উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
,
শরীয়তের বিধান হলো যদি কাহারো উপার্জন পুরোপুরিভাবে হারাম হয়,এবং সেটা পুরোপুরি বিশ্বাসযোগ্য হয়, তাহলে সেই খাবার খাওয়া,জায়েজ নেই।
আর যদি তার উপার্জন হালাল হারাম মিশ্রিত হয়, তাহলে সেই খাবার খাওয়া জায়েয আছে।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১৬/৬৭)
ফাতাওয়ায়ে আলমগীরীতে আছে
أہدی إلیٰ رجلٍ شیئًَا أو أضافہ إن کان غالب مالہ من الحلال، فلا بأس إلا أن یعلم بأنہ حرام، فإن کان الغالب ہو الحرام ینبغي أن لا یقبل الہدیۃ، ولا یأکل بالطعام إلا أن یخبرہ بأنہ حلال ورثتہ أو استقرضتہ من رجل۔ (الفتاویٰ الہندیۃ ۵؍۳۴۲)
যার সারমর্ম হলো কেহ যদি কাহারো কাছে কোনো কিছু হাদিয়া পাঠায়,তাহলে দেখতে হবে যে তার অধিকাংশ উপার্জন হালাল নাকি হারাম।
যদি অধিকাংশই হারাম হয়,তাহলে সেই হাদিয়া গ্রহন করা যাবেনা।
আর যদি অধিকাংশই হালাল হয়,তাহলে সেই হাদিয়া গ্রহন করা যাবে।
,
সুতরাং তাবলীগের সাথী ভাইদের মধ্যে যদিও পুরোপুরিভাবে আপনার বিশ্বাস হয় যে কাহারো উপার্জন হারাম,তারপরেও সেই খাবারে হালাল টাকাই বেশি হওয়ার কারনে সেই খাবার খাওয়া জায়েয হবে।
আর মেহমান হয়ে অন্যে বাসায় খাবার খাওয়ার ব্যাপারেও উপরোক্ত নীতি ফলো করতে হবে।
সেটা হলো
যদি কাহারো উপার্জন পুরোপুরিভাবে হারাম হয়,এবং সেটা পুরোপুরি বিশ্বাসযোগ্য হয়, তাহলে সেই দাওয়াত খাওয়া,জায়েজ নেই।
আর যদি তার উপার্জন অধিকাংশ হালাল হয়, তাহলে সেই দাওয়াত খাওয়া জায়েয আছে।
★অতএব এমন আশংকায় জামাতের সাথে যেতে কোনো সমস্যা নেই।
দাওয়াত খাওয়ার আগে তার উপার্জন সম্পর্কে ধারনা নিয়ে নিলে সব স্পষ্ট হবে।
আর হারাম উপার্জন কারী হলে তাকে বলবেন যে আপাতত আপনি অন্য কাহারো থেকে ঋন নিয়ে আমাদের এখানে টাকা দিন,বা আমাদেরকে দাওয়াত দিন।
,
(০২) যদি কাহারো উপার্জন পুরোপুরিভাবে হারাম হয়,এবং সেটা পুরোপুরি বিশ্বাসযোগ্য হয়, তাহলে তার টাকা মসজিদে দান হিসেবে নেওয়া জায়েয নেই।
আর যদি তার উপার্জন অধিকাংশ হালাল হয়, তাহলে তার টাকা দান হিসেবে মসজিদে নেওয়া জায়েয আছে।
এবং তা দিয়ে মসজিদ নির্মান,ইমাম মুয়াজ্জিনের বেতন ইত্যাদি দেওয়া জায়েজ আছে।
,
(০৩) উপরোক্ত নীতির ভিত্তিতেই মসজিদে দেওয়া খাবার খেতে হবে।