بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
আমরা https://ifatwa.info/29724/ ফাতওয়াতে উল্লেখ করেছি যে, যদি কেউ কোনো মহিলাকে বিয়ে
করার পূর্ণ ইচ্ছা থাকে,তাহলে ঐ মহিলাকে দেখতে পারবে। কথাও বলতে
পারবে।
হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রাযি থেকে
বর্ণিত,
(إِذَا خَطَبَ أَحَدُكُمْ الْمَرْأَةَ ، فَإِنْ
اسْتَطَاعَ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى مَا يَدْعُوهُ إِلَى نِكَاحِهَا ، فَلْيَفْعَلْ)
যদি কেউ কোনো মহিলাকে বিয়ের প্রস্তাব
দিতে চায়,তাহলে সে যেন যযথাসম্ভব ঐ মহিলাকে দেখে নেয়।(সুনানু আবি দাউদ-২০৮২)
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة، قال: كنت عند النبي صلى الله
عليه وسلم، فأتاه رجل فأخبره أنه تزوج امرأة من الأنصار، فقال له رسول الله صلى
الله عليه وسلم: «أنظرت إليها؟»، قال: لا، قال: «فاذهب فانظر إليها، فإن في أعين
الأنصارشيئا»
তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর পাশে বসা ছিলাম।একব্যক্তি এসে বলল, আমি আনসারি এক মহিলাকে বিয়ে করতে চাই।রাসূলুল্লাহ বললেন,তুমি কি পাত্রী দেখেছো?তিনি বললেন,না।রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,যাও গিয়ে পাত্রী দেখে আসো।কেননা
আনসারীদের চোখে নীল বা এ জাতীয় কিছু থাকে।(সহীহ মুসলিম-১৪২৪)
বিয়ের প্রস্তাব প্রদানের পূর্বে বায়োডাটা
প্রেরণ করা হবে।তবে ছবি প্রেরণ করা যাবে না।বরং পাত্র পক্ষের কোনো এক মহিলা সরাসরি
পাত্রীকে দেখে আসবে।
আর প্রস্তাব দেয়ার পর যথাসম্ভব সরাসরি
দেখার চেষ্টা করা হবে।কেননা যে হেকমতে পাত্রী দেখার কথা বলা হচ্ছে,সেটা একমাত্র সরাসরি দেখার মাধ্যমেই সম্ভব হবে।হ্যা কোনো কারণে(যেমন পাত্র
থেকে পাত্রী অনেক দূরে অবস্থানরত)যদি পাত্র-পাত্রীকে সরাসরি দেখা সম্ভব না হয়,তাহলে ভিডিওকলের মাধ্যমে নিম্নোক্ত লিংকে বর্ণিত শর্তাদির সাথে দেখা যেতে পারে।কেননা
ছবির তুলনায় ভিডিওর হুকুমে কিছুটা শীতিলতা রয়েছে।বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/2898
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেই মেয়েকে বিয়ে করার পূর্ণ ইচ্ছা আছে
তাকে নিজে দেখাও জায়েয আছে এবং নিজের মাহরাম মেয়েদেরকে দেখাও জায়েয আছে। তবে মোবাইলে
দেখার চেয়ে সামনা সামনি দেখাই ভালো। সবচেয়ে উত্তম হলো ছেলে পক্ষের কোন মহিলা এসে সরাসরি
পাত্রিকে দেখে যাবে। তবে একান্ত প্রয়োজনে যদি ছবি দেখাতেই হয় তাহলে খেয়াল রাখতে হবে
যে, কোন গায়রে মাহরাম যেন তার ছবি না দেখে। অন্যথায় যে ছবি দেখবে ও
দেখাবে উভয়ে গুনাহগার হবে।