আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
264 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (72 points)
reshown by
১) আমার ওসিডি সমস্যা আছে, বার বার হাত ধুই, গোসলখানায় অধিক সময় ধরে থাকি। বার বার ওযু করি। নামায ভুল হবে মনে করে আবার প্রথম থেকে পড়ি।এসব কারণে দৈনন্দিন কাজ কারবার করতে অসুবিধা হয় সবকিছুতে অধিক সময় লাগে।ইসলাম নিয়ে মনে উল্টোপাল্টা চিন্তা আসে।  তাই মাঝে মাঝে ফ্যামিলির মানুষ বিরক্ত হয়ে যায় আমার আচরণে। কিন্তু আমি তাদের বোঝাতে পারি না যেএগুলো আমি ইচ্ছে করে করি না। বিয়ে না করলে আমি ফিতনায় পড়বো তা ঠিক কিন্তুু,এখন আমি চিন্তা করছি আমার বিয়ে হলেও তো আমার হাসবেন্ড আমার প্রতি বিরক্ত হয়ে যাবে, সম্পর্ক খারাপ হয়ে যাবে এসবের ফলে।যেখানে আমার ফ্যামিলি আমাকে মাঝে মাঝে টলারেট করতে পারে না সেখানে অন্য কেউ কিভাবে পারবে! তাই বিয়ে নিয়ে আমার মনে অনেক ভয় কাজ করছে, মনে হয় যে আমার বিয়ে করা উচিত না, আমি কাউকে হ্যাপি রাখতে পারবো না।আমি আরো অনেক কিছুতে অযোগ্য এরকম মনে হয়। এসব কারণে কি আমি যদি বিয়ে না করি তাহলে কি আমার গুনাহ হবে?

২) এ পর্যন্ত অনেক বিয়ে আসছে, কিন্তুু আমি গায়রে মাহরাম কঠোরভাবে পালন করি দেখে পাএের ফ্যামিলিরা মেনে নিতে চায় না তারা শুধু হিজাবি চায়। আমার বাবা বলেন, আমি যাতে আমার ওসিডি রোগ  টা যে আছে সেটা বায়োডাটায় উল্লেখ না করি কিন্তুু আমি গোপন রাখতে চাচ্ছি না, কারণ কোনো রোগ নাই বললে তো মিথ্যা বলা হয়ে গেলো। এখন যদি বাবার কথায় গোপন রাখি তাহলে কি গুনাহ হবে ?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
জবাবঃ-
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ أَخْبَرَنَا حُمَيْدُ بْنُ أَبِي حُمَيْدٍ الطَّوِيلُ أَنَّه“ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يَقُوْلُ جَاءَ ثَلاَثَةُ رَهْطٍ إِلٰى بُيُوْتِ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَسْأَلُوْنَ عَنْ عِبَادَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا أُخْبِرُوْا كَأَنَّهُمْ تَقَالُّوْهَا فَقَالُوْا وَأَيْنَ نَحْنُ مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَدْ غُفِرَ لَه“ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِه„ وَمَا تَأَخَّرَ قَالَ أَحَدُهُمْ أَمَّا أَنَا فَإِنِّي أُصَلِّي اللَّيْلَ أَبَدًا وَقَالَ آخَرُ أَنَا أَصُوْمُ الدَّهْرَ وَلاَ أُفْطِرُ وَقَالَ آخَرُ أَنَا أَعْتَزِلُ النِّسَاءَ فَلاَ أَتَزَوَّجُ أَبَدًا فَجَاءَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِلَيْهِمْ فَقَالَ أَنْتُمْ الَّذِينَ قُلْتُمْ كَذَا وَكَذَا أَمَا وَاللهِ إِنِّي لأخْشَاكُمْ للهِ÷ وَأَتْقَاكُمْ لَه“ لَكِنِّي أَصُوْمُ وَأُفْطِرُ وَأُصَلِّي وَأَرْقُدُ وَأَتَزَوَّجُ النِّسَاءَ فَمَنْ رَغِبَ عَنْ سُنَّتِي فَلَيْسَ مِنِّي.

