বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম।
জবাবঃ
আল্লাহ তায়ালা বলেন-
يَا أَيُّهَا الْمُزَّمِّلُ. قُمِ
اللَّيْلَ إِلَّا قَلِيلًا.
نِّصْفَهُ أَوِ انقُصْ مِنْهُ قَلِيلًا. أَوْ
زِدْ عَلَيْهِ وَرَتِّلِ الْقُرْآنَ تَرْتِيلًا.
إِنَّا سَنُلْقِي عَلَيْكَ قَوْلًا ثَقِيلًا. إِنَّ
نَاشِئَةَ اللَّيْلِ هِيَ أَشَدُّ وَطْئًا وَأَقْوَمُ قِيلًا. إِنَّ لَكَ فِي النَّهَارِ سَبْحًا طَوِيلًا.
হে বস্ত্রাবৃত! রাত্রিতে
দন্ডায়মান হোন কিছু অংশ বাদ দিয়ে; অর্ধরাত্রি অথবা তদপেক্ষা কিছু কম অথবা
তদপেক্ষা বেশী এবং কোরআন আবৃত্তি করুন সুবিন্যস্ত ভাবে ও স্পষ্টভাবে। আমি আপনার
প্রতি অবতীর্ণ করেছি গুরুত্বপূর্ণ বাণী। নিশ্চয় এবাদতের জন্যে রাত্রিতে উঠা
প্রবৃত্তি দলনে সহায়ক এবং স্পষ্ট উচ্চারণের অনুকূল। নিশ্চয় দিবাভাগে রয়েছে আপনার
দীর্ঘ কর্মব্যস্ততা। (সূরা মুযযাম্মিল, আয়াত নং-১-৭)
হাদীস শরীফে
এসেছেঃ
عن أبي سلمة بن عبد
الرحمن أنه سأل عائشة رضي الله عنها كيف كان صلاة رسول الله صلى الله عليه وسلم في
رمضان؟ قالت ما كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يزيد في رمضان ولا في غيره على
إحدى عشرة ركعة، يصلي أربعا فلا تسأل عن حسنهن وطولهن، ثم يصلي أربعا فلا تسأل عن
حسنهن وطولهن ثم يصلي ثلاثا.
আবু সালামা ইবনে আবদুর রহমান উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রা. কে জিজ্ঞাসা করেন, ‘রমযানুল মুবারকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম-এর নামায কীরূপ হত?’ উম্মুল
মুমিনীন বলেন, ‘নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযানে ও রমযানের বাইরে এগারো রাকাতের বেশি পড়তেন না। প্রথমে
চার রাকাত পড়তেন-এত সুন্দর ও দীর্ঘ সে নামায, যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। অতঃপর চার রাকাত পড়তেন-এরও দীর্ঘতা ও সৌন্দর্য
সম্পর্কে জানতে চেয়ো না। এরপর তিন রাকাত পড়তেন।’ (সহীহ বুখারী
১/১৫৪; সহীহ মুসলিম
১/২৫৪; সুনানে
নাসায়ী ১/২৪৮; সুনানে আবু
দাউদ ১/১৮৯; মুসনাদে
আহমদ ৬/৩৬)
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. হ্যাঁ, তা তাহাজ্জুদ হিসেবে গন্য হবে।
২. আসরের আগে তাহিয়্যতুল ওযুর নামাজ পড়বেন। তবে ফজর ও মাগরীবের আগে পড়া যাবে না।