বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1570 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
যদি চার মাস বা তার চেয়ে বেশী সময়ের পর গর্ভপাত হয় তাহলে গর্ভপাত পরবর্তী নেফাস হিসেবে গণ্য হবে।আর চার মাসের পূর্বে গর্ভপাত হলে সে রক্তকে হায়েয গণ্য করা হবে যদি তা তিনদিন বা তার চেয়ে বেশী সময় অতিবাহিত হয়।আর তিনদিনের কম বা দশদিনের বেশী সময় অতিবাহিত হলে সে রক্তকে ইস্তেহাযার রক্ত হিসেবে গণ্য করা হবে।(আহসানুল ফাতাওয়া-২/৭১)
উল্লেখ্য যে,
https://www.ifatwa.info/2022 নং ফাতাওয়ায় বর্ণিত রয়েছে যে,
যে সকল কারণে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ এবং ৪ মাসের পূর্বে গর্ভপাতের অনুমোদন ফুকাহায়ে কেরাম দিয়ে থাকেন।এ সব কারণের একটি হল,অযাচিত গর্ভ।তথা একটি দুধের শিশু থাকাবস্থায় আবার গর্ভে সন্তান চলে আসা।বা পূর্বে সন্তানাদি ছোট্ট থাকাবস্থায় নবশিশুর লালনপালন বাধাগ্রস্ত হওয়ার পূর্ণ সম্ভাবনা থাকা।এ সকল কারণে ৪ মাসের পূর্বে গর্ভপাত জায়েয রয়েছে।
https://www.ifatwa.info/7480 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
اتَّفَقَ الْفُقَهَاءُ عَلَى أَنَّهُ لاَ حَدَّ لأَِقَل النِّفَاسِ، فَأَيُّ وَقْتٍ رَأَتِ الْمَرْأَةُ الطُّهْرَ اغْتَسَلَتْ، وَهِيَ طَاهِرٌ، وَاخْتَلَفُوا فِي أَكْثَرِهِ: فَيَرَى جَمْعٌ مِنَ الْعُلَمَاءِ أَنَّ أَكْثَرَ النِّفَاسِ أَرْبَعُونَ يَوْمًا. قَال أَبُو عِيسَى التِّرْمِذِيُّ: أَجْمَعَ أَهْل الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ رَسُول اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَنْ بَعْدَهُمْ
সমস্ত উলামায়ে কেরাম এ কথার উপর একমত যে,নেফাসের সর্বনিম্ন কোনো সীমারেখা নাই।সন্তান জন্মের পর যখনই মহিলা পবিত্রাকে দেখবে,তখনই গোসল করে পবিত্র হয়ে যাবে।নেফাসের সর্বোচ্ছ সীমারেখা কি? এ নিয়ে ফুকাহাদের মধ্যে মতবেদ রয়েছে,সিংহভাগ উলামায়ে কেরাম মনে করেন,সর্বোচ্ছ চল্লিশদিন পর্যন্ত নেফাস হতে পারে।ইমাম তিরমিযি রাহ বলেন,সাহাবা এবং পরবর্তী যুগের উলামাদের ইজমা রয়েছে যে,নেফাসের সর্বোচ্ছ সীমারেখা চল্লিশদিন।(আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-২/১৫)