উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
★শরীয়তের বিধান হলো মৃত ব্যাক্তিকে গোসল দেওয়ার পূর্বে তার পাশে বসে কুরআন শরিফ তেলাওয়াত করা মাকরুহ।
তবে গোসল দেওয়ার পর পড়া যাবে।
কিতাবুল ফাতওয়া ৩/৯৪
’’ وتکرہ القراء ۃ عند ہ حتی یغسل ‘‘
کبیری 533
অর্থাৎ গোসলের পূর্বে তার কাছে কুরআন তেলাওয়াত করা মাকরুহ।
★ মৃত ব্যাক্তিকে কবরে নিয়ে যাওয়ার সময় উচ্চস্বরে কালেমা পাঠ করার বিধান ইসলামী শরীয়তে নেই।
★ কবরস্থ করার সময় এই আমলের ভিত্তি রয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর মেয়ে উম্মে কুলসুম রাঃ কে কবরে রাখার সময় এ দুআ পড়েছেন।
হাদীসে এসেছে
عَنْ أَبِي أُمَامَةَ قَالَ: لَمَّا وُضِعَتْ أُمُّ كُلْثُومٍ ابْنَةُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْقَبْرِ. قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” {مِنْهَا خَلَقْنَاكُمْ وَفِيهَا نُعِيدُكُمْ، وَمِنْهَا نُخْرِجُكُمْ تَارَةً أُخْرَى} [طه: 55
হযরত আবু উমামা রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন রাসূল সাঃ এর মেয়ে উম্মে কুলসুম রাঃ কে কবরে রাখা হয়, তখন রাসূল সাঃ পড়েন মিনহা খালকনাকুম ওয়াফীহা নুয়ীদুকুম ওয়ামিনহা নুখরিজুকুম তারাতান উখরা।
মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২২১৮৭।
মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস নং-৩৪৩৩।
সুনানুল কুবরা লিলবায়হাকী, হাদীস নং-৬৭২৬।
খুলাসাতুল আহকাম, হাদীস নং-৩৬৫১।
জামেউল মাসানীদ ওয়াস সুনান, হাদীস নং-১১০২৪।
মাযমাউজ যাওয়ায়েদ, হাদীস নং-৪২৩৯।
কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-১৮৮১।
আলমুসনাদুল জামে, হাদীস নং-৫২৫৩।
★সাধারণত কবরের চার দিকে ৪ টি খুটি দেওয়া হয় কবর চিন্হিত করার জন্য।
এটাকে কেউ শরীয়তের কাজ বলে মনে করেনা।
★কবরের উপর কাঁচা খেজুরের ডাল না গেড়ে দেওয়াই উত্তম।
কারন হাদীস শরীফে রাসুল সাঃ এর যেই ঘটনা এসেছে,উলামায়ে কেরামগন বলেন যে এটা রাসুল সাঃ এর সাথেই খাছ।
তাই সতর্কতামূলক ইহা থেকে বেঁচে থাকা দরকার।
ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম ৫/২৮২
তবে কেউ যদি জরুরি মনে না করে এটা গেড়ে দেয়,তাহলে এটাকে নাজায়েজ বলা যাবেনা।
★তবে কিছু উলামায়ে কেরাম এটাকে পুরোপুরি ভাবেই নিষেধ করেছেন।
★অসুস্থ ব্যাক্তির সুস্থতার জন্য তার পাশে বসে কুরআন তেলাওয়াত করা যাবে।
তবে যদি এতে অসুস্থ ব্যাক্তির কষ্ট হয়,তাহলে আস্তে তেলাওয়াত করবে।