উত্তরঃ
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১) শরীয়তের বিধান হলো চলন্ত যানবাহনে নামাযের সময় হয়ে গেলে দাঁড়িয়ে নামায পড়ার সুযোগ থাকলে দাঁড়িয়ে নামায পড়ে নিবে। দাঁড়ানোর সুযোগ না থাকলে বসে ইশারা করে নামায পড়ে নিবে।
এই নামায পরে আর পরবর্তীতে পুনরায় পড়তে হবেনা।
★উল্লেখ্য যে যদি সেজদাহ করা সম্ভব হয়,তাহলে ইশারা করে নামাজ পড়া জায়েয হবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে বায়্যিনাত ২/৩২৪
কিবলামুখি হতে যথাসাধ্য চেষ্টা করবে। যদি গাড়ি কিবলামুখ থেকে অন্যদিকে ঘুরে যায় তবে নামাযে থাকা অবস্থায় কিবলামুখি ঘুরে যাবে। যদি সম্ভব না হয়, তাহলে যেদিকে মুখ হয়, সেদিকে ফিরেই নামায শেষ করবে। কিন্তু ইচ্ছে থাকা সত্বেও কিবলামুখি হয়ে নামায আদায় করতে না পারলে এই নামায পরে কাযা করতে হবে। কিবলামুখি ফিরে নামায আদায় করতে পারলে পরে তা আদায় করার কোন প্রয়োজন নেই।
ফাতাওয়ায়ে আলমগীরীতে আছে
فى الفتاوى الهندية- ولو ترك تحويل وجهة الى القبلة وهو قادر عليه لا يجزيه (الفتاوى الهندية –كتاب الصلاة ،الباب الخمس العشر فى صلاة المسافر-1/144)
যার সারমর্ম হলো যদি কিবলার দিক হয়ে নামাজ পড়া সম্ভবপর হওয়া সত্ত্বেও কিবলার দিক না হয়,তাহলে নামাজ হবেনা।
,
সুতরাং আপনি গাড়ি,ট্যাক্সিতে নামাজ পড়তে পারবেন।
,
(০২) সেলোয়ার কামিজ পরে নামাজ পড়ার সময় মেয়েদের কামিজ যদি হাটুর উপরে হয়, এতে কোনো সমস্যা হবেনা।
ছতর ঢেকে রাখা ফরজ,
চাই সেটা যেকোনো কাপড় দিয়েই হোক।
,
(০৩) অযুর করার পর কোনো ছতর বা কোনো অঙ্গ অনাবৃত হলে অযুর কোনো সমস্যা হয়না।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ওযুর পরে কোনো কারণে মেয়েদের কবজির উপরের অংশ কিছুক্ষণের জন্য দেখা যায়, এতে ওযু ভঙ্গ হবেনা।