উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
কারো মৃত্যুতে নীরবতা পালন করা,স্ত্রী ব্যাতিত অন্য কাহারো জন্য ৩ দিনের চেয়ে বেশি শোক পালন,শোক দিবস পালন,জাতীয় পতাকাকে স্যালুট দেয়া, শহীদ মিনারে ফুল দেয়া, ইসলাম কখনোই এগুলোর অনুমোদন দেয়না।
,
★কারো মৃত্যুতে নীরবতা পালন করা এটা অমুসলিমদের সংস্কৃতি।
অমুসলিমদের অনুকরণে মৃত ব্যক্তির কবরে দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা, মৃত ব্যক্তির কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা শরীয়তসম্মত নয়। এগুলো বিজাতীয় সংস্কৃতি। বিধর্মীদের আবিষ্কার। আর বিজাতিদের অনুসরণের ব্যাপারে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কঠোরভাবে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেছেন- যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের সাদৃশ্য অবলম্বন করবে-সে তাদের দলভুক্ত হবে। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৪০৩১
সুতরাং মুসলমানদের কর্তব্য এসব অহেতুক মনগড়া কাজ সম্পূর্ণরূপে পরিহার করা।
★★শোক দিবস বলতে ইসলামে কিছুই নেই
ইসলামে যদি শোকদিবস বলতে কিছু থাকতো, তাহলে রাসূল সা. এর ইন্তিকালের দিনটি হত সবচেয়ে শোকের দিন। কারণ তাঁর মৃত্যুতে বিশ্ব-চরাচরের যে বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হয়ে গিয়েছিলো তা ছিলো অপূরনীয়। কিন্তু সাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈন ও তাবে তাবেঈনের যুগে তার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না।
রাসূল সা. এর জীবদ্দশায় তার সন্তান ও মা ইন্তিকাল করেছেন, তিনি তাদের জন্য কোনো নির্দিষ্ট দিবসে কোনো কিছুর ইন্তিজাম করেননি।
এছাড়া মৃত ব্যক্তির জন্য 'নিয়াহা' বা শোক অনুষ্ঠান পালনের ব্যাপারে সরাসরি রাসূল সা. থেকে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তিনি বলেন
المَيِّتُ يُعَذَّبُ في قَبْرِهِ بِما نِيحَ عليه. "
শোক অনুষ্ঠান করার কারণে মৃত ব্যক্তিকে শাস্তি দেয়া হয়"(বুখারী)।
শোক অনুষ্ঠান রাসূল সা. এর যুগেও ছিলো। তবে এটি কোনো ইসলামী রীতি তো ছিলোই না। বরং ছিলো মুশরেকদের মধ্যে প্রচলিত জাহেলি যুগের একটি রীতি। রাসূল সা. একে কুফরি বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন,
اثنتانِ في الناسِ هما بهم كفرٌ : الطعنُ فيالأنسابِ ، و النِّياحةُ على الميِّتِ.
মানুষের মধ্যে এমন দুইটি বিষয় রয়েছে যা কুফরি। এক: বংশ নিয়ে অপবাদ দেয়া। দুই: নিয়াহা বা শোক অনুষ্ঠান পালন করা। (সহীহ মুসলিম)
স্বামী ছাড়া অন্য কারো মৃত্যুতে নারীদের জন্য তিনদিন শোক পালন করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। স্বামীর মৃত্যুতে ৪ মাস ১০ দিন অথবা গর্ভবতী হলে প্রসব পর্যন্ত শোকপালন করা ওয়াজিব। এসময় তারা রঙিন পোশাক, অলংকার, মেহেদী, সুরমা ইত্যাদি ব্যবহার থেকে বিরত থাকবে। এবং স্বামীর বাড়ী ছাড়া অন্য কোথাও যেতে পারবে না। তবে পুরুষের জন্য এধরনের কোনো বিধানও নেই। অর্থাৎ পুরুষরা নির্দিষ্ট কোনো আনুষ্ঠানিকতা মধ্য দিয়ে শোক পালন করতে পারবে না।
রাসূল সা. বলেন
لا يحل لامرأة تؤمن بالله واليوم الآخر أن تحد على ميت فوق ثلاث إلا على زوج فإنها تحد عليه أربعة أشهر وعشرا
আল্লাহ এবং পরকালে বিশ্বাসী কোনো নারীর জন্য তার স্বামী ব্যতীত অন্য কারো মৃত্যুতে তিন দিনের বেশি সময় হিদাদ (শোক করা ও সাজসজ্জা থেকে বিরত থাকা) বৈধ নয়। আর স্বামীর মৃত্যুতে ৪ মাস ১০ দিন হিদাদ পালন করবে।(সহীহ বুখারী ১২৮০)
নিজের মা-বাবা হোক কিংবা অন্যের মা-বাবা। যে কোনো মৃত ব্যক্তির জন্য কিছু করতে চাইলে তা যদি আমরা ইসলামি নিয়ম মেনে করি তাহলে আমাদের উদ্দেশ্যও অর্জিত হবে। টাকাগুলোও জলে যাবে না। মৃত ব্যক্তির জন্য আমরা কি করতে পারি চলুন তা দেখে নেই।
১- কোনো দিন বা সময় নির্দিষ্ট না করে দুয়া করা।
দলীল...
