আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
916 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (25 points)
কুরআনের তাফসীর একটি তাফসীরে গ্রন্থের নাম হলো, তাফসিরে আহসানুল বায়ান। এটা কি পড়া যাবে?

তাফসীরে আহসানুল বায়ান পড়া যাবে কি?
তাফসীরে আহসানুল বায়ান পড়া যাবে কি?
তাফসীরে আহসানুল বায়ান পড়া যাবে কি?
তাফসীরে আহসানুল বায়ান পড়া যাবে কি?
তাফসীরে আহসানুল বায়ান পড়া যাবে কি?
তাফসীরে আহসানুল বায়ান পড়া যাবে কি?
তাফসীরে আহসানুল বায়ান পড়া যাবে কি?
তাফসীরে আহসানুল বায়ান পড়া যাবে কি?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত আবু বাকরা রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنْ أَبِي بَكْرَةَ رضي الله عنه أَنَّ رَجُلًا ذُكِرَ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَثْنَى عَلَيْهِ رَجُلٌ خَيْرًا ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ( وَيْحَكَ قَطَعْتَ عُنُقَ صَاحِبِكَ - يَقُولُهُ مِرَارًا - إِنْ كَانَ أَحَدُكُمْ مَادِحًا لَا مَحَالَةَ فَلْيَقُلْ : أَحْسِبُ كَذَا وَكَذَا إِنْ كَانَ يُرَى أَنَّهُ كَذَلِكَ وَحَسِيبُهُ اللَّهُ ، وَلَا يُزَكِّي عَلَى اللَّهِ أَحَدًا )
একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এক লোকের ব্যাপারে আলোচনা হয়। তখন অন্য এক লোক বলল, হে আল্লাহর রসূল! অমুক অমুক কাজের বিষয়ে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পর তার চেয়ে উত্তম আর কোন লোক নেই। এ কথা শুনে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমার ধ্বংস হোক, তুমি তো তোমার সঙ্গীর গর্দান কেটে ফেলেছ। তিনি এ কথাটি বার বার বললেন। অতঃপর বললেন, তোমাদের কারো যদি তার ভাইয়ের প্রশংসা করতেই হয় তবে সে যেন বলে অমুকের ব্যাপারে আমার ধারণা যে, সে এমন (বাস্তবে হলেই এ কথাটি বলতে পারবে), তবে আল্লাহর সম্মুখে আমি কাউকে দোষমুক্ত ঘোষণা করছি না (অর্থাৎ আমি আল্লাহর সামনে কাউকে পবিত্র করতে পারি না)। (সহীহ মুসলিম-শামেলা:৩০০০,ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭২৩১, ইসলামিক সেন্টার ৭২৮৪)(সহীহ বোখারী-৬০৬১)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আল্লামা হাফিয সালাহুদ্দিন ইউসুফ কর্তৃক লিখিত
"তাফসীরে আহসানুল বয়ান" কিতাবখানা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার সুযোগ হয়নি।তাই এ সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট মন্তব্য করতে পারছি না।তবে লোকমুখে শুনেছি এটা সালাফি মানহাযের আলোকে রচিত একখানা তাফসীর গ্রন্থ।তাই আমরা মুকাল্লিদ তথা কোনো মাযহাবের অনুসারী বিশেষকরে হানাফি ফিকহের অনুসারীদের জন্য উক্ত তাফসীর গ্রন্থ কে সাজেষ্ট করতে পারছি না।

আমরা সাধারণত
 তাফসীরের ক্ষেত্রে "মা'রিফুল কুরআন" কিতাবকে সাজেষ্ট করে থাকি।কেননা উক্ত কিতাব মাযহাবের আলোকে রচিত। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by
প্রিয় মুফতী ইমদাদুল হক ভাই,
আসসালামু আলাইকুম ۔۔۔
আমি নিজেও কিন্তূ হানাফী মাজহাবধারী পরিবার ও সমাজে বেড়ে উঠেছি, কিন্তূ আমি খোলা মন নিয়ে অন্য মাজহাব ও আহলে হাদিস বা আরও ইসলামী ব্যাখ্যার জগৎ নিয়ে পড়া ও জানার চেষ্টায় আছি۔۔۔
আপনার comment এর সারমর্ম হলো যারা হানাফী তাদের জন্য অন্য মাজহাব বা মত ও পথের অনুসরণ ঠিক নয়! আপনার কি ধারণা হানাফী মাজহাব একেবারে ১০০% বিশুদ্ধ? আপনি এই গ্যারান্টী কিভাবে দিতে পারেন যখন ইসলামের উৎস মক্কা-মদিনার scholar রা হানাফী বা অন্য মাজহাবের কত ভুল / দুর্বল/ জাল হাদিস হাতে নাতে ধরিয়ে দিচ্ছেন?
দেখুন নিজের মতের মধ্যে কোনও ভুল থাকলে তা স্বীকার করে সংশোধিত হওয়াটাই ঈমান ও ইসলামের দাবি, আর "ওরা কী জানে? আমরাই সবচে সঠিক" এই মনোভাব হলো অহংকার ও ঔদ্ধ্যত্বের পরিচায়ক, যা হতে আপনার-আমার সবারই বিরত থাকা উচিত ۔۔
কাজেই কোনও বই ভালো হলে তা স্বীকার করুন, নিজে পড়ুন অন্যকেও পড়তে উৎসাহিত করুন ۔۔۔
একটা ভালো / সহীহ বই কাউকে যদি পড়তে নিষেধ করেন তাহলে কিন্তূ দ্বীন গোপনের জন্য দায়ী হবেন ۔۔۔
যে তাফসীর এর কথা আলোচিত হচ্ছে-" তাফসীর-এ আহসানুল বয়ান" - বর্তমানে আমি পড়তে চেষ্টা করছি۔۔
এটি এক কথায় "অসাধারণ"!
