আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
547 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (53 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ,
মুহতারাম,

১) জানামতে, 'মাজিদ' - আল্লাহ তায়ালার একটি সিফাতি নাম। তাহলে, কারো নাম কি "মো: মাজিদুর রহমান" রাখা যাবে?

যদি এই নাম রাখা হয় তাহলে শুধু 'মাজিদ' কিংবা 'মজিদ' নামে কি ডাকা যাবে?

২) আল্লাহ তায়ালার ৯৯টি নামসমূহের মধ্যে কোন কোন নামগুলো দ্বারা কারো নাম সরাসরি এককভাবে রাখা যায়? আগে 'আবদ্' জাতীয় শব্দ যোগ করে কোনগুলো রাখা যায়? আর কোনগুলো রাখাই যায় না?
এ বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তুলে ধরলে ভালো হয়।

1 Answer

+1 vote
by (573,870 points)
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১) শরীয়তের বিধান অনুপাতে কাহারো  নাম মোঃ মাজিদুর রহমান রাখা যাবে।
এতে কোনো সমস্যা নেই।   

আল্লাহ তায়ালার একটি গুনবাচক নাম হলো ماجد (মাজিদ)  
এই নামের অর্থ হলো 
গৌরবময়,মহান,মর্যাদাবান,মহিমান্বিত,  গৌরবান্বিত।
যেহেতু এর অর্থ গুলো এমম নয়,যেটা একমাত্র আল্লাহ তায়ালার সাথেই খাছ(নির্দিষ্ট),তাই কাউকে  শুধু মাজিদ, মজিদ নামে ডাকা যাবে।

(০২)

"আল্লাহ " নামটি আল্লাহ তায়ালার যাতি নাম,তাই এই নামে কাউকে ডাকা জায়েজ নেই।
  আসমায়ে হুসনার মধ্যে কিছু নাম এমন আছে, যেগুলো স্বয়ং কুরআন ও হাদীসে অন্যান্য লোকের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে,বা আল্লাহ ব্যতীত অন্যের জন্য ব্যবহার করা প্রমাণিত। 
সেসব নামের আগ দিয়ে আবদ শব্দ উল্লেখ না করলেও কোনো সমস্যা নেই। 
যেমন- রাহীম, রাশীদ, আলী, কারীম, আযীয প্রভৃতি।
,
তবে সেসব নামের আগ দিয়েও আবদ শব্দ উল্লেখ করা উত্তম। 
,
  
পক্ষান্তরে আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো জন্য যেসব নামের ব্যবহার কুরআন-হাদীসে প্রমাণিত নয় সেগুলো একমাত্র আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট। আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো জন্য ব্যবহার করাই উল্লেখিত ‘ইলহাদ ফী ইসমিল্লাহ’ তথা আল্লাহর নামে বিকৃতি সাধনের অন্তর্ভুক্ত এবং নাজায়েয ও হারাম। 
তাই সেসব নামের আগ দিয়ে অবশ্যই আবদ শব্দ ব্যবহার করতে হবে।
   যেমন-, রহমান, সুবহান, রাযযাক, খালেক, গাফফার, কুদ্দুস ইত্যাদি।
 এই নির্দিষ্ট নামগুলোর শুরুতে  যদি আল্লাহকে ছাড়া অন্য কাউকে ডাকার ক্ষেত্রে আবদ উল্লেখ না করে ডাকা হয়, এটা যদি কোনো ভ্রান্ত বিশ্বাসের ভিত্তিতে হয় যে, যাকে এসব শব্দের দ্বারা সম্বোধন করা হচ্ছে তাকেই যদি খালেক (সৃষ্টিকর্তা) কিংবা রাযযাক (রিযিকদাতা) মনে করা হয় তাহলে তা সম্পূর্ণ কুফর।
,
 আর যদি ভ্রান্তবিশ্বাসের বশীভূত না হয়ে শুধুমাত্র অসচেতনতার দরুন  আবদ শব্দ উল্লেখ না করে শুধু শুধু  কাউকে খালেক, রাযযাক, রহমান কিংবা সুবহান বলে ডাকে, তাহলে তা কুফরী না হলেও শিরকসুলভ শব্দ হওয়ার কারণে কবীরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত।