আল্লাহ তায়ালা বলেন,
وَالَّذِينَ جَاءُوا مِنْ بَعْدِهِمْ يَقُولُونَ رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَلِإِخْوَانِنَا الَّذِينَ سَبَقُونَا بِالْإِيمَانِ
আর যারা পরবর্তীতে আসবে, তারা বলবে, হে আমাদের রব! আপনি আমাদের ক্ষমা করুন, এবং আমাদের সেসকল ঈমানদার ভাইদের ক্ষমা করুন যারা আমাদের পূর্বে গত হয়েছে। {সূরা হাশর-১০}
২. সদকায়ে জারিয়া বা এমন সাদকা যা থেকে মানুষ মৃত্যুর পরও উপকৃত হতে থাকে। যতদিন মানুষ উপকৃত হবে ততদিন সাওয়াব পৌঁছাতে থাকবে
৩- এমন জ্ঞান-যার দ্বারা উপকৃত হওয়া যায়। সেই জ্ঞান একজন থেকে আরেকজন যতদিন পৌঁছাতে থাকবে ততদিন সাওয়াব জারী থাকবে।
৪. এমন নেক সন্তান- যে তার জন্য দু‘আ করে।
২,৩, ও ৪ এর দলীল...
إِذَا مَاتَ الإِنْسَانُ انْقَطَعَ عَنْهُ عَمَلُهُ إِلاَّ مِنْ ثَلاَثَةٍ إِلاَّ مِنْ صَدَقَةٍ جَارِيَةٍ أَوْ عِلْمٍ يُنْتَفَعُ بِهِ أَوْ وَلَدٍ صَالِحٍ يَدْعُو لَهُ
মানুষ মৃত্যুবরণ করলে তার যাবতীয় আমল বন্ধ হয়ে যায়, তবে ৩ টি আমল বন্ধ হয় না-১. সদকায়ে জারিয়া ২. এমন জ্ঞান-যার দ্বারা উপকৃত হওয়া যায় ৩. এমন নেক সন্তান- যে তার জন্য দু‘আ করে।
(সহিহ মুসলিম)
৫. সাধারণ সাদাকা।
দলীল...
- أنَّ رجُلًا قال للنَّبيِّ صلَّى اللهُ عليه وسلَّمَ:إنَّ أُمِّي افتُلِتَتْ نفْسُها (أي: ماتت فجأةً)، وأَظُنُّها لو تكَلَّمَتْ تصَدَّقَتْ، أفأتَصدَّقُ عنها؟ قال: نعَمْ، تصَدَّقْ عنها. وفي روايةٍ: فهلْ لهاأجْرٌ إنْ تصَدَّقْتُ عنها
"এক ব্যক্তি রাসূল সা. কে বলল, আমার মা হঠাৎ করে মারা গেছে। আমার ধারণা সে কথা বলার সুযোগ পেলে দান করতে বলত। আমি কি তার পক্ষ থেকে দান করতে পারবো? তিনি বললেন হ্যাঁ। তার পক্ষ থেকে সাদাকা করো।
(তাখরীজুল মুসনাদ, হাদীসের মান: সহীহ)
৬. সিয়াম পালন করা। নফল সিয়ামের দলীল না থাকলেও ওয়াজিব সিয়ামের ব্যপারে অনুমোদন রয়েছে।
দলীল...
