বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম।
জবাবঃ
হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ صَالَحَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
أَهْلَ نَجْرَانَ عَلَى أَلْفَىْ حُلَّةٍ النِّصْفُ فِي صَفَرٍ وَالْبَقِيَّةُ فِي
رَجَبٍ يُؤَدُّونَهَا إِلَى الْمُسْلِمِينَ وَعَارِيَةِ ثَلاَثِينَ دِرْعًا وَثَلاَثِينَ
فَرَسًا وَثَلاَثِينَ بَعِيرًا وَثَلاَثِينَ مِنْ كُلِّ صِنْفٍ مِنْ أَصْنَافِ
السِّلاَحِ يَغْزُونَ بِهَا وَالْمُسْلِمُونَ ضَامِنُونَ لَهَا حَتَّى يَرُدُّوهَا
عَلَيْهِمْ إِنْ كَانَ بِالْيَمَنِ كَيْدٌ أَوْ غَدْرَةٌ عَلَى أَنْ لاَ تُهْدَمَ
لَهُمْ بَيْعَةٌ وَلاَ يُخْرَجُ لَهُمْ قَسٌّ وَلاَ يُفْتَنُوا عَنْ دِينِهِمْ مَا
لَمْ يُحْدِثُوا حَدَثًا أَوْ يَأْكُلُوا الرِّبَا . قَالَ إِسْمَاعِيلُ فَقَدْ
أَكَلُوا الرِّبَا . قَالَ أَبُو دَاوُدَ إِذَا نَقَضُوا بَعْضَ مَا اشْتَرَطَ
عَلَيْهِمْ فَقَدْ أَحْدَثُوا .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
নাজরানের খৃস্টানদের সাথে বছরে দুই হাজার জোড়া কাপড় দেয়ার শর্তে সন্ধি করেন। তারা
অর্ধেক কাপড় সফর মাসে এবং অবশিষ্ট অর্ধেক রজব মাসে মুসলিমদের নিকট পরিশোধ করবে এবং
তারা তিরিশটি লৌহবর্ম, তিরিশটি ঘোড়া, তিরিশটি উট এবং প্রত্যেক প্রকারের তিরিশটি করে
যুদ্ধাস্ত্র তাদেরকে জিহাদের জন্য ধার হিসেবে প্রদান করবে। কেউ যদি ইয়ামানে
বিশ্বাসঘাতকা করে কিংবা বিদ্রোহ করে তাহলে তা দমনের জন্য এ অস্ত্র ব্যবহার করা
হবে। যুদ্ধের পর মুসলিমরা এগুলো তাদেরকে ফেরত দিতে বাধ্য থাকবে। এ ধার দেয়ার
বিনিময়ে তাদের গীর্জাসমূহ ধ্বংস করা হবে না, তাদের পুরোহিতদের বিতাড়িত
করা হবে না এবং তাদের ধর্মের উপর হস্তক্ষেপ করা হবে না। চুক্তির এ শর্তগুলো
ততক্ষণই বলবৎ থাকবে যতক্ষণ তারা বিরূপ পরিস্থিত সৃষ্টি না করবে এবং সুদের ব্যবসায়
না জড়াবে। বর্ণনাকারী ইসমাঈল বলেন, নাজরানবাসীরা সুদের ব্যবসায়
জড়িয়ে চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩০৪১)
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. কুরআনুল কারীমকে কেউ যদি
অসম্মান করে তাহলে রাষ্ট্র প্রধানের উপর দায়িত্ব বর্তায় যে, ঐ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে
সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া। সুতরাং এই দায়িত্ব হলো রাষ্ট্র প্রধানের, জনগণের নয়। তাই জনগণের জন্য উক্ত আইন নিজ হাতে তুলে নিয়ে উক্ত ব্যক্তিকে
শাস্তি দেওয়া ঠিক হবে না।
২. যেহেতু আমাদের দেশে
হিন্দুরা ট্যাক্স দিয়ে বসবাস করে তাই তাদের নিরাপত্তা প্রদান করা আমাদের দায়িত্ব।
সুতরাং মুসলমানদের জন্য আগে বেড়ে তাদের প্রতিমা ভাঙচুর
করা ঠিক হবে না।
৩. পৃথিবীর সকল পবিত্র
স্থানেই নামাজ পড়া যাবে। সুতরাং বাহ্যিক ভাবে
যদি নাপাকি দেখা না যায় তাহলে উক্ত স্থানে নামাজ পড়তে সমস্যা নেই। উল্লেখ্য যে,
নামাজের মধ্যে দাড়ানো ফরজ। আর এটা বাসের সিটে বসে হয় না। তাই বাসের
সিটে বসে নামাজ পড়লে পুনরায় ঐ নামাজ কাযা করতে হবে।
৪. মন্দির যেহেতু হিন্দুদের
উপসনালয়, তাই সেখানে
নামাজ পড়া ঠিক নয়।