আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
161 views
in পবিত্রতা (Purity) by (42 points)
আসসালামু আলাইকুম,

হায়েজ শেষ হওয়ার ১০তম দিন থেকে ইস্তাহাজা শুরু হয় এবং সেটা ৭/৮দিনের মত ছিল তারপর ঔষুধ খাওয়ার পর বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ হওয়ার ৬/৭দিন পর আজকে আবার ব্লিডিং শুরু হয়।
এটা কি হায়েজ নাকি ইস্তেহাজা???

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)

আরো জানুনঃ  

★হায়েজ শেষ হওয়ার ১০ তম দিন থেকে যেই ব্লাড এসেছে,সেটি ইস্তেহাজা।
এই ব্লাড যেহেতু ৭/৮ দিন ছিলো,তাই প্রশ্নে উল্লেখিত মহিলার হায়েজ শেষ হওয়ার ১৫ দিন কখন শেষ হয়েছে?  
এই পনেরো দিন শেষ হওয়ার পরদিন থেকে আসা ব্লাডকে হায়েজ ধরতে হবে।
এর পর সেই ৫/৬ দিনের বিরতির পর আবার রক্ত আসায় এই বিরতির ৫/৬ দিন সহ আগের ১/২ দিন সহ রক্ত চলমান থাকলে মোট ১০ দিন হায়েজ হিসেবে ধরবে।
তারপর ১০ দিন পূর্ণ হওয়ার পরদিন থেকে ইস্তেহাজা হিসেবে ধরবে।   

★উদাহরণ স্বরুপ উক্ত মহিলার হায়েজ সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিনে বন্ধ হয়েছিলো।
অক্টোবর মাসের ১০ তারিখ থেকে সেই মহিলার আবার ব্লাড আসা শুরু করে,যাহা ৭/৮ দিন চলমান থাকে।
অর্থাৎ অক্টোবর মাসের ১৬/১৭ তারিখ পর্যন্ত সেই ব্লিডিং চলতে থাকে।
 
যেটি ঔষধ খেয়ে বন্ধের পর ৬/৭ দিন আবারো ব্লিডিং শুরু হয়।
অর্থাৎ ২৩/২৪ তারিখ থেকে আবারো ব্লিডিং শুরু হয়,এক্ষেত্রে বিধান হলো ঐ মহিলার হায়েজ শেষ হওয়ার পনেরো দিন পূর্ণ হবে অক্টোবর মাসের ১৫ তারিখে।
তাই সে এই পনেরো দিন ইস্তেহাজা হিসেবে ধরবে।

অক্টোবর মাসের এই পনেরো তারীখের পর যে এক/দুইদিন যে ব্লিডিং হয়েছে,এটি হায়েজ।
এই হায়েজ আসার পর ঔষধ খেয়ে হায়েজ বন্ধের ৬/৭ দিন পর যে আবার ব্লিডিং শুরু হয়েছে,এটিও হায়েজ।
হায়েজের সর্বোচ্চ সময় সীমা ১০ দিনের মধ্যের দিন গুলোকে সে হায়েজ হিসেবেই ধরে নিবে। 
তারপরের দিন গুলোকে ইস্তেহাজা হসেবে ধরে নিবে।
,
সেই হিসেবে সেই মহিলা উল্লেখিত উদাহারণ এর ক্ষেত্রে অক্টোবর মাসের ১৬/১৭ তারীখ থেকে ২৫/২৬ তারীখ পর্যন্ত হায়েজা হিসেবেই থাকবে।
২৫/২৬ তারিখের পর থেকে ইস্তেহাজা হিসেবে ধরবে। 

اذا عاودها الدم في العشرة بطل الحكم بطهارتها مبتدأة كانت او معتادة و كأنها لم تطهر اصلا
হায়েয বন্ধ হওয়ার পর দশ দিনের ভিতর আবার যদি হায়েয চলে আসে,তাহলে পূর্বের পবিত্রতার বিধান খতম হয়ে যাবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।যেমন ঐ মহিলা পূর্বে পবিত্রই হয়নি।
(ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়া-১/৪৮৫, যাকারিয়া)

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।
(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)

আরো জানুনঃ  

দ্রষ্টব্যঃ মাসয়ালার জানার জন্য ৬/৭ দিন এমন সন্দেহজনক শব্দ ব্যবহার না করে নিশ্চিত শব্দ (যেমন ৭) উল্লেখ করলে ভালো হয়।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...