আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
261 views
in পবিত্রতা (Purity) by (3 points)

আসসালমু আলাইকুম,

১। হুজুর আমি প্রসাব করার পানি দিয়ে পরিষ্কার করি। আমি কোন কাপড় ব্যবহার করিনা লজ্জাস্থান মুছার জন্য। কিন্তু ওই পাজামা চেঞ্জ করে নামাজ পড়ি। আমার নামাজ কি হবে?

২। সালাতুল তাসবিহর নামাজ কখন পড়তে হয়?

৩। আর কাঁকড়া খেলে কি আমাদের রাসুল্লাহ (সা:) আমাদের জন্য সুপারিশ করবেন না?

৪) মনের আশা পূরণ করার জন্য কি কোন বিশেষ দোয়া আছে?

1 Answer

+1 vote
by (566,400 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-

(০১)
হাদীস শরীফ থেকে ইস্তেঞ্জার সময় নাপাকি থেকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার গুরুত্ব বুঝা যায়।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: مَرَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَبْرَيْنِ، فَقَالَ: ” إِنَّهُمَا لَيُعَذَّبَانِ، وَمَا يُعَذَّبَانِ فِي كَبِيرٍ، أَمَّا أَحَدُهُمَا: فَكَانَ لَا يَسْتَنْزِهُ مِنَ البَوْلِ – قَالَ وَكِيعٌ: مِنْ بَوْلِهِ – وَأَمَّا الْآخَرُ: فَكَانَ يَمْشِي بِالنَّمِيمَةِ “.

হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূল সাঃ দু’টি কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম হচ্ছিলেন। বললেন, এ দু’টি কবরে আযাব হচ্ছে। কোন বড় কারণে আজাব হচ্ছে না। একজনের কবরে আজাব হচ্ছে সে পেশাব থেকে ভাল করে ইস্তিঞ্জা করতো না। আরেকজন চোগোলখুরী করতো। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৯৮০, বুখারী, হাদীস নং-১৩৬১}

★সুতরাং প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি উক্ত জায়গা ভালোভাবে ধৌত করবেন।  
তারপর সেই পায়জামা পরিহিত অবস্থাতেই হোক বা তাহা চেঞ্জ করে হোক,নামাজ পড়লে তাহা আদায় হয়ে যাবে।
কোনো সমস্যা হবেনা। 
,
(০২)
নামাজের নিষিদ্ধ ওয়াক্ত আর মাকরুহ ওয়াক্ত ব্যাতিত যেকোনো সময়ে সালাতুত তাসবীহ আদায় করা যাবে।
,
যেই সময়ে সালাতুত তাসবীহ পড়া যাবেনা,সেই নিষিদ্ধ আর মাকরুহ ওয়াক্ত সম্পর্কে জানুনঃ  

(০৩)
কাকড়া খাওয়া জায়েজ নেই।
তবে কেহ খেলে রাসুল সাঃ তার সুপারিশ করবেননা,এই জাতীয় কোনো হাদীস নেই।
,
(০৪)
এই দোয়া নিয়মিত পড়তে পারেনঃ
“রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানা, ওয়াফিল আ’খিরাতি হাসানা, ওয়াকিনা আজাবান্নার”

সূরা বাকারা ২০১
অর্থঃ হে রব আপনি আমার দুনিয়াতে কল্যাণ দান করুন, ইয়া আল্লাহ আপনি আখেরাতেও আমাকে কল্যাণ দান করুন, হে প্রভু আপনি আমাকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচান।

‘ইসমে আজম’ পড়ে মনের নেক আশা পূরনের জন্য দোয়া করতে পারেন।


হজরত আবদুল্লাহ ইবনু বুরাইদাহ আল-আসলামি রাদিয়াল্লাহু আনহু তাঁর বাবা থেকে বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক ব্যক্তিকে তার দোয়া এভাবে বলতে শুনেন-

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِأَنِّي أَشْهَدُ أَنَّكَ أَنْتَ اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ الأَحَدُ الصَّمَدُ الَّذِي لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বিআন্নি আশহাদু আন্নাকা আংতাল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা আংতাল আহাদুস সামাদুল্লাজি লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ ওয়া লাম ইকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করছি আর সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমিই একমাত্র আল্লাহ, তুমি ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ নেই, তুমি একক সত্তা, স্বয়ংসম্পূর্ণ, যিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাকেও কেউ জন্ম দেয়নি, আর তার সমকক্ষ কেউ নেই।’

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন-
‘সেই মহান সত্তার শপথ! যাঁর হাতে আমার জীবন! নিঃসন্দেহে এ লোক আল্লাহ তাআলার মহান নামের (ইসমে আজম) অসিলায় তার কাছে প্রার্থনা করেছে; যে নামের অসিলায় দোয়া করা হলে তিনি কবুল করেন এবং যে নামের অসিলায় প্রার্থনা করা হলে তিনি দান করেন।’ (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...