খালওয়াত সংক্রান্ত

Question

আসসালামু আলাইকুম।
বিয়ের পর এবং এক তালাক  বায়েন  হওয়ার  আগে স্বামী- স্ত্রী  কখনো এক বাসায় থাকে নাই।দুইজন  আলাদা  বাসায়  থেকেছে।

১)নিচের পরিস্থিতিটা কি খালওয়াতে সহীহা ছিল???

 স্বামী- স্ত্রী মোবাইলে  কথা,মেসেজিং  করা,ইনবক্সে
একজন- আরেকজনের সকল লজ্জাস্থানের সম্পূর্ণ  ছবি এবং ভিডিও
আদান-প্রদানের দ্বারা
স্বামী এবং স্ত্রী  দুইজনই   উত্তেজিত  হয়ে গিয়েছিল
এবং

 দুইজনেরই নিম্নাংশের লজ্জাস্থান থেকে তরল পদার্থ  বের হয়েছিল।

 ফলে, দুইজনই নামায পড়ার  আগে ফরজ গোসলের নিয়মে গোসল করে তারপর নামায পড়েছিল।

২) খালওয়াতে  সহীহা হওয়ার  জন্য  নিম্নাংশের লজ্জাস্থান থেকে তরল পদার্থ   বের  হয়েছিল কি হয় নাই,এটা কি শর্ত???

৩)স্ত্রীর হাত দিয়ে  স্বামীর লজ্জাস্থান সরাসরি  স্পর্শের দ্বারা দুইজনেরই নিম্নাংশ থেকে তরল পদার্থ  বের হলো কিন্তু  জায়গাটা ছিল একটা রেস্টুরেন্টে, যেখানে রেস্টুরেন্ট চালানোর জন্য যারা নিয়োজিত সেসব লোকেরা ছিল এবং স্বামী-স্ত্রী কাস্টমারদের জন্য বরাদ্দকৃত টেবিলে বসা ছিল।
এতে কি খালওয়াতে সহীহা হবে?

 ৪)একবার স্বামী- স্ত্রী একটা  রেস্টুরেন্টে  খাওয়ার জন্য  গিয়েছিল।
ঐ রেস্টুরেন্টে অন্যান্য কাস্টমার   ছিল।
ঐ রেস্টুরেন্টের এক পাশে একটা বড় রুমের  ভিতর  ২/৩ টা  টয়লেট ছিল  এবং ঐ বড়  রুমের  বাকি জায়গায়  ২/৩ টা বেসিন ছিলো  হাত ধোঁয়ার জন্য।

 অর্থাৎ,টয়লেটগুলো এবং বেসিনগুলো ঐ বড় রুমের মধ্যে  অবস্থিত।

উল্লেখ, টয়লেটের ভিতর বেসিন  না কিন্তু। টয়লেটের বাহিরে কিন্তু  ঐ বড় রুমের ভিতরে বেসিনগুলো ছিল।

আমারা দুইজন জাস্ট  একসাথে ঐ বড় রুমের ভিতর   গিয়ে বেসিনে  হাতটা ধুয়ে চলে আসছি।বড় রুমের দরজা খোলা ই ছিল।

উল্লেখ  আমাদের ঐ বড় রুমে হাত  ধুতে যাওয়ার অনেকক্ষণ আগেও একটা মানুষকে হাত ধুঁয়ে/টয়লেট  করে ঐ বড় রুম থেকে বের হতে দেখেছি।
কিন্তু  আমারা যখন হাত ধুইতে  ঢুকি তখন ঐ বড় রুমে  আর কেউ ছিলো  না।

এটা কি  খালওয়াতে  সহীহা হবে?

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

■ খালওয়াতে সহীহাহ সংক্রান্ত হাদীস শরীফে এসেছেঃ

روى البيهقي في سننه عن سعيد بن المسيب أن عمر بن الخطاب رضى الله عنه (قضى في المرأة يتزوجها الرجل: أنه إذا أرخيت الستور فقد وجب الصداق) .