,
হাদীস শরীফে আল্লাহ তায়ালার ৯৯ টি নাম এসেছেঃ
عن أبي ہریرۃ رضي اللّٰہ عنہ قال: قال رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم: إن للّٰہ تعالیٰ تسعۃ وتسعین اسماً مائۃ غیر واحدۃٍ من أحصاہا دخل الجنۃ۔ (بخاری شریف ۲؍۹۴۹، مسلم شریف ۲؍۳۴۲) وزاد في سنن الترمذي:
ہُوَ اللّٰہُ الَّذِیْ لَآ اِلٰہَ اِلاَّ ہُوَ
الرَّحْمٰنُ الرَّحِیْمُ الْمَلِکُ الْقُدُّوْسُ السَّلاَمُ الْمُؤْمِنُ الْمُہَیْمِنُ الْعَزِیْزُ الْجَبَّارُ الْمُتَکَبِّرُ الْخَالِقُ الْبَارِئُ الْمُصَوِّرُ الْغَفَّارُ الْقَہَّارُ الْوَہَّابُ الرَّزَّاقُ الْفَتَّاحُ الْعَلِیْمُ الْقَابِضُ الْبَاسِطُ الْخَافِضُ الرَّافِعُ الْمُعِزُّ الْمُذِلُّ السَّمِیْعُ الْبَصِیْرُ الْحَکَمُ الْعَدْلُ اللَّطِیْفُ الْخَبِیْرُ الْحَلِیْمُ الْعَظِیْمُ الْغَفُوْرُ الشَّکُوْرُ الْعَلِیُّ الْکَبِیْرُ الْحَفِیْظُ الْمُقِیْتُ الْحَسِیْبُ الْجَلِیْلُ الْکَرِیْمُ الرَّقِیْبُ الْمُجِیْبُ الْوَاسِعُ الْحَکِیْمُ الْوَدُوْدُ الْمَجِیْدُ الْبَاعِثُ الشَّہِیْدُ الْحَقُّ الْوَکِیْلُ الْقَوِیُّ الْمَتِیْنُ الْوَلِیُّ الْحَمِیْدُ الْمُحْصِیْ الْمُبْدِئُ الْمُعِیْدُ الْمُحيُّ الْمُمِیْتُ الْحَیُّ الْقَیُّوْمُ الْوَاجِدُ الْمَاجِدُ الْوَاحِدُ الْاَحَدُ الصَّمَدُ الْقَادِرُ الْمُقْتَدِرُ الْمُقَدِّمُ الْمُؤَخِّرُ الْأَوَّلُ الْاٰخِرُ الظَّاہِرُ الْبَاطِنُ الْوَالِیْ الْمُتَعَالِیْ الْبَرُّ التَّوَّابُ الْمُنْتَقِمُ الْعَفُوُّ الرَّؤُفُ مَالِکُ الْمُلْکِ ذُوْالْجَلاَلِ وَالْاِکْرَامِ اَلْمُقْسِطُ الْجَامِعُ الْغَنِیُّ الْمُغْنِیُ
الْمَانِعُ الضَّارُّ النَّافِعُ النُّوْرُ الْہَادِیُ الْبَدِیْعُ الْبَاقِیُ الْوَارِثُ الرَّشِیْدُ الصَّبُوْرُ۔ (ترمذی شریف ۲؍۱۸۸، دینی معلومات مع چہل حدیث ۱۹۱-۱۹۲) 
এই নাম গুলোর অর্থের দিকে খেয়াল করলে বুঝে আসবে যে এটা আল্লাহর সাথে খাছ কিনা।
যদি আল্লাহর সাথেই খাছ হয়,তাহলে সেই নামগুলোর শুরুতে আবদ শব্দ ব্যবহার না করে কাউকে ডাকা জায়েজ নেই। 
     


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...