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিন জনের একটি দল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ‘ইবাদাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার জন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রীদের বাড়িতে আসল। যখন তাঁদেরকে এ সম্পর্কে জানানো হলো, তখন তারা ‘ইবাদাতের পরিমাণ কম মনে করল এবং বলল, নবীসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে আমাদের তুলনা হতে পারে না। কারণ, তাঁর আগের ও পরের সকল গুনাহ্ ক্ষমা ক’রে দেয়া হয়েছে। এমন সময় তাদের মধ্য থেকে একজন বলল, আমি সারা জীবন রাতভর সালাত আদায় করতে থাকব। অপর একজন বলল, আমি সব সময় সওম পালন করব এবং কক্ষনো বাদ দিব না।
অপরজন বলল, আমি নারী সংসর্গ ত্যাগ করব, কখনও বিয়ে করব না। এরপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের নিকট এলেন এবং বললেন, ‘‘তোমরা কি ঐ সব লোক যারা এমন এমন কথাবার্তা বলেছ? আল্লাহর কসম! আমি আল্লাহকে তোমাদের চেয়ে বেশি ভয় করি এবং তোমাদের চেয়ে তাঁর প্রতি বেশিঅনুগত; অথচ আমি সওম পালন করি, আবার তা থেকে বিরতও থাকি। সালাত আদায় করি এবং নিদ্রা যাই ও মেয়েদেরকে বিয়েও করি। সুতরাং যারা আমার সুন্নাতের প্রতি বিরাগ পোষণ করবে, তারা আমার দলভুক্ত নয়। [মুসলিম ১৬/১, হাঃ ১৪০১, আহমাদ ১৩৫৩৪] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৯০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৯৩)

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে যে আপনি বিবাহ না করলে ফিতনায় পড়বেন।
সুতরাং এহেন পরিস্থিতিতে আপনার জন্য বিবাহ এড়িয়ে চলা কোনোভাবেই শরীয়ত অনুমতি দেয়না।
আপনার জন্য বিবাহ না করে চলা গুনাহের সম্ভাবনার কারনে গুনাহ হবে।   

عَنْ أَنَسٍ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «الْمَرْأَةُ إِذَا صَلَّتْ خَمْسَهَا وَصَامَتْ شَهْرَهَا وَأَحْصَنَتْ فَرْجَهَا وَأَطَاعَتْ بَعْلَهَا فَلْتَدْخُلْ مِنْ أَىِّ أَبْوَابِ الْجَنَّةِ شَاءَتْ»

আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো মহিলা যদি পাঁচ ওয়াক্ত সলাত আদায় করে, রমাযানের সিয়াম পালন করে, গুপ্তাঙ্গের হিফাযাত করে, স্বামীর একান্ত অনুগত হয়। তার জন্য জান্নাতের যে কোনো দরজা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশের সুযোগ থাকবে।
(মিশকাতুল মাসাবিহ ৩২৫৪)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
বিবাহ না করা এটি সমাধান নয়।
বরং বিবাহ করার পাশাপাশি ওয়াসওয়াসা নামক এহেন রোগ থেকে মুক্তির চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
ইনশাআল্লাহ সমাধান মিলবে।
,
নিম্নোক্ত লিংকে দেয়া আমল গুলো করতে পারেনঃ-


(০২)
এই রোগের কথা গোপন রাখলে কোনো গুনাহ হবেনা।
আপনি বিষয়টি গোপন রেখে বিবাহ করতে পারেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (72 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম উস্তায। বায়োডাটা যেখানে সাবমিট করেছি সেখানে এই প্রশ্নটা করা হয়েছে —
( কোনো রোগ আছে কিনা তা জানতে চাওয়া হয়েছে এবং বলা হয়েছে "আল্লাহর শপথ করে বলুন যা তথ্য দিয়েছেন তা সত্য কিনা?" ) 
সেক্ষেত্রেও কি গোপন রাখা যাবে  আমার এই ওসিডি রোগের কথাটা?

by
আসসালামু আলাইকুম।  বুঝতেছি না আমার কমেন্ট করাটা উচিত কি না, তবে মনে হলো আপু আপনার হয়তো সিদ্ধান্ত নেয়াটা সহজ হবে। আমি নিজেও আপনার মতো সমস্যায় ছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ, প্রচুর দোয়া করছি এই জিনিস থেকে মুক্ত হওয়ার। বিয়ের আলহামদুলিল্লাহ সাড়ে তিন বছর হয়ে গেছে, দুইটা যময মেয়েও আছে আমার। বিয়ের পর থেকে এই সমস্যা আস্তে আস্তে কমেছে যখন স্বামীর হকের ব্যাপারটা সামনে চলে আসছে। আর ফাইনালি বাচ্চারা হওয়ার পর আলহামদুলিল্লাহ এই সমস্যা একদমই কমে গেছে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...