উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
.
শরীয়তের বিধান হলো নাপাক শরীর নিয়ে কোনো ছোট বাচ্চা নামাজীর শরীরের উপর উঠে,( যদি বাচ্চা নিজে নিজেই চলার শক্তি রাখে,)তাহলে নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা।
আর যদি সেই বাচ্চা এতো ছোট হয় যে একা একা চলতে পারেনা,বরং কেহ তাজে নামাজির উপরে রেখে দেয়,তাহলে উক্ত বাচ্চার শরীর বা কাপড়ে যদি নাপাকি লেগে থাকে,আর সেই বাচ্চা তার শরীরের উপর যদি কমপক্ষে এক রুকন সমপরিমাণ অবস্থান করে,তাহলে তার নামাজ ভেঙ্গে যাবে,অন্যথায় নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৩/২৩১)
,
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছে
في الشامي عن الظہیریۃ: لو جلس علی المصلي صبي ثوبہ نجس وہو یستمسک بنفسہ أو حمام نجس جازت صلاتہ؛ لأن الذي علی المصلي مستعمل للنجس، فلم یصر المصلي حاملاً للنجاسۃ۔ (شامي ۲؍۶۸ بیروت، شامي ۲؍۷۴ زکریا، البحر الرائق ۱؍۲۶۷، صغیری ۱۰۶
যার সারমর্ম হলো মুছল্লির শরীরের উপরে যেই বাচ্চা উঠেছে,সেই বাচ্চা যদি এমন হয় যে সে একাই চলা ফেরা করতে পারে,তাহলে এমন বাচ্চার শরীরে বা কাপড়ে নাপাক থাকা সত্ত্বেও মুছল্লির নামাজ হয়ে যাবে।
কারন এর দ্বারা মুছল্লিকে "নাপাক বহন করতেছে" বলা হয়না।
,
★সুতরাং কোনো হায়েযগ্রস্থ নারী পাশ দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় নামাজরত কারোর সাথে তার স্পর্শ লাগে, তাহলে নামাযের কোনো সমস্যা হবেনা।