উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
,
(০১)
বাচ্চাদের খেলনা স্বরূপও মানব আকৃতি বা প্রাণীর পুতুল ব্যবহার যেমন বৈধ নয়,তেমনি ছবি যুক্ত বই ব্যবহার বৈধ নয়।
আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাইতুল্লাহ্য় প্রবেশ করে ইবরাহীম আ. ও মারইয়াম রা.-এর ছবি দেখলেন। তখন তিনি বললেন, এঁরা তো (যাদের চিত্র এই লোকেরা অঙ্কন করেছে) (আল্লাহর এই বিধান) শুনেছেন যে, ফেরেশতারা সে গৃহে প্রবেশ করেন না, যাতে কোনো চিত্র থাকে। (সহীহ বুখারী হা. ৩৩৫১;সহীহ ইবনে হিববান হা. ৫৮৫৮)
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
إن الذين يصنعون هذه الصور يعذبون يوم القيامة يقال لهم : أحيوا ما خلفتم.
‘যারা এই সব প্রতিকৃতি প্রস্ত্তত করে তাদেরকে কিয়ামতের দিন আযাবে নিক্ষেপ করা হবে। তাদেরকে বলা হবে, যা তোমরা সৃষ্টি করেছিলে তাতে প্রাণ সঞ্চার কর।’ (সহীহ বুখারী হা. ৫৯৫১; সহীহ মুসলিম হা. ২১০৭)
আবু হুরায়রা রা. বলেন-
استأذن جبريل عليه السلام على النبي صلى الله عليه وسلم فقال : كيف أدخل وفي بيتك ستر فيه تصاوير، فإما أن تقطع رؤوسها أو تجعل بساطا يوطأ، فإنا معشر الملائكة لا تدخل بيتا في تصاوير.
একদিন জিব্রীল আ. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে আসার অনুমতি চাইলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ভিতরে আসুন। জিব্রীল আ. বললেন, কীভাবে আসব, আপনার গৃহে ছবিযুক্ত পর্দা রয়েছে। আপনি হয়তো এই ছবিগুলোর মাথা কেটে ফেলুন কিংবা তা বিছানায় ব্যবহার করুন, যা পদদলিত হবে। কেননা,আমরা ফেরেশতারা ওই গৃহে প্রবেশ করি না যাতে ছবি থাকে।’ (সুনানে নাসায়ী হা. ৫৩৬৫; সহীহ ইবনে হিববান ৫৮৫৩)
★সুতরাং আপনি মলাট খুলে ফেলে বইটি অন্য কোনো ভাবে বাধাই করে নিবেন।
তাহলে আর কোনো সমস্যা হবেনা।
(০২) কোনো দিবস ছাড়া, দিবসের শুভেচ্ছা না জানিয়ে এমনি আমি ছোট ভাই বোনকে নিজ হাতে কার্ড বানিয়ে দিলে শরীয়তের দৃষ্টিতে কোনো সমস্যা হবেনা।
(০৩) মহিলাদের জন্য বাই-সাইকেল ও মটর সাইকেল চালানোর সম্পর্কে শরীয়তের বিধান।
,
প্রথমত, বাই-সাইকেল বা মটর সাইকেল চালানো নারীর স্বভাবসূলভ কাজ নয়। বরং তা তার স্বভাব বিরোধপূর্ণ।
সে জন্য নারীরা বাই-সাইকেল বা মটর সাইকেল চালালে তা কোনোমতেই ঠিক হবে না।কেননা, তাতে পর্দাহীনতা ও ফেতনার আশঙ্কা রয়েছে। তবে হা একান্ত প্রয়োজন হলে অনুমতি আছে।
সূত্র: ফাতওয়ায়ে আল মা’রাতুল মুসলিম-৪৮৯, আল ফাতওয়াশ্ শরইয়্যাহ-২/১৯১