আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
220 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (13 points)
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন বড়ো বড়ো স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটি তে দেয়াল এ যদি জীবজন্তু, মানুষ ,কার্টুন এসব এর ছবি আঁকা থাকে এতে কি সেখানে অধ্যন করা শিক্ষার্থীরা কি গুনাহের ভাগিদার হবে?(এক্ষেত্রে অধ্যয়ণ করা শিক্ষার্থী যদি উক্ত ছবি আঁকার সাথে জড়িত না হয় এবং সে যদি কাজ টি কে মনে মনে ঘৃণা করে যেহেতু তার বাধা দেয়ার ক্ষমতা নেই. তাহলে কি সে গুনাহ মুক্ত থাকবে?)
বিষয়টি জানার অনেক প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি.কেননা আমাদের দেশের অনেক প্রতিষ্ঠান, বিদ্যালয়,কলেজ এ আজকাল ছবি পোস্টের ইউজ করা হয়  যা ইসলাম সাপোর্টেড নয় এক্ষেত্রে সেখানে যারা কাজ করে জীবিকার তাগিদে বা যারা পড়ালেখা করে গেয়ান অর্জনের জন্য ,তাদের যেহুতু জীবিকা ও গেয়ান অর্জন করা খুব   প্রয়োজন হারাম থেকে বেঁচে হালাল জীবন যাপন করার জন্য , এবংতাই হারাম কাজের দায় ভার তাদের উপর বর্তাবে কি? ছবি আঁকার সাথে যারা জড়িত তাদের তারা সাপোর্ট করে না  l আর যে কলুষিত হয় সে তো নিজের জন্যই কলুষিত হয়. বিষয়টি সুন্দর ভাবে  প্লিজ ব্যাখ্যা করবেন

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ছবি ভিডিও শরীয়তের দৃষ্টিতে হারাম।হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত,
عن ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗﺎﻝ : ﺳﻤﻌﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻘﻮﻝ :( ﻣﻦ ﺻَﻮَّﺭ ﺻﻮﺭﺓ ﻓﻲ ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ ﻛُﻠِّﻒ ﺃﻥ ﻳَﻨْﻔُﺦ ﻓﻴﻬﺎ ﺍﻟﺮُّﻭﺡ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﻘﻴﺎﻣﺔ ﻭﻟﻴﺲ ﺑﻨﺎﻓﺦ )
তরজমাঃ- ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন, আমি নবী কারীম সাঃ কে বলতে শুনেছি, যে তিনি বলেছেন,
যে ব্যক্তি পৃথিবীতে কোন(জানোয়ারের) ছবি আকবে,কিয়ামতের দিন তাকে দায়িত্ব দেয়া হবে,সে যেন উক্ত ছবির ভিতরে রূহ প্রদান করে, অথচ রূহ প্রদান করা তার জন্য কস্মিনকালে ও সম্ভব হবে না(অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করে আযাব প্রদান করা হবে)(সহীহ বুখারী -৫৬১৮)

ﻭَﻗَﺎﻝَ : ﺇﻥْ ﻛُﻨْﺖَ ﻻَ ﺑُﺪَّ ﻓَﺎﻋِﻼً ﻓَﺎﺻْﻨَﻊِ ﺍﻟﺸَّﺠَﺮَ ، ﻭَﻣَﺎ ﻻَ ﻧَﻔْﺲَ ﻟَﻪ
হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ কে এক ব্যক্তি ছবি আকার অনুমতি প্রার্থনা করলে তিনি উত্তরে বললেনঃযদি তোমার ছবি একে উপার্জন করতেই হয় তাহলে তুমি গাছের ছবি আকো বা এমন ছবি আকো যাতে কোনো প্রাণীর ছবি নেই।(সহীহ বুখারী- ২২২৫) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/2253

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যেহেতু উক্ত ছবির সাথে ছাত্রদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই,তাই যে সব প্রতিষ্টানের দেয়ালে ছবি টাঙানো রয়েছে, সেইসব প্রতিষ্টানে পড়তে কোনো বাধা নেই।
গোনাহ তাদেরই হবে, যারা ছবি টানিয়েছে।ছাত্রদের কোনো গোনাহ হবে না।হ্যা, ছাত্রদের উচিৎ, এসমস্ত ছবি থেকে নিজের চোখকে হেফাজত রাখা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...