আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
139 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
এই যে কুমিল্লায় যেই ঘটনা ঘটে গেলো ,হিন্দুরা যে আমাদের কুরআনকে এভাবে অসম্মান করলো এবং এতে কিছু মুসলিম রেগে গিয়ে  তাদের পুজোর মূর্তি ভেঙ্গে ফেললো এটা কি একজন মুসলিম হিসেবে করাটা কি জায়েজ হয়েছে?কারণ একজন মুসলিম হিসেবে এগুলো বিষয় দেখে রাগ আটকানো অনেক কঠিন।অন্য ধর্মের কেউ যদি এভাবে আমাদের ধর্মের ক্ষতি করে আমাদের কি করা উচিত?অনেক সময় বাহিরের দেশে কুরআনকে এভাবে অসম্মান করা হয় বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলোতে,আমরা তো সেখানে কিছুই করতে পারি না।এবং আমার আরো একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রশ্ন  যেটি আমাকে একজন মুসলিম করেছে যে এমন একটি সময় হলো নামাজ পড়ার কোথায় জায়গা নেই,এই সময় সামনে একটি মন্দির আছে তখন কি মন্দিরের সামনে অথবা মন্দিরের ভিতরে নামাজ আদায় করা যাবে নাকি নামাজ কাজা করতে হবে।অনেক সময় আমরা যাতায়াত অবস্থায় থাকি তখন বাসে বা ট্রেনে যেখানে  বসে থাকি জায়গাটা সম্পূর্ণ ময়লা থাকে এবং জায়গাটি পাক নাকি নাপাক বুঝা মুশকিল এ সময় আমার করণীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (63,560 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ صَالَحَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَهْلَ نَجْرَانَ عَلَى أَلْفَىْ حُلَّةٍ النِّصْفُ فِي صَفَرٍ وَالْبَقِيَّةُ فِي رَجَبٍ يُؤَدُّونَهَا إِلَى الْمُسْلِمِينَ وَعَارِيَةِ ثَلاَثِينَ دِرْعًا وَثَلاَثِينَ فَرَسًا وَثَلاَثِينَ بَعِيرًا وَثَلاَثِينَ مِنْ كُلِّ صِنْفٍ مِنْ أَصْنَافِ السِّلاَحِ يَغْزُونَ بِهَا وَالْمُسْلِمُونَ ضَامِنُونَ لَهَا حَتَّى يَرُدُّوهَا عَلَيْهِمْ إِنْ كَانَ بِالْيَمَنِ كَيْدٌ أَوْ غَدْرَةٌ عَلَى أَنْ لاَ تُهْدَمَ لَهُمْ بَيْعَةٌ وَلاَ يُخْرَجُ لَهُمْ قَسٌّ وَلاَ يُفْتَنُوا عَنْ دِينِهِمْ مَا لَمْ يُحْدِثُوا حَدَثًا أَوْ يَأْكُلُوا الرِّبَا . قَالَ إِسْمَاعِيلُ فَقَدْ أَكَلُوا الرِّبَا . قَالَ أَبُو دَاوُدَ إِذَا نَقَضُوا بَعْضَ مَا اشْتَرَطَ عَلَيْهِمْ فَقَدْ أَحْدَثُوا .

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নাজরানের খৃস্টানদের সাথে বছরে দুই হাজার জোড়া কাপড় দেয়ার শর্তে সন্ধি করেন। তারা অর্ধেক কাপড় সফর মাসে এবং অবশিষ্ট অর্ধেক রজব মাসে মুসলিমদের নিকট পরিশোধ করবে এবং তারা তিরিশটি লৌহবর্ম, তিরিশটি ঘোড়া, তিরিশটি উট এবং প্রত্যেক প্রকারের তিরিশটি করে যুদ্ধাস্ত্র তাদেরকে জিহাদের জন্য ধার হিসেবে প্রদান করবে। কেউ যদি ইয়ামানে বিশ্বাসঘাতকা করে কিংবা বিদ্রোহ করে তাহলে তা দমনের জন্য এ অস্ত্র ব্যবহার করা হবে। যুদ্ধের পর মুসলিমরা এগুলো তাদেরকে ফেরত দিতে বাধ্য থাকবে। এ ধার দেয়ার বিনিময়ে তাদের গীর্জাসমূহ ধ্বংস করা হবে না, তাদের পুরোহিতদের বিতাড়িত করা হবে না এবং তাদের ধর্মের উপর হস্তক্ষেপ করা হবে না। চুক্তির এ শর্তগুলো ততক্ষণই বলবৎ থাকবে যতক্ষণ তারা বিরূপ পরিস্থিত সৃষ্টি না করবে এবং সুদের ব্যবসায় না জড়াবে। বর্ণনাকারী ইসমাঈল বলেন, নাজরানবাসীরা সুদের ব্যবসায় জড়িয়ে চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩০৪১)

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

১. কুরআনুল কারীমকে কেউ যদি অসম্মান করে তাহলে রাষ্ট্র প্রধানের উপর দায়িত্ব বর্তায় যে, ঐ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া। সুতরাং এই দায়িত্ব হলো রাষ্ট্র প্রধানের, জনগণের নয়। তাই জনগণের জন্য উক্ত আইন নিজ হাতে তুলে নিয়ে উক্ত ব্যক্তিকে শাস্তি দেওয়া ঠিক হবে না।

২. যেহেতু আমাদের দেশে হিন্দুরা ট্যাক্স দিয়ে বসবাস করে তাই তাদের নিরাপত্তা প্রদান করা আমাদের দায়িত্ব। সুতরাং মুসলমানদের জন্য  আগে বেড়ে তাদের প্রতিমা ভাঙচুর করা ঠিক হবে না।

৩. পৃথিবীর সকল পবিত্র স্থানেই নামাজ পড়া যাবে। সুতরাং বাহ্যিক  ভাবে যদি নাপাকি দেখা না যায় তাহলে উক্ত স্থানে নামাজ পড়তে সমস্যা নেই। উল্লেখ্য যে, নামাজের মধ্যে দাড়ানো ফরজ। আর এটা বাসের সিটে বসে হয় না। তাই বাসের সিটে বসে নামাজ পড়লে পুনরায় ঐ নামাজ কাযা করতে হবে।

৪. মন্দির যেহেতু হিন্দুদের উপসনালয়, তাই সেখানে নামাজ পড়া ঠিক নয়। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...