ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১) জ্বী, এটা দাজ্জালের একটা নমুনা পেশ করা হয়েছিলো।
(২)জ্বী, দাজ্জাল সাধারণ মানুষের মতই হবে।এবং সাধারণ মানুষের ঘরেই তার জন্ম হবে।
(৩) দাজ্জাল ইহুদী বংশের হবে।
(৪)দাজ্জালের মা বা ইহুদী হবে।
(৫)জ্বী, সবাই দেখতে পারবে।
(৬) সূরা কাহফের তিলাওয়াত।
(৭)জ্বী, কাফির বলা যাবে।
(৮) কাফির ব্যাপক।তবে মুশরিককেও কাফির বলা যাবে।
(৯)আউযু বিল্লাহ পড়বেন।
(১০)বিবর্তনবাদ কুফরি মতবাদ।সুতরাং এ মতবাদকে বিশ্বাস করা কুফরি।
(১১)
খেলাফত গঠন করা মুসলমানদের উপর ফরয।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/356
প্রচলিত গণতন্ত্রের সবকিছু ইসলামী শরীয়তের বিপক্ষে নয় আবার পক্ষেও নয়।যেমন, জনমতের ভিত্তিতে সরকার গঠন,এটাতো ভাল জিনিষ।শরীয়ত এটাকে অপছন্দ করে না।বরং শরীয়তের দৃষ্টিতে সরকার নির্বাচনের তিন পদ্ধতির এক পদ্ধতি এটাও।তবে "সকল ক্ষমতার উৎস জনগণ" এ থিউকে ইসলাম সমর্থন করে না।বরং এক্ষেত্রে ইসলামের থিউরী হল, সকল ক্ষমতার উৎস আল্লাহ তা'আলা।এ রকম আরো অনেক বিষয় রয়েছে।কোনোটাকে ইসলাম সমর্থন দেয়,আবার কোনোটাকে দেয় না।
আমাদের জন্য করণীয় কী হতে পারে?
আল্লাহর বিধান বাস্তবায়নের জন্য ক্ষমতা দখল করা আমাদের জন্য ওয়াজিব।যুদ্ধ করে ক্ষমতা দখলের প্রয়োজন হলে যুদ্ধ করা ওয়াজিব। দাওয়াত ও তাবলীগের প্রয়োজন হলে এক্ষেত্রে দাওয়াত ও তাবলীগ ওয়াজিব।মোটকথাঃ যেভাবে ক্ষমতা দখল সম্ভব সেভাবেই ক্ষমতা দখল করা ও তার চেষ্টা-প্রচেষ্টা করা ওয়াজিব।বর্তমানে গণতন্ত্রের রাস্তায় হাটা ব্যতীত ক্ষমতার ধারেকাছে ভিড়া প্রায়ই অসম্ভব। নয়তো জঙ্গি ইত্যাদি সাজতে হবে কিংবা সন্ত্রাসী ইত্যাদির তকমা নিয়ে নির্ঘাত মৃত্যুর সম্মুখীন হতে হবে।সুতরাং বক্ষমান পরিস্থিতিতে প্রচলিত গণতন্ত্রের রাস্তায় হাটা ব্যতীত ইসলামী হুকুমতের স্বপ্ন দেখা প্রায়ই অসম্ভব।
তাই এই মূহুর্তে আমাদের জন্য এটাই উচিৎ হবে যে,ইসলামী হুকুমত বাস্তবায়ন ও ইসলামী গণতন্ত্র গঠণের লক্ষ্যে প্রচলিত গণতন্ত্র কে বেছে নেয়া।প্রত্যেক কাজই তার নিয়তের উপর নির্ভরশীল।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।