আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
428 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (23 points)
ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে রোযা রাখা জায়েজ না বিদআত হবে?

আমার ছোটবোনের মাদ্রাসা থেকে বলেছে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে রোযা রাখতে। তাই সে রোযা রাখার জন‍্য কান্নাকাটি করছে। ঈদে মিলাদুন্নবী পালন তো বিদআত। সাওম রাখাটা কি সুন্নাহ না বিদাত কি হবে তাহলে?

1 Answer

0 votes
by (61,230 points)
edited by

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

আবু কাতাদা আনসারী রাযিঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা রাসূল সাঃ কে তাঁর সোমবারে রোযা রাখার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হল, [কারণ রাসূল সাঃ সোমবার দিন রোযা রাখতেন] তখন রাসূল সাঃ [কারণ দর্শাতে গিয়ে] বলেন যে, এদিন আমি জন্ম নিয়েছি, আর এদিনই আমার উপর কুরআন নাজিল হয়েছে। [তাই আমি শুকরিয়ার নিমিত্তে রোযা রাখি]{সহীহ মুসলিম,হাদীস নং-২৮০৭,সুনানে আবু দাউদ,হাদীস নং-২৪২৮,সুনানে বায়হাকী [কুবরা],হাদীস নং-৮২১৭,সহীহ ইবনে খুজাইমা,হাদীস নং-২১১৭, মুসনাদে আহমাদ,হাদীস নং-২২৫৫০}

আমরা লক্ষ্য করলেই বুঝতে পাবো, রাসূল সাঃ আমাদের এই হাদীসে কি চমৎকার একটি শিক্ষা দিলেন। সেটা হল-জন্মের খুশিতে রোযা রেখে আল্লাহর শুকরিয়া জানানো, এই কাজে আনন্দ উল্লাস করা মুসলমানের কাজ নয়।

আর আমরা জানি-ঈদের দিন রোযা রাখা হারাম যা নাকি বহু হাদীসে সরাসরি উল্লেখ আছে। যদি নবীজী সাঃ এর জন্মদিনটা ঈদের দিন হত তাহলে নবীজী সাঃ নিষিদ্ধ রোযা রাখলেন কেন? রাসূল সাঃ এর রোযা রাখার মাধ্যমে এটাই শিখালেন যে, এটা কোন ঈদের দিন নয়। আনন্দ উল্লাসের দিন নয়। বরং শুকরিয়া জানিয়ে রোযা রাখার দিন।

মহানবী (সা.)-কে সোমবারের রোজা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছি এবং এই দিনে আমাকে নবুয়ত দান করা হয়েছে।’ (মুসলিম শরিফ, হাদিস : ১১৬২)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!

জ্বী ভাই রাসূল সা: এর জন্ম উপলক্ষে রোজা রাখা জায়েয আছে। তবে এদিনকে কেন্দ্র করে জনে জুলুস, মীলাদ কিয়াম, র্যালী বের করা ইত্যাদী না জায়েয ও বেদআত।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...