আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
302 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (11 points)
আসসালামু আলাইকুম,
আমি এক বছর হলো বিবাহ করেছি। স্ত্রী তার বাবার বাসায় অবস্থান করছে তার পড়ালিখা শেষ না হওয়ায়। কিন্তু সেখানে তার চাচাত ভাই , মামাত ভাই, ফুফাত ভাই একের পর এক থাকেই৷

এমনিতেই যথাসম্ভব পর্দা মেইনটেইন করা হয় বাসায়৷ তবুও স্বামী হিসেবে বিষয়টা স্বস্তিদায়ক না এবং একটা পেরেশানি কাজ করে। আবার মাঝে সাজে  অনিচ্ছাকৃত পর্দার খেলাফ হয়ে যায়  এভাবে থাকলে।
আমার শশুর অনেক দ্বীনদার। সে আত্মীয়তার সম্পর্ক নিয়ে খুব বেশি সিরিয়াস। তাই অনেক আগে থেকেই তার বাসায় এমন থাকেই। আর আত্মীয়রাও হর হামেশা এসে থাকেন রেগুলারলি। এটাকে নরমাল বানিয়ে নিয়েছেন৷
এমতাবস্থায় আমার করণীয় কি?
আর আমাকে কিছু কুরান হাদিসের দলিল দিয়ে দুইটা বিষয়ের মাঝে কোনটা প্রাধান্য দেয়া উচিত সেইটা দিলে আমি আমার শ্বশুরের সাথে আলোচনা করে নসীহা করার চেষ্টা করতাম।
জাজাকাল্লাহ খইরান

1 Answer

+1 vote
by (61,230 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

 আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন,

يَا نِسَاءَ النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِنَ النِّسَاءِ إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا مَعْرُوفًا (32) وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى

হে নবীর স্ত্রীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও [ইহুদী খৃষ্টান)। তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় পাও তবে আকর্ষণধর্মী ভঙ্গিতে কথা বলনা, যাতে যাদের মাঝে যৌনলিপ্সা আছে তারা তোমাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। বরং তোমরা স্বাভাবিক কথা বল। এবং তোমরা অবস্থান কর স্বীয় বসবাসের গৃহে, জাহেলী যুগের মেয়েদের মত নিজেদের প্রকাশ করো না। {সূরা আহযাব-৩২}

 

وَقُلْ لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا ۖ وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَىٰ جُيُوبِهِنَّ ۖ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوِ التَّابِعِينَ غَيْرِ أُولِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلَىٰ عَوْرَاتِ النِّسَاءِ ۖ وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِنْ زِينَتِهِنَّ ۚ وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ [٢٤:٣١]

ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। {সূরা নূর-৩০-৩১}

وَإِذَا سَأَلْتُمُوهُنَّ مَتَاعًا فَاسْأَلُوهُنَّ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ ذَلِكُمْ أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّ

অর্থ : আর তোমরা তাঁর (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর স্ত্রীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্য এবং তাঁদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারণ। {সূরা আহযাব-৫৩}

আরো বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: https://ifatwa.info/23947/

অন্যদিকে আত্মীয়তার সম্পর্ককে অটুট রাখা ওয়াজিব পর্যায়ের বিধান।বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/1577

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

আত্নীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা যেমন আবশ্যক তার চেয়েও বেশী গুরুত্বপূর্ণ হলো পর্দার বিধান রক্ষা করা। আপনার স্ত্রীর জন্য তার চাচাত, মামাত,খালাত বা ফুফাত ভাইয়ের সাথে দেখা করা জায়েয নেই।কারণ, তারা নন মাহরাম। আর নন মাহরাম থেকে পর্দা করা ফরজ। শরিয়তের বিধান কখনই আত্নীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করতে বলে না বরং ইসলাম আত্নীয়তার সম্পর্ক আরো মজবুত করতে উৎসাহ দেয়। তবে সব কিছু শরিয়তের বিধান মেনেই করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার শশুরের জন্য উচিত বাড়ীতে খাস পর্দার ব্যবস্থা করবে এবং উক্ত বিধাণের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার জন্য ও তা মানার জন্য সকলকে দাওয়াত দিবে। প্রথম অবস্থায় কেউ কেউ মনে কষ্ট পেলেও পরবর্তিতে ধীরে ধীরে সব ঠিক হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (11 points)
জাজাকামুল্লাহু খইরান।  
আল্লাহ আপনাকে আরো বেশি বেশি খেদমতের সুযোগ দিক। আমীন। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...