مَن مَاتَ وعليه صِيَامٌ صَامَ عنْه ولِيُّهُ.
‘আয়িশাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: সওমের কাযা যিম্মায় রেখে যদি কোন ব্যক্তি মারা যায় তাহলে তার অভিভাবক তার পক্ষ হতে সওম আদায় করবে।
(সহীহ বুখারী)
৭. মাদ্রাসায় কুরআন শরীফ বা দ্বীনী কিতাবাদী কিনে দেয়া
৮. মসজিদ নির্মাণ করা
৯. মুসাফিরখানা বা পান্থশালা নির্মাণ করা
১০. খাল-বিল, নালা, ইত্যাদিতে পানি প্রবহিত করার ব্যবস্থা করা
১১. কূপ খনন করা। (অথবা টিউবওয়েল, মোটর ইত্যাদি বসিয়ে দেয়া)
৭,৮,৯,১০ ও ১১ এর দলীল...
أنَّ أمَّهُ ماتتْ فقال لرسولِ اللهِ صلَّى اللهُ عليه وسلم إنَّ أُمي ماتت أفأَتصدَّقُ عنها ؟ قال : نعمْ . قال : فأيُّ الصدقةِ أفضلُ ؟ قال : سقيُ الماءِ
" এক ব্যক্তি রাসূল সা.কে বলেন, আমার মা ইন্তিকাল করেছেন আমি কি তার জন্য সাদাকা করতে পারবো? রাসূল সা. বললেন হ্যাঁ। সে বলল, উত্তম সাদাকা কী?
মৃত ব্যক্তির জন্য সর্বোত্তম সাদাকা হলো পানি পান করানো।" (আস সুনান ওয়াল আহকাম)
أنه صلى الله عليه وسلم قال:" إن مما يلحق المؤمن من عمله وحسناته بعد موته، علماً علمه ونشره، أو ولداً صالحاً تركه أو مصحفاً ورثه، أو مسجداً بناه، أو بيتاً بناه لابن السبيل أو نهراً أجراه أو صدقة أخرجها من ماله في صحته وحياته، تلحقه من بعد موته "
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, মুমিন ব্যক্তির আমলনামায় তার মৃত্যুর পর যেসব আমল যুক্ত হয় তা হচ্ছে এমন ইলম যা সে প্রচার-প্রসার করেছে, এমন সৎ সন্তান যে তার মৃত্যুর পর বিদ্যমান রয়েছে, কোরআন মাজীদ যা সে দান করেছে, মসজিদ ও পান্থশালা যা সে নির্মাণ করেছে, এমন সাদাকা যা সে সুস্থাবস্থায় বা জীবদ্দশায় করে গেছে।
১২. হজ্ব পালন করা। যদি ওয়াজিব হয়ে থাকে। নফল হজ্বের দলীল নেই।
দলীল...
أن امرأة من جهينة جاءت إلى النبي صلى الله عليه وسلم فقالت : إن أمي نذرت أن تحج فلم تحج حتى ماتت أفأحج عنها ؟ قال : "حجي عنها أرأيت لو كان على أمك دين أكنت قاضيته ؟ اقضوا فالله أحق بالقضاء" .
"জুহাইনা গোত্রের একজন মহিলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে আগমণ করে বলল, হে আল্লাহর রাসুল, আমার মা হজ্ব করার মান্নত করেছিলেন কিন্তু তিনি হজ্ব সম্পাদন না করেই মারা গেছেন। এখন আমি কি তার পক্ষ থেকে হজ্জ আদায় করতে পারি? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘‘তুমি তোমার মায়ের পক্ষ থেকে হজ্জ কর। তোমার মার উপর ঋণ থাকতো তবে কি তুমি তা পরিশোধ করতে না ? সুতরাং আল্লাহর জন্য তা আদায় কর। কেননা আল্লাহর ঋণ পরিশোধ করার অধিক উপযোগী’’ (সহীহ বুখারী)
১৩. কবর যিয়ারত করা।
দলীল...