মাজহাবের দোহাই দিয়ে নিজেকে গুটিয়ে রাখবেন না ۔۔
ইমাম আবু হানিফ (র:) কাউকে এ কথা বলে যাননি যে, আমি যা রেখে গেলাম তা ছাড়া অন্য কিছু অনুসরণ করলে তোমার সর্বনাশ হবে ۔۔۔
কাজেই আমার অনুরোধ  আপনি নিজে এই তাফসীর পড়ুন, অন্যকেও পড়তে উৎসাহিত করুন !
আল্লাহ সবাইকে হিদায়াত করুন ۔۔আমীন !
by
edited
সংকীর্ণমনা লোক আপনি। আমি একজন কওমি মাদরাসার ছাত্র। দারুল উলুম ঢাকা, মিরপুর ১৩ থেকে দাওরা ফারেগ হয়েছি ২০১১ সালে।
নাম আমার হাফেজ মাওলানা আব্দুল হক।ওই মাদরাসায় গিয়ে ছাত্র ওস্তাদ যাকেই জিজ্ঞাসা করবেন সবাই চিনবে আমাকে। (পরিচয় এজন্যই দিলাম, নইলে পরে আহলে হদস বলে ছুঁড়ে ফেলবেন আমার মত। আমাদের হুজুরদের মানসিকতা আমার ভালভাবে জানা আছে। বলে রাখি আহলে হাদীসের অনুসারী আমি নই। কিন্তু আহলে হাদীসকে আহলে হদস বলা এটা নবীর হাদীসের সাথে চরম বেয়াদবি ও দৃষ্টতা। যা আমাদের হুজুররা করে থাকে)
আমি মারেফুল কুরআন পড়েছি। এই মুহুর্তেও মারেফুল কুরআন আমার সামনে। মারেফুল কুরআন অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত একটা তাফসির। এতে অনেক কিছুই নাই। আমি পড়তে গিয়ে বারবার মেজাজ হারিয়েছি। অনুবাদ পড়ার পর যেটারই একটু বিস্তারিত জানতে চাই তার অধিকাংশই পাইনা। 
মানুষকে বোকা বানিয়ে রাখতে চান কেন?
মানুষের কাছে সব উম্মুক্ত থাকবে। সব পড়ে দেখবে।
আমার কাছে ইবনে কাসীর মারেফুল কুরআনের চেয়ে অনেক অনেক বেশি উত্তম মনে হয়েছে।
মানুষ সব পড়ুকনা। আপনার অসুবিধা কোথায়?  ধর্ম সম্পর্কে আমরা কওমিয়ানরা কিন্তু হিন্দু ঠাকুরদের মত আচরণ করি। তারাও তাদের অনুসারীদের কাছ থেকে ধর্মকে লুকিয়ে রাখে।
হ্যাঁ, আপনার মনে এখন কী উত্তর আসছে সেটাও আমার জানা আছে। কারণ কওমি পড়ুয়া মানুষ তো আমি, তাই বুঝি কি কি ধরনের খোঁড়া যুক্তি আমাদের হুজুররা দেয়।
সেই প্রেক্ষিতে আমি বলবো, আপনি মানুষকে সর্বোচ্চ এটা বলতে পারেন যেটা আমিও বলি। সেটা হলো যে, আপনারা পড়েন, তাফসীর হাদীস সবই পড়েন, তবে নিজের বুঝটাকে চুড়ান্ত মনে করবেননা। যেটা নিয়ে প্রশ্ন জাগবে সেটা আলেমদেরকে জিজ্ঞাসা করবেন।
সর্বোপরি আলেমদের সাথে সম্পর্ক রেখে চলবেন।
তবে অবশ্যই হিংসুটে, একচোখা, সংকীর্ণমনা আলেম পরিহার করে চলতে হবে। নইলে সত্যকে খুঁজে পাওয়া যাবেনা।
সমস্যা হচ্ছে আপরা হানাফী মাজহাবের লোকদের দ্বারা লিখিত কিতাব পড়ে পড়ে বড় হয়েছি। তাই অন্য মতের অনুসারীদেরটা আমাদের কাছে ভুল বা অযৌক্তিক অথবা তুচ্ছ মনে হয়। অন্যদের লেখা মত গুলো পড়লে এরকম হতোনা।
আরেকটা কথা বলে রাখি, নিজেও মানার চেষ্টা করবেন এবং আপনার পরিচিত কওমি হুজুরদের প্রতি আমার এই বার্তাটা পৌঁছে দিবেন। আপনার কারো সাথে দ্বীমত থাকতেই পারে। এটা সাহাবিদের যুগে, তাবেয়ীদের যুগে এক কথায় অতীতের সর্ব যুগেই ছিল। কিন্তু 
 ওয়াজের মঞ্চে সাধারণ পাবলিকের সামনে বিশ্রীভাবে সমালোচনা করে নিজেদেরকে আর হেয় প্রতিপন্ন করবেননা।  সুন্দর ভাষায় দ্বীমত পোষণ করেন। অন্যের মতকে সম্মান জানিয়ে নিজের মতকে প্রকাশ করেন।
by (590,550 points)
জাযাকাল্লাহ। আপনাদের উভয়ের কথাগুলোকে নোট করে রাখলাম।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...