ওয়া আলাইকুমুস সালাম
ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম।
জবাবঃ
■ হাদীস শরীফে
এসেছে-
عَنْ
أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ
بَيْعَتَيْنِ وَعَنْ لِبْسَتَيْنِ وَعَنْ صَلاَتَيْنِ نَهَى عَنِ الصَّلاَةِ
بَعْدَ الْفَجْرِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ، وَبَعْدَ الْعَصْرِ حَتَّى تَغْرُبَ
الشَّمْسُ، وَعَنِ اشْتِمَالِ الصَّمَّاءِ وَعَنْ الاِحْتِبَاءِ فِي ثَوْبٍ
وَاحِدٍ يُفْضِي بِفَرْجِهِ إِلَى السَّمَاءِ، وَعَنِ الْمُنَابَذَةِ
وَالْمُلاَمَسَةِ.
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’ধরণের বেচা-কেনা করতে, দু’ভাবে
পোষাক পরিধান করতে এবং দু’সময়ে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতে নিষেধ করেছেন। ফজরের
পর সূর্য পূর্ণরূপে উদিত না হওয়া পর্যন্ত এবং আসরের পর সূর্য অস্তমিত না হওয়া
পর্যন্ত তিনি কোন সালাত আদায় করতে নিষেধ করেছেন। আর পুরো শরীর জড়িয়ে কাপড় পরতে এবং
এক কাপড়ে (যেমন লুঙ্গি ইত্যাদি পরে) হাঁটু খাড়া করে এমনভাবে বসতে যাতে লজ্জাস্থান
উপরের দিকে খুলে যায় – নিষেধ করেছেন। আর মুনাবাযা* ও মুলামাসা* (এর পন্থায়
বেচা-কেনা) নিষেধ করেছেন। (সহীহ বুখারী, হাদীস
নং-৫৫৭)
■অন্য এক হাদীসে এসেছে-
وَعَنْ
عَائِشَةَ رَضِيَ اللّٰهُ عَنْهَا قَالَتْ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: «الْمَاهِرُ
بِالْقُرْاٰنِ مَعَ السَّفَرَةِ الْكِرَامِ الْبَرَرَةِ وَالَّذِىْ يَقْرَأُ
الْقُرْاٰنَ وَيَتَتَعْتَعُ فِيهِ وَهُوَ عَلَيْهِ شَاقٌّ لَه أَجْرَانِ».
(مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কুরআন অধ্যয়নে পারদর্শী ব্যক্তি মর্যাদাবান লিপিকার
মালায়িকাহ্’র (ফেরেশ্তাগণের) সাথী হবে। আর যে ব্যক্তি কুরআন অধ্যয়ন করে ও যে এতে
আটকে যায় এবং কুরআন তার জন্য কষ্টদায়ক হয়, তাহলে তার জন্য দু’টি পুরস্কার। (সহীহ : বুখারী ৪৯৩৭, মুসলিম ৭৯৮, ইবনু মাজাহ ৩৭৭৯,
মুসান্নাফ ‘আবদুর রাযযাক্ব ৪১৯৪)
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. না, পড়া যাবে না।
২. সালাতে মেয়েদের পায়ের পাতা ঢাকা লাগবে না। কারণ, সালাতে তা পর্দার অন্তর্ভূক্ত নয়।
৩. হ্যাঁ, জবাব দেওয়া যাবে।
৪. হ্যাঁ, প্রবেশ করা যাবে।
৫. ক. হ্যাঁ, তাকে শিখানো চালু রাখবেন ও সেও তেলাওয়াত
করতে থাকবে এবং শুদ্ধ করে পড়ার চেষ্টাও করতে থাকবে।
খ. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে সে অশুদ্ধ পড়লে যে
শিখাচ্ছে তার কোনো গুনাহ হবে না। আর সে যদি যথাযথ শুদ্ধ করে পড়ার চেষ্টা করার পরও
অশুদ্ধ পড়া বা ভুল হয়ে যায় তাহলে তারও কোনো গুনাহ হবে না ইনশাআল্লাহ।
৬.
উক্ত পৃষ্টাটি মাটিতে পুতে রাখতে পারেন অথবা কুরআনের আয়াতটি সাদা কালি দিয়ে মুছেও
ফেলতে পারেন।