زوروا موتاكم وسلِّموا عليهم فإنَّ
لكم فيهم عِبرة
রাসূল সা. বলেন, মৃতদের কবর যিয়রাত করো এবং তাদেরকে সালাম করো কেননা তার মধ্যে তোমাদের জন্য রয়েছে শিক্ষা। (তাখরীজুল ইহয়া, মুরসাল ও হাসান)
১৪. মৃত ব্যক্তির প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করা
১৫. মৃত ব্যক্তির বন্ধু বান্ধবদের সাথে সদাচার করা।
১৬. মৃত ব্যক্তির রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয় দের সাথে সুসম্পর্ক রাখা।
১৩,১৪ ১৫ ও ১৬ এর দলীল...
بينما أنا جالسٌ عند رسولِ اللهِ صلَّى اللهُ عليه وسلَّمَ إذ جاءه رجُلٌ مِن الأنصارِ، فقال: يا رسولَ اللهِ، هل بَقِيَ علَيَّ مِن بِرِّ أبوَيَّ شيءٌ بعد موتِهما أبَرُّهما به؟ قال: نَعمْ، خصالٌ أربعةٌ: الصلاةُ عليهما، والاستغفارُ لهما، وإنفاذُ عهدِهما، وإكرامُ صديقِهما، وصلةُ الرَّحِمِ التي لا رَحِمَ لك إلا مِن قِبَلِهما؛ فهو الذي بَقِيَعليك مِن بِرِّهما بعد موتِهما.
হজরত আবুল আসাদ আস সায়িদি মালিক বিন রবীয়া রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম এর নিকট বসা ছিলাম। হঠাৎ আনসারদের মধ্য থেকে এক ব্যক্তি আসলেন। তিনি বললেন ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার মাতা পিতার ইন্তেকালের পরও তাদের জন্য কিছু করার আছে কি? তিনি বললেন হ্যাঁ, তাদের জন্য দোয়া ও ইস্তেগফার, তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ, তাদের বন্ধুবান্ধবদের সাথে সদাচার এবং তাদের রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয়দের সাথে সুসম্পর্ক রাখা। (আবু দাঊদ)
★শহীদ মিনার বা স্মৃতিসৌধে গিয়ে সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যে ফুল দেওয়া, সেগুলোর সামনে কিছুক্ষণ নীরবতা অবলম্বন করা মূর্তিপূজার অনুকরণের অন্তর্ভুক্ত। এটি একটি হারাম কাজ। এই কাজ শিরকের বাহন যা মানুষকে বড় শিরকের দিকে নিয়ে যায়।
.
খলীফা উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু এর সময় তাকে সংবাদ দেওয়া হল যে, কতিপয় মানুষ ঐ বৃক্ষের উদ্দেশ্যে যাতায়াত করে যে বৃক্ষের নিচে সাহাবীগণ নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাতে বায়াআত করেছিলেন। অতঃপর তিনি ঐ বৃক্ষকে কেটে ফেলার নির্দেশ দিলেন। [ফাতহুল বারী, ৭/৪৪৮
.
মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আনীত ধর্মে পুস্পস্তবক অর্পণের কোন বিধান নেই। মৃত ব্যক্তি বা কোন জড় বস্তুকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা মূলত খ্রিষ্টান জাতির সংস্কৃতি।
আল কুরআনে ইবরাহীম আলাইহি সালাম এর ঘটনা বর্ণনা প্রসংগে বলা হয়েছেঃ অতঃপর সে তাদের দেবালয়ে গিয়ে ঢুকল এবং বলল, তোমরা খাচ্ছ না কেন? তোমাদের কি হল যে, কথা বলছ না? [সূরা সাফফাত, আয়াত ৯১-৯২]
.
মূলত পুস্পস্তবক অর্পণ মূর্তিপূজার অংশ। এটি একটি ইবাদত যা মূর্তিকে দেয়া হয়। কাজেই মুসলিমদের এ ধরনের কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের কোন সুযোগ নেই। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি যে জাতির অনুকরণ করবে, সে ব্যক্তি সেই জাতিরই একজন বলে গণ্য হবে। [আবু দাউদ, হাদিস নং ৪০৩১]
.
ইবন তাইমিয়্যাহ রাহিমাহুল্লাহ বলেনঃ আল্লাহর কিতাব, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নত, খোলাফায়ে রাশেদিনের আদর্শ ও সকল আলেম একমত যে, মুশরিকদের বিরোধিতা করতে হবে এবং তাদের সাদৃশ্য গ্রহণ করা যাবে না। [মাজমুউল ফাতওয়া, ২৫/৩২৭]