বিসমিহি তা'আলা
উত্তর:-
(১)
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺰِﺭُ ﻭَﺍﺯِﺭَﺓٌ ﻭِﺯْﺭَ ﺃُﺧْﺮَﻯ ﻭَﺇِﻥ ﺗَﺪْﻉُ ﻣُﺜْﻘَﻠَﺔٌ ﺇِﻟَﻰ ﺣِﻤْﻠِﻬَﺎ ﻟَﺎ ﻳُﺤْﻤَﻞْ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْﺀٌ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺎﻥَ ﺫَﺍ ﻗُﺮْﺑَﻰ ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺗُﻨﺬِﺭُ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻳَﺨْﺸَﻮْﻥَ ﺭَﺑَّﻬُﻢ ﺑِﺎﻟﻐَﻴْﺐِ ﻭَﺃَﻗَﺎﻣُﻮﺍ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓَ ﻭَﻣَﻦ ﺗَﺰَﻛَّﻰ ﻓَﺈِﻧَّﻤَﺎ ﻳَﺘَﺰَﻛَّﻰ ﻟِﻨَﻔْﺴِﻪِ ﻭَﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟْﻤَﺼِﻴﺮُ
কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কেউ যদি তার গুরুতর ভার বহন করতে অন্যকে আহবান করে কেউ তা বহন করবে না-যদি সে নিকটবর্তী আত্নীয়ও হয়। আপনি কেবল তাদেরকে সতর্ক করেন, যারা তাদের পালনকর্তাকে না দেখেও ভয় করে এবং নামায কায়েম করে। যে কেউ নিজের সংশোধন করে, সে সংশোধন করে, স্বীয় কল্যাণের জন্যেই আল্লাহর নিকটই সকলের প্রত্যাবর্তন।
(সূরা ফাতির-১৮)
জবাব বুঝার পূর্বে কয়েকটি পরিভাষা বুঝে নেয়া অতিপ্রয়োজনীয়।
যথা-
তালাকঃ
স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে প্রদাণ করা হয়।সহবাসের পূর্বে তালাক দিলে অর্ধেক মহর ফিরিয়ে আনা যাবে,নতুবা যাবে না।
খু'লাঃ
স্ত্রী কর্তৃক মহর ফিরিয়ে দিয়ে বা নির্দিষ্ট মালের বিনিময়ে স্বামীর নিকট থেকে বিবাহ বন্ধন মুক্তি লাভ করা।
ফসখে নিকাহ
শরীয়ত অনুমোদিত বিভিন্ন কারণে পঞ্চায়েত/কাযী /শরয়ী কোর্ট বা মুসলিম বিচারকের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রী মধ্যকার বিবাহ ভঙ্গণ করিয়ে দেয়া।
ফসখে নিকাহ মানে যেন কোনো বিবাহ-ই হয়নি।
স্বামী যিনা-ব্যভিচার সহ বিভিন্ন গোনাহে লিপ্ত থাকা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার ফসখে নিকাহ (বিবাহ ভঙ্গ )এর কোনো কারণ নয়।
তবে হ্যা স্ত্রী এক্ষেত্রে স্বামীর নিকট তালাক চাইতে পারবে।অথবা খুলা করতে পারবে।
তবে যদি স্বামী খোরপোষ বা বাসস্থান না দেয় তাহলে এক্ষেত্রে স্ত্রী কাযী সাহেব/পঞ্চায়েত/শরয়ী কোর্টের মাধ্যমে ফসখে নিকাহ (বিবাহ ভঙ্গ) করিয়ে নিতে পারবে।
ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যা-১৩/১৮৭
(২)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
বর্তমান পরিস্থিতিতে আপনি যেকোনো ভাবে স্বামীকে বুঝিয়ে তালাক নিতে পারবেন।বা তার সাথে খুলা করতে পারবেন।
আল্লাহ ই ভালো জানেন।
উত্তর লিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, IOM.
পরিচালক
ইসলামিক রিচার্স কাউন্সিল বাংলাদেশ