আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
324 views
in সালাত(Prayer) by (45 points)
সম্মানীত শায়েখ, আজকে আমি এশার সালাত আদায় করছি। আমি 2য় বৈঠক এ তাশাহুত পড়া অবস্থায় বায়ু বের হয়ে গেছে আমি বুঝতে পেরেছি।আমি সাথে সাথে বসা অবস্থায় থাকি দাড়িয়ে পড়িনি।  আমি সামনের কাতার এ ছিলাম বড় মসজিদ সবাই ৩য় রাকাতে সিজদাহ গেলে  আমি পিছনে যাবার রাস্তা খুজলাম কিন্তু আমি পাইনি বলে বসেই রয়েছি ।ইমাম নামায শেষ করলে আমি উঠে গিয়ে ওযু করে এসে। যদি আমি বের হতে পারতাম আর ওযু ককরে এসে ইমাম কে আবার পেতাম তাহলে বাকি রাকাত পড়তাম। কিন্তু  নিজে একা একা এশার সালাত আদায় করেছি।
প্রশ্ন 1: আমি বসে থাকা কি উচিত হয়েছে নাকি দাড়িয়ে থাকা উচিত। কোনটা উচিত জানতে চাই?

প্রশ্ন ২: আমি কাতার থেকে বের হবার জায়গা পায়নি বলে বসে থাকায় গোনাহ হবে কিনা।
প্রশ্ন 3: আমি এশার সালাত একা একা প্রথম থেকে পড়া কি উচিত হয়েছে।
প্রশ্ন ৪: একা একা এশার সালাত পড়া উচিত না হলে আমার কি করা উচিত ছিলো যেহেতু আমি বের হতে পারিনি আর ওযু করে এসে ইমামকে পাইনি।
প্রশ্ন ৫: একা একা সালাত আদায় করাতে আমার সালাত কি হয়েছে।
প্রশ্ন ৬: লাহনে জলি কি শুধু কেরাত সহ ও ফরজ ওয়াজিব এ ধর্তব্য হবে নাকি দুরুদু ইব্রাহিম, দুয়া মাসূরা সহ সালাতে যা যা পড়ি যেকোনো জায়গায় লাহনে জলি হলে সালাত ফাসিদ হয়।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/4709 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত
عن عائشة، قالت: قال النبي صلى الله عليه وسلم: «إذا أحدث أحدكم في صلاته فليأخذ بأنفه، ثم لينصرف»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি তোমাদের কারো নামাযে অজু চলে যায়,তাহলে সে যেন নিজ নাকে ধরে নামায ভেঙ্গে অজুর জন্য চলে যায়।(সুনানু আবি দাউদ-১১১৪)

নামাযে যদি কারো অজু ভঙ্গ হয়ে যায়,এবং ঐ ব্যক্তি যদি প্রথম কাতারে থাকে,তাহলে তিনি প্রত্যেক দুই ব্যক্তির মধ্যখানে ফাক সৃষ্টি করে তিনি মসজিদ থেকে বের হয়ে অজু করতে চলে যাবেন।কিংবা যদি সামন দিক দিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ থাকে,তাহলে তিনি সামন দিক দিয়ে যাবেন।এক্ষেত্রে অনেককে ডিঙ্গিয়ে যাওয়ার রুখসত রয়েছে।এতে কোনো সমস্যা হবে না।কেননা এগুলো নিজের নামাযকে সংশোধন করার নিমিত্তেই করা হচ্ছে।যদি নামাযের কাতার থেকে বাহির হওয়ার কোনো সুযোগ না থাকে,বা কাতার সংখ্যায় অনেক থাকে,তাহলে এমতাবস্থায় বিধান হল,ঐ ব্যক্তি নামাযকে পরিত্যাগ করে আপন স্থানে বসে থাকবে।
(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৬/৫৭৯)

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/4709

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১) আপনার বসে থাকাই উচিৎ হয়েছে।কেননা এতে বিশৃঙ্খলা হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

(২)
আপনার কোনো গোনাহ হয়নি।

(৩)
প্রথম থেকেই পড়ে নেওয়া উত্তম। হ্যা, কারো সাথে কথা বললে, বিনা তথা অবশিষ্ট  নামায পড়ারও অনুমোদন রয়েছে।

(৪) জ্বী,  বসে থাকার পর অজু করে এসে নামায পড়াই যুক্তিসংগত বিষয়।

(৫)
জ্বী, সালাত হয়েছে।

(৬)
https://www.ifatwa.info/20245 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
কেরাত ব্যতিত অন্যন্য দু'আ  এবং তাসবিহাতেও যদি এমন ভূল বা লাহন হয় যে, যার কারণে অর্থের মধ্যে বিরাট পরিবর্তন চলে আসে, তাহলে এমন পরিবর্তন দ্বারা নামায ফাসিদ হয়ে যাবে। কিন্তু যদি এমন পরিবর্তন হয়, যাদ্বারা অর্থের মধ্যে কোনো পরিবর্তন আসে না,তাহলে এমন লাহন দ্বারা নামায ফাসিদ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...