ওয়া আলাইকুমুস সালাম
ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম।
জবাবঃ
■ আল্লাহ তায়ালা বলেন-
وَأَنفِقُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلَا تُلْقُوا بِأَيْدِيكُمْ
إِلَى التَّهْلُكَةِ ۛ وَأَحْسِنُوا ۛ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ
আর ব্যয় কর আল্লাহর পথে, তবে নিজের জীবনকে
ধ্বংসের সম্মুখীন করো না। আর মানুষের প্রতি অনুগ্রহ কর। আল্লাহ অনুগ্রহকারীদেরকে
ভালবাসেন। (সূরা বাকারা, আয়াত ১৯৫)
■ তিনি আরো বলেন-
فَكُلُوا مِمَّا غَنِمْتُمْ حَلَالًا طَيِّبًا ۚ وَاتَّقُوا
اللَّهَ ۚ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
সুতরাং তোমরা খাও গনীমত হিসাবে তোমরা যে পরিচ্ছন্ন ও হালাল বস্তু অর্জন করেছ
তা থেকে। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, মেহেরবান। [সূরা আনফাল-৬৯]
■ তিনি অন্যত্র বলেন-
كُلُوا وَاشْرَبُوا مِن رِّزْقِ اللَّهِ وَلَا تَعْثَوْا فِي
الْأَرْضِ مُفْسِدِينَ
আল্লাহর দেয়া রিযিক খাও, পান কর আর
দুনিয়ার বুকে দাঙ্গা-হাঙ্গামা করে বেড়িও না। [সূরা বাকারা-৬০]
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
১. সিগারেট খেলে ডাক্তারি মতে শারীরিক ক্ষতি হয়। ফুসফুস নষ্ট হয়ে যাওয়ারও
আশংকা রয়েছে। তাই যথাসম্ভব এ থেকেও বিরত থাকা উচিত। তবে যদি কারোর ক্ষেত্রে
নিশ্চিতভাবে ক্ষতিকর প্রমাণিত হলে তার জন্য তা খাওয়া নাজায়েয হবে।
২. যদি তার ক্ষেত্রে ধুমপান নিশ্চিতভাবে ক্ষতিকর প্রমাণিত হয় তাহলে তার জন্য
তা খাওয়া নাজায়েয হবে। অন্যথায় নাজায়েজ বলা যাবে না। তবে অনুচিৎ হবে।
৩. কোনো কিছু খাওয়া নেশা হয়ে গেলেই তা নাজায়েজ হয়ে যায় না। যেমন অনেকের পান, চা খাওয়া নেশা হয়ে গিয়েছে। তাই বলে তা খাওয়া নাজায়েজ বলা হবে না।