বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম।
জবাবঃ
শরীয়তের বিধান মতে সুবহানাল্লাহ এবং আল্লাহু আকবার উভয় শব্দ দিয়েই লোকমা দেওয়া
যাবে।
তবে উত্তম হলো সুবহানাল্লাহ বলে লোকমা দেওয়া।
হাদীসে ইরশাদ হয়েছে-
عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ
قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- « التَّسْبِيحُ لِلرِّجَالِ وَالتَّصْفِيقُ
لِلنِّسَاءِ (سنن ابى داود، كتاب الصلاة، باب التَّصْفِيقِ فِى الصَّلاَةِ، رقم
الحديث-940
অনুবাদ-হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-তাসবীহ হল
পুরুষদের জন্য, আর তাসফীক
তথা মৃদু তালি হল মহিলাদের জন্য। {সুনানে আবু
দাউদ, হাদীস
নং-৯৪০, সুনানে ইবনে
মাজাহ, হাদীস
নং-১০৩৪, সহীহ বুখারী, হাদীস নং-১১৪৫, সহীহ মুসলিম
হাদীস নং-৯৮২}
,
قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا
عَبْدُ الْعَزِيزِ عَنْ أَبِي حَازِمٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍقَالَ بَلَغَ
رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّ بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ بِقُبَاءٍ
كَانَ بَيْنَهُمْ شَيْءٌ فَخَرَجَ يُصْلِحُ بَيْنَهُمْ فِي أُنَاسٍ مِنْ
أَصْحَابِهِ فَحُبِسَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم
وَحَانَتْ الصَّلاَةُ فَجَاءَ بِلاَلٌ إِلَى أَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا
فَقَالَ يَا أَبَا بَكْرٍ إِنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ حُبِسَ
وَقَدْ حَانَتْ الصَّلاَةُ فَهَلْ لَكَ أَنْ تَؤُمَّ النَّاسَ قَالَ نَعَمْ إِنْ
شِئْتَ فَأَقَامَ بِلاَلٌ الصَّلاَةَ وَتَقَدَّمَ أَبُو بَكْرٍفَكَبَّرَ لِلنَّاسِ
وَجَاءَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَمْشِي فِي
الصُّفُوفِ يَشُقُّهَا شَقًّا حَتَّى قَامَ فِي الصَّفِّ فَأَخَذَ النَّاسُ فِي
التَّصْفِيحِ قَالَ سَهْلٌ التَّصْفِيحُ هُوَ التَّصْفِيقُ قَالَ وَكَانَ أَبُو
بَكْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ لاَ يَلْتَفِتُ فِي صَلاَتِهِ فَلَمَّا أَكْثَرَ
النَّاسُ الْتَفَتَ فَإِذَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم
فَأَشَارَ إِلَيْهِ يَأْمُرُهُ أَنْ يُصَلِّيَ فَرَفَعَ أَبُو بَكْرٍيَدَهُ
فَحَمِدَ اللهَ ثُمَّ رَجَعَ الْقَهْقَرَى وَرَاءَهُ حَتَّى قَامَ فِي الصَّفِّ
وَتَقَدَّمَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى
لِلنَّاسِ فَلَمَّا فَرَغَ أَقْبَلَ عَلَى النَّاسِ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ
مَا لَكُمْ حِينَ نَابَكُمْ شَيْءٌ فِي الصَّلاَةِ أَخَذْتُمْ بِالتَّصْفِيحِ
إِنَّمَا التَّصْفِيحُ لِلنِّسَاءِ مَنْ نَابَهُ شَيْءٌ فِي صَلاَتِهِ فَلْيَقُلْ
سُبْحَانَ اللهِ ثُمَّ الْتَفَتَ إِلَى أَبِي بَكْرٍفَقَالَ يَا أَبَا بَكْرٍ مَا
مَنَعَكَ أَنْ تُصَلِّيَ لِلنَّاسِ حِينَ أَشَرْتُ إِلَيْكَ قَالَ أَبُو بَكْرٍ
مَا كَانَ يَنْبَغِي لِابْنِ أَبِي قُحَافَةَ أَنْ يُصَلِّيَ بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ
اللهِ صلى الله عليه وسلم
সাহল ইবনু সা‘দ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এ সংবাদ পৌঁছল যে, কুবায় বনূ আমর ইবনু আওফ গোত্রে কোন ব্যাপার
ঘটেছে। তাদের মধ্যে মীমাংসার উদ্দেশে তিনি কয়েকজন সাহাবীসহ বেরিয়ে গেলেন। আল্লাহর
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেখানে কর্মব্যস্ত হয়ে পড়েন। ইতোমধ্যে
সালাতের সময় হয়ে গেল। বিলাল (রাযি.) আবূ বাকর (রাযি.)-এর নিকট এসে বললেন, হে আবূ বাকর! আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্মব্যস্ত রয়েছেন। এদিকে সালাতের সময় উপস্থিত। আপনি কি লোকদের
ইমামাত করবেন? তিনি বললেন, হাঁ, যদি তুমি
চাও। তখন বিলাল (রাযি.) সালাতের ইক্বামাত(ইকামত/একামত) বললেন এবং আবূ বাকর (রাযি.)