সারমর্মঃ

হযরত ওমর রাঃ এক মহিলা যাকে কোনো পুরুষ বিবাহ করেছিলো, ব্যাপারে ফায়সালা দিয়েছিলেন,

যখন তুমি সতর ছেড়ে দিয়েছিলে (খুলেছিলে) তখনই মোহর ওয়াজিব হয়েছে।

وعن الأحنف بن قيس أن عمر وعليا رضى الله عنهما قالا : (إذا أغلق بابا ، وأرخى سترا: فلها الصداق كاملا ، وعليها العدة) . قال الألباني في "إرواء الغليل" (1937) : "رجاله ثقات" .

সারমর্মঃ

যখন কেহ দরজা বন্ধ করে,সতর ছেড়ে দেয় (খুলে) তার জন্য পূর্ণ মোহর দিতে হবে।

وروى ابن المنذر في الأوسط (7273) عن الوليد بن أبي مالك قال: جمع عمر رضي الله عنه نفرا من أصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم فيهم معاذ بن جبل، فأجمع رأيهم: أنه إذا أغلق بابا، أو أرخى سترا، فقد وجب المهر.

সারমর্মঃ

যখন কেহ দরজা বন্ধ করে,সতর ছেড়ে দেয় (খুলে) তার জন্য মোহর ওয়াজিব হবে।

 

★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

১. না, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে খালওয়াতে সহীহা হয়নি৷ কারণ খালওয়াতে সহীহা বলা হয় স্বামী স্ত্রী এমন নির্জন স্থানে থাকা যেখানে সহবাসের কোনো প্রতিবন্ধক থাকে না৷

২. না, খালওয়াতে  সহীহার জন্য  নিম্নাংশের লজ্জাস্থান থেকে তরল পদার্থ বের  হওয়া শর্ত নয়।
৩. তারা যদি উক্ত রেস্টুরেন্টের  এমন জায়গায় থাকে যেখানে অন্যান্য কাস্টমাররা যাওয়া নিষেধ। তাহলে খালওয়াতে সহীহা হয়ে যাবে, অন্যথায় নয়।
৪. না, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে খালওয়াতে সহীহা হয়নি৷ কারণ খালওয়াতে সহীহা বলা হয় স্বামী স্ত্রী এমন নির্জন স্থানে থাকা যেখানে সহবাসের কোনো প্রতিবন্ধক থাকে না৷

Comments

তারা কাস্টমারদের জন্য  বরাদ্দকৃত টেবিল- চেয়ারেই বসে ছিল।

তাহলে তো খালওয়াতে  সহীহা হয় নাই।

ঠিক?

★এমন অবস্থা  ছিলোঃ

একবার  রেস্টুরেন্টে  আমরা ছাড়া অন্য কোন কাস্টমার ছিল  না।

ঐ রেস্টুরেন্টে,

স্বামী কতৃর্ক,স্ত্রীর বোরকার উপর  দিয়ে  স্ত্রীর শুধুমাত্র উপরের লজ্জাস্থান স্পর্শ  করে দেখা  এবং স্ত্রী  কতৃর্ক স্বামীর লজ্জাস্থান  সরাসরি  একটু  স্পর্শ  করে দেখা এতটুকু  সংগঠিত হয়েছিল।

উল্লেখ্য  ঐ রেস্টুরেন্টে  এক রুমেরই ছিলো,ঐ রুমের এক প্রান্তে রেস্টুরেন্ট মেইনটেইন  করার সকল লোক,খাবার এসব ছিল,বাকী  জায়গা কাস্টমারদের জন্য  টেবিল- চেয়ার ছিলো।

রেস্টুরেন্টে এসি করা  বিধায়  দরজা মিলানো ছিলো, কিন্তু  যখন যে কোন কাস্টমার  দরজা ধাক্কা  দিয়ে  রেস্টুরেন্টে  প্রবেশ  করতে  পারতো।