আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
2,055 views
in সালাত(Prayer) by (18 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১. কোথাও যাওয়া বা আসার সময় গাড়িতে নামাজের সময় হয়ে গেলে তখন মহিলারা নামাজ কিভাবে পড়বে? বিশেষ করে ট্যাক্সিতে নামাজ পড়ার কোনো উপায় আছে কি? এক্ষেত্রে দিকের বিষয়টা কিভাবে বুঝবো? অনেক সময় মাগরিবের ওয়াক্ত শুরু ও শেষ হয়ে যায়। শায়েখ দয়া করে, গাড়িতে নামাজ পড়ার নিয়ম একটু বিস্তারিত বলেন।

২. সেলোয়ার কামিজ পরে নামাজ পড়ার সময় মেয়েদের কামিজ যদি হাটুর উপরে হয়, এতে কি কোনো সমস্যা হবে?
৩. ওযুর পরে যদি কোনো কারণে মেয়েদের কবজির উপরের অংশ কিছুক্ষণের জন্য দেখা যায়, এতে কি ওযু ভঙ্গ হবে?

জাযাকাল্লাহ খায়ের শায়েখ।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
উত্তরঃ
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১) শরীয়তের বিধান হলো চলন্ত যানবাহনে নামাযের সময় হয়ে গেলে দাঁড়িয়ে নামায পড়ার সুযোগ থাকলে দাঁড়িয়ে নামায পড়ে নিবে। দাঁড়ানোর সুযোগ না থাকলে বসে ইশারা করে নামায পড়ে নিবে। 
এই নামায পরে আর পরবর্তীতে পুনরায় পড়তে হবেনা।

★উল্লেখ্য যে যদি সেজদাহ করা সম্ভব হয়,তাহলে ইশারা করে নামাজ পড়া জায়েয হবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে বায়্যিনাত ২/৩২৪ 

কিবলামুখি হতে যথাসাধ্য চেষ্টা করবে। যদি গাড়ি কিবলামুখ থেকে অন্যদিকে ঘুরে যায় তবে নামাযে থাকা অবস্থায় কিবলামুখি ঘুরে যাবে। যদি সম্ভব না হয়, তাহলে যেদিকে মুখ হয়, সেদিকে ফিরেই নামায শেষ করবে। কিন্তু ইচ্ছে থাকা সত্বেও কিবলামুখি হয়ে নামায আদায় করতে না পারলে এই নামায পরে কাযা করতে হবে। কিবলামুখি ফিরে নামায আদায় করতে পারলে পরে তা আদায় করার কোন প্রয়োজন নেই।

ফাতাওয়ায়ে আলমগীরীতে আছে  
فى الفتاوى الهندية- ولو ترك تحويل وجهة الى القبلة وهو قادر عليه لا يجزيه (الفتاوى الهندية –كتاب الصلاة ،الباب الخمس العشر فى صلاة المسافر-1/144)
যার সারমর্ম হলো যদি কিবলার দিক হয়ে নামাজ পড়া সম্ভবপর হওয়া সত্ত্বেও কিবলার দিক না হয়,তাহলে নামাজ হবেনা।
,
সুতরাং আপনি গাড়ি,ট্যাক্সিতে নামাজ পড়তে পারবেন।
,

(০২) সেলোয়ার কামিজ পরে নামাজ পড়ার সময় মেয়েদের কামিজ যদি হাটুর উপরে হয়, এতে কোনো সমস্যা হবেনা।
ছতর ঢেকে রাখা ফরজ,
চাই সেটা যেকোনো কাপড় দিয়েই হোক।  
,
(০৩) অযুর করার পর কোনো ছতর বা কোনো অঙ্গ অনাবৃত হলে অযুর কোনো সমস্যা হয়না।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ওযুর পরে কোনো কারণে মেয়েদের কবজির উপরের অংশ কিছুক্ষণের জন্য দেখা যায়, এতে ওযু ভঙ্গ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
জাযাকাল্লাহ খায়ের শায়েখ। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 217 views
...