এগিয়ে গেলেন এবং তাকবীর বললেন। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
আনলেন এবং কাতার ফাঁক করে সামনে এগিয়ে গিয়ে কাতারে দাঁড়ালেন। মুসল্লীগণ তখন
তাস্ফীহ্ করতে লাগলেন। সাহল (রাযি.) বলেন, তাসফীহ্
মানে তাস্ফীক (হাতে তালি দেয়া) তিনি আরো বললেন, আবূ বাকর
(রাযি.) সালাতে এদিক সেদিক তাকাতেন না। মুসল্লীগণ অধিক (তালি দেয়া) করবে, তিনি লক্ষ্য করে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে দেখতে পেলেন। তিনি তাঁকে ইঙ্গিতে সালাত আদায় করার আদেশ
দিলেন। তখন আবূ বাকর (রাযি.) তাঁর দু’হাত তুললেন এবং আল্লাহর হাম্দ বর্ণনা করলেন।
অতঃপর পিছু হেঁটে পিছনে চলে এসে কাতারে দাঁড়ালেন। আর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম সামনে এগিয়ে গেলেন এবং মুসল্লীগণকে নিয়ে সালাত আদায় করলেন।
সালাত শেষ করে তিনি মুসল্লীগণের দিকে মুখ করে বললেনঃ হে লোক সকল! তোমাদের কী হয়েছে? সালাতে কোন ব্যাপার ঘটলে তোমরা হাত চাপড়াতে
শুরু কর কেন? হাত চাপড়ানো
তো মেয়েদের জন্য। সালাতে আদায়রত অবস্থায় কারো কিছু ঘটলে পুরুষরা সুব্হানাল্লাহ্
বলবে। অতঃপর তিনি আবূ বাকর (রাযি.)-এর দিকে লক্ষ্য করে তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, হে আবূ বাকর! তোমাকে আমি ইঙ্গিত করা সত্ত্বেও
কিসে তোমাকে সালাত আদায়ে বাধা দিল? আবূ বাকর
(রাযি.) বললেন, আল্লাহর
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সামনে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করা ইবনু আবূ
কুহাফার* জন্য সমীচীন নয়। (বুখারী ১২১৮,৬৮৪)
(আধুনিক প্রকাশনী-ঃ ১১৩৯, ইসলামিক
ফাউন্ডেশনঃ ১১৪৫,মুসলিম শরীফ।)
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
শরীয়তের বিধান মতে সুবহানাল্লাহ এবং আল্লাহু আকবার উভয় শব্দ দিয়েই লোকমা দেওয়া
যাবে।
তবে উত্তম হলো সুবহানাল্লাহ বলে লোকমা দেওয়া।
আর ইমাম সাহেব যদি সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হয় এমন ভুল করে তাহলে ইমাম সাহেব তার ভুল সংশোধন করে নিয়ে সঠিক ভাবে নামায পড়ালেও
নামাযের শেষে সাহু সিজদাহ দিতে হবে অন্যথায় নয়।