ওয়া আলাইকুমুস সালাম
ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম।
জবাবঃ
■ আল্লাহ
তায়ালা বলেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ
آمَنُوا لَا تَأْكُلُوا أَمْوَالَكُم بَيْنَكُم بِالْبَاطِلِ إِلَّا أَن تَكُونَ
تِجَارَةً عَن تَرَاضٍ مِّنكُمْ ۚ وَلَا تَقْتُلُوا أَنفُسَكُمْ ۚ إِنَّ اللَّهَ
كَانَ بِكُمْ رَحِيمًا
হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র
তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে
হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সূরা নিসা, আয়াত ২৯)
■ অন্যত্রে
তিনি ইরশাদ করেন-
الَّذِينَ يَأْكُلُونَ
الرِّبَا لَا يَقُومُونَ إِلَّا كَمَا يَقُومُ الَّذِي يَتَخَبَّطُهُ الشَّيْطَانُ
مِنَ الْمَسِّ ۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُوا إِنَّمَا الْبَيْعُ مِثْلُ الرِّبَا
ۗ وَأَحَلَّ اللَّهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَا ۚ
যারা সুদ খায়, তারা
কিয়ামতে দন্ডায়মান হবে, যেভাবে
দন্ডায়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান
আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়। তাদের এ অবস্থার কারণ এই যে, তারা বলেছেঃ ক্রয়-বিক্রয় ও তো সুদ নেয়ারই
মত! অথচ আল্লা’হ তা’আলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। (সূরা
বাকারা, আয়াত ২৭৫)
■ আল্লাহ
তায়ালা বলেন-
فَكُلُوا مِمَّا رَزَقَكُمُ اللَّهُ حَلَالًا طَيِّبًا وَاشْكُرُوا
نِعْمَتَ اللَّهِ إِن كُنتُمْ إِيَّاهُ تَعْبُدُونَ
অতএব, আল্লাহ
তোমাদেরকে যেসব হালাল ও পবিত্র বস্তু দিয়েছেন, তা তোমরা আহার কর এবং আল্লাহর অনুগ্রহের জন্যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর যদি তোমরা
তাঁরই এবাদতকারী হয়ে থাক। (সূরা নাহল, আয়াত ১১৪)
■ তিনি
অন্যত্রে বলেন-
وَكُلُوا مِمَّا رَزَقَكُمُ اللَّهُ حَلَالًا طَيِّبًا ۚ
وَاتَّقُوا اللَّهَ الَّذِي أَنتُم بِهِ مُؤْمِنُونَ
আল্লাহ তা’য়ালা যেসব বস্তু তোমাদেরকে দিয়েছেন, তন্মধ্য থেকে হালাল ও পবিত্র বস্তু খাও এবং আল্লাহকে ভয় কর, যার প্রতি তোমরা বিশ্বাসী। (সূরা মায়েদা, আয়াত ৮৮)
■হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর(রা.) থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ
عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا أَخْبَرَهُ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ
صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " إِنَّ الَّذِينَ يَصْنَعُونَ
هَذِهِ الصُّوَرَ يُعَذَّبُونَ يَوْمَ القِيَامَةِ، يُقَالُ لَهُمْ: أَحْيُوا مَا
خَلَقْتُمْ "
রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ
করেছেন,যারা ফটো বানায়, কিয়ামতের দিন তাদের শাস্তি দেয়া হবে এবং তাদের
উদ্দেশ্যে বলা হবে,যা তোমরা বানিয়েছ তাতে জীবন দাও। [সহীহ
বুখারী-৫৯৫১]
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১,২.
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যদি মূল উদ্দেশ্য থাকে থিম বিক্রয়ের, আর প্রাসঙ্গিক বিষয় হিসেবে তাতে নারীর ছবি যুক্ত
করা হয়। তাহলে উক্ত থিম বিক্রয় জায়েজ
আছে। তবে নারীর ছবি
ডিজাইন ও প্রিন্ট করা নাজায়েজ ও গুনাহ হবে। আর যদি এমন
হয় যে,
নারীর ছবি যুক্ত করা ছাড়া থিম বিক্রয় হবে না তাহলে তখন উক্ত থিম বিক্রয় জায়েজ হবে না এবং তা থেকে উপার্জিত
অর্থও হালাল হবে না।
৩. তাদের সার্ভিস/প্রোডাক্ট হালাল হওয়ার কারণে তাদের ইনকাম হালাল হবে। তবে
বেপর্দা ছবি প্রদর্শনের কারণে গুনাহ হবে।
৪. তাদের সার্ভিস/প্রোডাক্ট হালাল হওয়ার কারণে তাদের ইনকাম হালাল হবে। তবে
মিথ্যা তথ্য দেওয়ার কারণে গুনাহ হবে।