ওয়া আলাইকুমুস সালাম
ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম।
জবাবঃ
■ আল্লাহ তায়ালা বলেন-
لَا
تَقُمْ فِيهِ أَبَدًا ۚ لَّمَسْجِدٌ أُسِّسَ عَلَى التَّقْوَىٰ مِنْ أَوَّلِ
يَوْمٍ أَحَقُّ أَن تَقُومَ فِيهِ ۚ فِيهِ رِجَالٌ يُحِبُّونَ أَن يَتَطَهَّرُوا ۚ
وَاللَّهُ يُحِبُّ الْمُطَّهِّرِينَ
তুমি কখনো সেখানে দাড়াবে না, তবে যে মসজিদের ভিত্তি রাখা হয়েছে তাকওয়ার
উপর প্রথম দিন থেকে, সেটিই তোমার দাঁড়াবার যোগ্য স্থান।
সেখানে রয়েছে এমন লোক, যারা পবিত্রতাকে ভালবাসে। আর আল্লাহ
পবিত্র লোকদের ভালবাসেন। (সূরা তাওবাহ, আয়াত ১০৮)
■ হাদীস শরীফে এসেছে-
عَن
أَنَسٍ , قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
«تَنَزَّهُوا مِنَ الْبَوْلِ فَإِنَّ عَامَّةَ عَذَابِ الْقَبْرِ مِنْهُ»
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা প্রস্রাব থেকে সাবধানতা অবলম্বন কর।
কারণ, অধিকাংশ কবরের আযাব এই প্রস্রাব (থেকে সাবধান না
হওয়ার) ফলেই হয়ে থাকে। (দারাকুত্বনী ১/১২৭, সহীহ তারগীব ১৫১)
■ অন্য এক হাদীসে এসেছে-
عَنِ
ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ مَرَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم
صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم بِقَبْرَيْنِ فَقَالَ
" إِنَّهُمَا لَيُعَذَّبَانِ، وَمَا يُعَذَّبَانِ فِي كَبِيرٍ أَمَّا
أَحَدُهُمَا فَكَانَ لاَ يَسْتَتِرُ مِنَ الْبَوْلِ، وَأَمَّا الآخَرُ فَكَانَ
يَمْشِي بِالنَّمِيمَةِ ". ثُمَّ أَخَذَ جَرِيدَةً رَطْبَةً، فَشَقَّهَا
نِصْفَيْنِ، فَغَرَزَ فِي كُلِّ قَبْرٍ وَاحِدَةً. قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ،
لِمَ فَعَلْتَ هَذَا قَالَ " لَعَلَّهُ يُخَفَّفُ عَنْهُمَا مَا لَمْ
يَيْبَسَا ". قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى وَحَدَّثَنَا وَكِيعٌ قَالَ
حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ قَالَ سَمِعْتُ مُجَاهِدًا مِثْلَهُ " يَسْتَتِرُ
مِنْ بَوْلِهِ
ইবনু ‘আব্বাস (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা দু’টি কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। এ সময়
তিনি বললেনঃ এদের ‘আযাব দেয়া হচ্ছে, কোন গুরুতর অপরাধের জন্য তাদের শাস্তি
দেয়া হচ্ছে না। তাদের একজন পেশাব হতে সতর্ক থাকত না। আর অপরজন চোগলখোরী করে বেড়াত।
তারপর তিনি একখানি কাঁচা খেজুরের ডাল নিয়ে ভেঙ্গে দু’ভাগ করলেন এবং প্রত্যেক কবরের
উপর একখানি গেড়ে দিলেন। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! কেন এমন
করলেন? তিনি বললেনঃ আশা করা যেতে পারে যতক্ষণ
পর্যন্ত এ দু’টি শুকিয়ে না যায় তাদের আযাব কিছুটা হালকা করা হবে। ইবনুল মুসান্না
(রহ.) আ‘মাশ (রহ.) বলেনঃ আমি মুজাহিদ (রহ.) হতে অনুরূপ শুনেছি। সে তার পেশাব হতে
সতর্ক থাকত। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং-
২১৮)
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
না, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে সালাত ব্যতীত অন্য সময় নাপাক থাকলে শুধু এ কারণে কবরের আযাব হবে না ইনশাআল্লাহ। তবু
যথাসম্ভব পবিত্র থাকার চেষ্টা করবেন।