আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
187 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)

আসসালামু আলাইকুম,

" হায়ওয়া ইবন শুরায়হ আল্-হাযরামী .... মু‘আয ইবন জাবাল (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ যুদ্ধ দু‘প্রকার, ১. যে আল্লাহ সন্তুষ্টির জন্য যুদ্ধ করে এবং ইমামের আনুগত্যে থাকে, নিজের উৎকৃষ্ট সম্পদ যুদ্ধে ব্যয় করে, সঙ্গীর সহায়তা করে, ঝগড়া ফ্যাসাদ ও অপকর্ম হতে বেঁচে থাকে। তার নিদ্রা ও জাগ্রত অবস্থার সব কিছুই পূণ্যে পরিণত হয়। ২. যে গভর্ণর লোক দেখানো ও সুনামের জন্য যুদ্ধ করে এবং ইমামের (নেতার) অবাধ্য থাকে ও পৃথিবীতে অন্যায় কাজ করে, সে সামান্য কিছু পুণ্য নিয়েও বাড়ি ফিরে না।"( মুসতাদরাক আল হাকেম, সিলসিলা সহীহাহ)

এই হাদীস থেকে এক ভাই বললো এখানে জিহাদের কবুলিয়াতের শর্ত সমূহ বর্ণনা করা হয়েছে।এখানে সবগুলো কথাই জিহাদের কবুলিয়্যাতের শর্ত।কাজেই কেউ যদি জিহাদে আমিরের আনুগত্য না করে তাহলে তার জিহাদ কবুল হবে না।

আমার প্রশ্ন

১/এখানে সবগুলো পয়েন্টই কি জিহাদের কবুলিয়্যাতের শর্ত নাকি শুধু আমিরের আনুগত্য।

২/ আমিরের আনুগত্য জিহাদে ওয়াজিব জানতাম।এখন কেউ যদি আমিরের অনুমতি না নিয়ে কোনো যুদ্ধে যায় ও শহীদ হয়ে যায় তখন কি তার জিহাদ বাতিল হয়ে যাবে। আর যদি বাতিল হয়ে যায় তাহলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কোনো ভুলের কারণেও কি জিহাদের ইবাদাত বাতিল হবে? যেমনঃ আমির তাকে পিয়াজ কাটার দায়িত্ব দিলেন  আর মামুর কোনোদিন অলসতা কাটলো না এক্ষেত্রে কি তার ঐ জিহাদ বাতিল হবে?  

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
আমিরের আনুগত্য বলতে এমন কোনো বিষয়ে আমিরের অানুগত্যকে স্বীকার না করা, যেখানে নিজের লাভ হয়, অর্থাৎ নিজের লাভ দেখে এবং মুসলমানের লাভকে অগ্রাহ্য করে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা, এমন হলে, সেই জাহাদের কোনো সওয়াই ঐ ব্যক্তির নিকট পৌছবে না।

হ্যা, কেউ যদি মুসলমানের লাভকে সামনে রেখে আমরিরের বিধিনিষেধকে ফলো না করে বরং জিহাদ চালিয়ে যায়,তাহলে এক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তির সওয়াব প্রাপ্তির জন্য কোনো সমস্যা হবে না।

ওয়াবিসা ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ  ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ : ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ : ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ » ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ " ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ ."
তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বললেন,তুমি কি নেকীর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ?আমি বললাম জ্বী হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ!
তখন তিনি আমাকে বললেন,তুমি তোমার অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করো।নেকি হল সেটা যার উপর অন্তর প্রশান্তিবোধ করে,এবং যে জিনিষের উপর অন্তর শান্ত থাকে।আর গোনাহ হল সেটা,যা অন্তরে অশান্তি সৃষ্টি করে নাড়িয়ে দেয়,এবং অন্তরকে দ্বিধান্বিত করে ফেলে।যদিও উক্ত কাজ সম্পর্কে মুফতিগণ বৈধতার ফাতাওয়া প্রদাণ করুক না কেন। (মুসনাদে আহমদ-১৭৫৪৫)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...