থাকবে।

সুতরাং বিষয়টি  ঈমান আকিদা ঠিক রেখে পড়লে, পড়ালে, বিশ্বাস করে বুঝালে সমস্যা নেই। 

(০২)
ঈমান আকিদা ঠিক রেখে বলতে বুঝায় হলো তার অন্তরে সঠিক আকীদাই রাখা। 
যেমন কেহ ডারউইনের বিবর্তনতত্ত্বের বিষয়টি পড়ছে, অথছ তার অন্তরে আল্লাহর পক্ষ থেকেই মানব কুলের সৃষ্টিরর আকীদা ঠিকই আছে,সে বিশ্বাস করে যে ডারউইনের থিমটি সঠিক নয়,এটি অন্তরে রেখে পড়াকেই ঈমান আকিদা ঠিক রেখে পড়া বুঝায়। 
,
সূরা নাহলের ১০৬ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-
مَنْ كَفَرَ بِاللَّهِ مِنْ بَعْدِ إِيمَانِهِ إِلَّا مَنْ أُكْرِهَ وَقَلْبُهُ مُطْمَئِنٌّ بِالْإِيمَانِ وَلَكِنْ مَنْ شَرَحَ بِالْكُفْرِ صَدْرًا فَعَلَيْهِمْ غَضَبٌ مِنَ اللَّهِ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ (106)

“কেউ বিশ্বাস স্থাপনের পর আল্লাহকে অস্বীকার করলে এবং প্রত্যাখ্যানের জন্য হৃদয় মুক্ত রাখলে তার উপর আল্লাহ ক্রোধ পতিত হবে এবং তার জন্য রয়েছে মহাশাস্তি। তবে তার জন্য নয়, যাকে (সত্য প্রত্যাখ্যানে) বাধ্য করা হয়, কিন্তু তার অন্তর বিশ্বাসে অটল।” (১৬:১০৬)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 178 views
...