আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
2,151 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
edited by
কোনো জরুরি কাজে তাড়া থাকলে, শুধু সূরা ফাতিহা পড়া, অন্য সূরা না মিলিয়ে পড়লে হবে কি?

1 Answer

+1 vote
by (574,260 points)
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم 

ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাতে  এবং অন্যান্য নামাজে সব রাকাতে সুরা ফাতেহার সাথে অন্য সুরা মিলানো ওয়াজিব৷

 ★হজরত আবু সাইদ খুদুরী (রাজিঃ) বলেন, আমাদের রাসুল (সা:) আদেশ করেছেন, আমরা যেনো নামাজের মধ্যে সুরা ফাতেহা এবং কোরআনের যেই স্থান হতে সহজ হয় কিছু তেলাওয়াত করি৷ (আবু দাউদ ১খন্ড,পৃষ্ঠা ১১৮)


★হজরত আবু হুরায়রা (রাজি:) হতে বর্ণিত, হুজুর (সা:) ইরশাদ করিয়াছেন যে, নামাজ সুরা ফাতেহা এবং কিছু অতিরিক্ত অংশ ছাড়া হয় না৷অর্থাৎ সুরা ফাতেহার সাথে অন্য সুরার কিছু অংশ তেলাওয়াত করতে হবে৷ (মুসলিম শরিফ ১খন্ড, পৃষ্ঠা ১৬৯)


★নামাজ আলহামদু (সুরা ফাতেহা) এবং অন্য সুরা মিলানো ছাড়া হবে না, নামাজ ফরজ হোক বা অন্য নামাজ৷ (তিরমিজি শরিফ,পৃষ্ঠা ৬১)

★সুরা ফাতেহা এবং দুইটি লম্বা আয়াত ছাড়া নামাজ হয় না৷ (কানজুল উম্মাল ৭ খন্ড,পৃষ্ঠা ৩১৪)

★ফরজ নামাজ সুরা ফাতেহা এবং তিন আয়াত বা তার কিছু বেশি ছাড়া হয় না৷ (কানজুল উম্মাল ৭ খন্ড,পৃষ্ঠা ৩১৩)

★ঐ নামাজ ঠিক হয় না, যে নামাজে সুরা ফাতেহা এবং কোরআনের কিছু অংশ তেলাওয়াত করা হয় না৷ (নসবুর রায়্যাহ ১ খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৬৫)

★হজরত রেফায়াহ বিন রাফে হতে বর্নিত, হুজুর (সা:) ইরশাদ করিয়াছেন,যখন তোমরা নামাজের জন্য কিবলা দিকে দাঁড়াবে তখন প্রথমে তাকবীর (তাকবীরে তাহরিমা) বলো৷ এরপর সুরা ফাতেহা পড়ো এবং কোরআনের যে অংশ ইচ্ছে পড়ো৷ (সহীহ ইবনে হিব্বান ৩খন্ড,পৃষ্ঠা ২০৯)

★সুতরাং ফরজ নামাজের প্রথম ২ রাকাতে সুরা ফাতেহার সাথে অন্য যেকোনো সুরা মিলানো ওয়াজিব।

আর ফরজ ব্যাতিত অন্যান্য নামাজে প্রত্যেক রাকাতেই সুরা ফাতেহার সাথে অন্য সুরা মিলানো ওয়াজিব।    
যদি কেহ ভূলক্রমে ওয়াজিব ছেড়ে দেয়,তাহলে তার উপর সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হয়। 
আর কেহ যদি ইচ্ছাপূর্বক ভাবে ওয়াজিব ছেড়ে দেয়,তাহলে তার নামাজই হবেনা।   

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছে    

فى الدر المختار- (وضم) أقصر (سورة) الخ (في الأوليين من الفرض) 

.(رد المحتار، كتاب الصلاة، باب صفة الصلاة، مطلب كل صلاة اديت معة كراهة التحريم الخ، البحر-1/459، ا

যার সারমর্ম হলো ফরজের প্রথম ২ রাকাতে সুরা মিলাইতে হবে।  

অন্যত্রে এসেছেঃ

نعم اعتبروا کون کل شفع صلاة علی حدة في حق 

القراء ة احتیاطًا إلی آخر ما في ہذہ الصفحة وما یلیہا (الدر مع الرد: ۲/۴۶۵، ۲۴۵۷، ط: زکریا)

যার সারমর্ম হলো নফল  সুন্নাত নামাজের প্রত্যেক রাকাতেই সুরা ফাতেহার সাথে অন্য সুরা মিলাইতে হবে।  
.
সুতরাং  কাজ যতই জরুরি হোক, ছোট থেকে ছোট কিরাত দিয়ে হলেও অন্য সুরা মিলাইতে হবে।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 250 views
...