بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
আবু কাতাদা আনসারী রাযিঃ থেকে বর্ণিত।
তিনি বলেনঃ একদা রাসূল সাঃ কে তাঁর সোমবারে রোযা রাখার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হল, [কারণ রাসূল সাঃ সোমবার দিন রোযা রাখতেন] তখন রাসূল সাঃ [কারণ দর্শাতে গিয়ে]
বলেন যে, এদিন আমি জন্ম নিয়েছি, আর এদিনই
আমার উপর কুরআন নাজিল হয়েছে। [তাই আমি শুকরিয়ার নিমিত্তে রোযা রাখি]{সহীহ মুসলিম,হাদীস নং-২৮০৭,সুনানে
আবু দাউদ,হাদীস নং-২৪২৮,সুনানে বায়হাকী
[কুবরা],হাদীস নং-৮২১৭,সহীহ ইবনে খুজাইমা,হাদীস নং-২১১৭, মুসনাদে আহমাদ,হাদীস
নং-২২৫৫০}
আমরা লক্ষ্য করলেই বুঝতে পারবো, রাসূল সাঃ আমাদের এই হাদীসে
কি চমৎকার একটি শিক্ষা দিলেন। সেটা হল-জন্মের খুশিতে রোযা রেখে আল্লাহর শুকরিয়া জানানো,
এই কাজে আনন্দ উল্লাস করা মুসলমানের কাজ নয়।
আর আমরা জানি-ঈদের দিন রোযা রাখা হারাম
যা নাকি বহু হাদীসে সরাসরি উল্লেখ আছে। যদি নবীজী সাঃ এর জন্মদিনটা ঈদের দিন হত তাহলে
নবীজী সাঃ নিষিদ্ধ রোযা রাখলেন কেন? রাসূল সাঃ এর রোযা রাখার
মাধ্যমে এটাই শিখালেন যে, এটা কোন ঈদের দিন নয়। আনন্দ উল্লাসের
দিন নয়। বরং শুকরিয়া জানিয়ে রোযা রাখার দিন।
মহানবী (সা.)-কে সোমবারের রোজা সম্পর্কে
জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছি এবং এই দিনে আমাকে
নবুয়ত দান করা হয়েছে।’ (মুসলিম শরিফ, হাদিস : ১১৬২)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
জ্বী ভাই রাসূল সা: এর জন্ম উপলক্ষে
রোজা রাখা জায়েয আছে। তবে এদিনকে কেন্দ্র করে জশনে জুলুস,
মীলাদ কিয়াম, র্যালী বের করা ইত্যাদী না জায়েয
ও বেদআত।