আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
520 views
in হজ ও উমরা (Hajj and Umrah) by (4 points)
হাজরে আসওয়াদ সাদা আবস্থাতে ছিলো,ইহা বনী আদমের গুনাহের কারনে কালো হয়ে গিয়েছে, আমরা প্রশ্ন হলো এই পাথরে চুমু দিলে গুনাহ মাফ হয়ে যায় এমন কোন কথা কি সহীহ্ হাদিস এ এসেছে?   কথাটি আমাদের সমাজে খুব প্রচলিত যে হাজরে আসওয়াদ এ চুমু দিলে গুনাহ মাফ হয়ে যায়

   কিয়ামাতের দিন হাজরে আসওয়াদ কে সুপারিশ করতে দেয়া হবে? এইা কি সহীহ্ হাদিস এসেছে?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


হজরে আসওয়াদ জান্নাত থেকে আসা এক পাথর। হজরে আসওয়াদ অর্থ কালো পাথর অথচ পাথরটি ছিল দুধের চেয়েও সাদা। বনী আদমের গোনাহ দুধের চেয়ে সাদা এ পাথরটিকেই কালো বানিয়ে দিয়েছে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " نَزَلَ الْحَجَرُ الأَسْوَدُ مِنَ الْجَنَّةِ وَهُوَ أَشَدُّ بَيَاضًا مِنَ اللَّبَنِ فَسَوَّدَتْهُ خَطَايَا بَنِي آدَمَ "

কুতায়বা (রহঃ) ....... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, হাজরে আসওয়াদ জান্নাত থেকে অবতীর্ন হয়েছিল তখন সেটি ছিল দুধ থেকেও শুভ্র। মানুষের গুণাহ- খাতা এটিকে এমন কালো করে দিয়েছে।
তিরমিযী ৮৭৭, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্ ২৭৩৩, সহীহাহ্ ২৬১৮, সহীহ আল জামি‘ ৬৭৫৬, সহীহ আত্ তারগীব ১১৪৬,মিশকাত ২৫৭৭)

★★হাজরে আসওয়াদ পাথরকে স্পর্শ বা চুম্বন করলে গুনাহ মাফ হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
 
عَن عُبيدِ بنِ عُمَيرٍ: أَنَّ ابْنَ عُمَرَ كَانَ يُزَاحِمُ عَلَى الرُّكْنَيْنِ زِحَامًا مَا رَأَيْتُ أَحَدًا مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللّٰهِ ﷺ يُزَاحِمُ عَلَيْهِ قَالَ: إِنْ أَفْعَلْ فَإِنِّىْ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللّٰهِ ﷺ يَقُولُ: إِنَّ مَسْحَهُمَا كَفَّارَةٌ لِلْخَطَايَا وَسَمِعْتُه يَقُولُ: مَنْ طَافَ بِهٰذَا الْبَيْتِ أُسْبُوعًا فَأَحْصَاهُ كَانَ كَعِتْقِ رَقَبَةٍ. وَسَمِعْتُه يَقُولُ: لَا يَضَعُ قَدَمًا وَلَا يَرْفَعُ أُخْرٰى إِلَّا حطَّ اللّٰهُ عَنْهُ بِهَا خَطِيْئَةً وَكَتَبَ لَه بِهَا حَسَنَةً.

‘উবায়দ ইবনু উমায়র (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) দু’ রুকনের (হাজারে আসওয়াদ ও রুকনে ইয়ামানীর) কাছে যেভাবে ভীড় করতেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবীদের আর কাউকে এমনভাবে (প্রতিযোগিতামূলকভাবে) ভীড় করতে দেখিনি। ইবনু ‘উমার (রাঃ) বলেন, আমি যদি এরূপ করি (তাতে দোষের কোন বিষয় নয়), কেননা আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, নিশ্চয়ই এদের স্পর্শ করা গুনাহের কাফফারাহ্। আমি তাঁকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে) আরো বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি বায়তুল্লাহর চারদিকে সাতবার তাওয়াফ করবে ও তা যথাযথভাবে সম্পন্ন করবে, তবে তা তার জন্য গোলাম মুক্ত করে দেবার সমতুল্য হবে। এটা ছাড়াও তাঁকে (ইবনু ‘উমার (রাঃ)-কে) বলতে শুনেছি, কোন লোক এতে এক পা ফেলে অপর পা উঠানোর আগেই বরং আল্লাহ তা‘আলা তার একটি গুনাহ মাফ করে দেন ও তার জন্যে একটি সাওয়াব নির্ধারণ করেন।
তিরমিযী ৯৫৯, সহীহ আত্ তারগীব ১১৩৯, সহীহ ইবনু হিব্বান ৩৬৯৭,মিশকাত ২৫৮০)

নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হজরে আসওয়াদ চুমু খেতেন। তাঁর অনুসরণেই সাহাবায়ে কেরাম হজরে আসওয়াদ চুমু খেতেনে। একবার ওমর রা. হজরে আসওয়াদের কাছে গেলেন এবং চুমু খেলেন। এরপর বললেন-

إِنِّي أَعْلَمُ أَنّكَ حَجَرٌ، لاَ تَضُرّ وَلاَ تَنْفَعُ، وَلَوْلاَ أَنِّي رَأَيْتُ النّبِيّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ يُقَبِّلُكَ مَا قَبّلْتُكَ.

আমি জানি, তুমি একটি পাথর মাত্র; উপকার-অপকার করার কোনো ক্ষমতা তোমার নেই। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে চুমু খেতে দেখেছি বলেই আমি তোমাকে চুমু খেলাম। -সহীহ বুখারী, হাদীস ১৫৯৭।
,
★★কিয়ামতের দিন হাজরে আসওয়াদ’কে সুপারিশ করতে দেয়া হবে,মর্মে কোনো হাদীস খুজে পাইনি। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 375 views
0 votes
1 answer 267 views
...