আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
201 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।

১)একটা লোক  তালাকের  মাসআলা কোন কিছুই জানতো না।সে মনে করেছিল শর্তযুক্ত তালাক  দিয়ে স্ত্রী কে ভয় দেখিয়ে ,  পরে শর্ত তুলে নিলেই  হয়ে যাবে।
তাই সে তার  স্ত্রীকে ভয় দেখানোর জন্য,  রাগ করে,তালাকের নিয়ত ছাড়া,  শর্তের সাথে  যুক্ত  করে  তালাক  দিয়েছিল এবং  পরে রাগ কমে গেলে শর্ত তুলেও নিয়েছিল, খুব  কম সময়ের ব্যবধানেই শর্ত তুলে নিয়েছিলো।

শর্তযুক্ত বাক্য ছিলঃএই কাজ করবা নাা,করলে তালাক।

স্ত্রী ও তালাকের  মাসআলা  সম্পর্কে  কিছুই জানতো  না।
স্ত্রী  ভেবেছিলো,যেহেতু  তালাকের শর্ত উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে, তাই  সেই কাজ করলে কোন সমস্যা  নাই। তাই স্ত্রী  সেই কাজ  করেছিল।

মুহতারাম, স্বামী- স্ত্রী  তালাক বিষয়ক মাসআলা  দুইজনের একজনেও  জানতো না,কিছুই জানতো না।

 দুইজনেই, না জেনে ভুল  করে ফেলছে।
এতে ও কি তালাক  হয়ে  যাবে????এক জায়গা থেকে  বলা হয়েছে এক  তালাক হয়ে গেছে।

 তারা তো দুুইজনের কেউই  জানতো না।

না জেনে করেছে।

তাদের  এখানো শারীরিক  সম্পর্ক  হয় নাই।

২) নিম্নে যেই প্রশ্নটা করতেছি,  এটা আমাদের জীবনে ঘটে নাই,জানার জন্য জানতে চেয়েছি,দয়া করেে বলবেন।

কেউ যদি  তার স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে   বলেঃ

অমুক কাজ  করবা না, করলে ডির্ভোস।

স্ত্রী  ঐ  কাজ  করলে  কি তিন তালাক  হয়ে  যায়? নাকি এক তালাক???

ডির্ভোসের আগে কোন সংখ্যা  উল্লেখ  করে  নাই, তিন তালাককের নিয়ত ও করে নাই।

ডির্ভোস শব্দটা মানেই কি তিন  তালাক  বোঝায়?

৩) নিম্নে যেই প্রশ্নটা করতেছি,  এটা আমাদের জীবনে ঘটে নাই,জানার জন্য জানতে চেয়েছি,দয়া করে বলবেন।

শর্তের সাথে যখন- তখন এই শব্দটা  যুক্ত  করলে কি সেই শর্ত বারবার  ফিরে  আসে???  নাকি একবার  তালাক  হয়েই সেই শর্ত শেষ  হয়ে  যায়, পুনরায়  আর ফিরে  আসে  না?????

যখন- তখন  এই শব্দটা কি যতবার- ততবার  শব্দের মতই? যখন- তখন এই শব্দটা নিয়ে  দুজায়গায়,দুইরকম দেখেছি।

1 Answer

0 votes
by (560,400 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
★সংক্ষিপ্ত জবাবঃ-
এক্ষেত্রে স্ত্রী সেই কাজ করলে এক তালাকে বায়েন পতিত হবে। 
পুনরায় তারা ঘর সংসার করতে চাইলে নতুন করে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে। 
এক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রীর তালাকের মাসয়ালা সম্পর্কে অজানা থাকা শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে ধর্তব্য নয়।
,
উক্ত শর্ত ফিরিয়ে নিলেও তাহা ফিরানো যাবেনা।
উক্ত কাজ করলেই তালাক হবে।
পরবর্তীতে সেই কাজ আবার করলে তালাক হবেনা।
একবারই শুধু তালাক হবে।
,
★বিস্তারিত জবাবঃ-    

তালাক শব্দ। এটি খুবই জঘন্য একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

এ ভয়ানক শব্দটি নিয়ত থাকুক বা না থাকুক রাগে বলুক আর ভালবেসে বলুক স্ত্রীকে উদ্দেশ্য নিয়ে মুখ দিয়ে এ শব্দ বের হলেই তালাক পতিত হয়ে যায়। 

হাদীসে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,   
তালাককে শর্তের সাথে সংযুক্ত করলে সেই শর্ত আর ফিরিয়ে আনা যায় না। শর্ত পাওয়া গেলেই বক্তব্য অনুপাতে তালাক পতিত হয়ে যাবে।

এটি কোনোভাবেই আর ফিরিয়ে নেওয়া যাবেনা।

দারুল উলুম দেওবন্দ এর 53487 নং ফতোয়া দ্রষ্টব্য।

واذا اضافه إلى الشرط، وقع عقيب الشرط اتفاقا، مثل أن يقول لامرأته: إن دخلت الدار فأنت طالق، (الفتاوى الهندية، الفصل الثالث فى تعليق الطلاق-1/420، الهداية، كتاب الطلاق، باب الأيمان فى الطلاق-2/385، تبيين الحقائق، باب التعليق-3/109)
সারমর্মঃ
যদি তালাককে কোনো শর্তের সাথে যুক্ত করে,তাহলে শর্ত পাওয়ার পরেই তালাক পতিত হয়ে যাবে।

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে স্ত্রী সেই কাজ করলে এক তালাকে বায়েন পতিত হবে। 
পুনরায় তারা ঘর সংসার করতে চাইলে নতুন করে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে। 

(০২)
এক্ষেত্রে স্ত্রী ঐ কাজ করলে এক তালাক পতিত হবে। 
ডির্ভোস শব্দটা মানে এক তালাক। 
তিন তালাক নয়।
,
হ্যাঁ যদি ডিভোর্স শব্দটির সাথে ২/৩ সংখ্যা উল্লেখ থাকে,তাহলে ২/৩  তালাক হবে।
,
(০৩)
স্বামী যদি স্ত্রীকে বলেঃ
যখন এই কাজ করবে,তখন তালাক।
তাহলে সেই কাজ করলে একবার  তালাক  হয়েই সেই শর্ত শেষ  হয়ে  যায়, পুনরায়  আর ফিরে  আসে  না।

এটি যতবার ততবার শব্দের ন্যায় নয়। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (2 points)
অপরাধ নিবেন  না। 
এখানে  তাহলে এটা কি লিখা?
এখানে  যে যখনই- তখনই  লিখা......
নাকি আমার  বুঝার ভুল???
শর্তের মাধ্যমে তালাক প্রদাণের জন্য নিম্নোক্ত হরফ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।যথা-
(১)إنْ-যদি
(২)َإِذَا-যখন
(৩)َإِذْمَا-যখন
(৪)َكُلُّ-সব
(৫)َكُلَّمَا-যখনই
(৬)مَتَى-যখন
(৭)مَتَى مَا-যখন
বাক্যর প্রারম্ভে এ সকল শব্দ প্রয়োগ করে কোনো কাজের সাথে সম্পর্কিত করে তালাক প্রদাণ করলে যখনি উক্ত শর্ত পাওয়া যাবে,তখন তাৎক্ষণাৎ তালাক পতিত হয়ে উক্ত শর্তযুক্ত বাক্য বিনষ্ট হয়ে যাবে।পরবর্তীতে একাজের পূনরাবৃত্তি ঘটলে আর তালাক পতিত হবে না।তবে শুধুমাত্র ৫ নং বাক্য এর বিপরিত।এটা ব্যবহার করলে যখনই শর্ত পাওয়া যাবে তখনই তালাক পতিত হতে থাকবে।যতক্ষণ না উক্ত বিয়ে বন্ধন শেষ হচ্ছে।শরীয়া মোতাবেক দ্বিতীয়বার উক্ত স্বামী উক্ত স্ত্রীকে বিয়ে করলে তখন আর তালাক পতিত হবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪১৫)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...