আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
137 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (25 points)
আসসালামু আলাইকুম।
আমি পর্দা করা সত্ত্বেও কোনো মুসলিম ছেলে যদি আমার অজান্তে কোনো সুযোগ পেয়ে আমাকে বেপর্দা অবস্থায় ইচ্ছাকৃত ভাবে লুকিয়ে-চুরিয়ে দেখে ফেলে তাহলে স্বাভাবিকভাবেই  আমার খারাপ লাগবে..
এক্ষেত্রে আমি কী তাকে অভিশাপ দিতে পারব??
কারণ সে আমার পর্দা নষ্ট করে আমার অনেক বড় অসম্মান করেছে..
একই প্রশ্ন কোনো কাফের ছেলে এমনটা করলে তাকেও অভিশাপ দিতে পারব?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/27748 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
একজন কামিল ঈমানদারের জন্য উচিৎ নবীজী সাঃ এর শিক্ষায় দীক্ষিত হয়ে ক্ষমার গুণ অর্জন করা।অভিশাপ দেয়াকে চিরতরে নিজের কাছ থেকে দূর করে দেয়া।এবং কবি জসিমুদ্দিনের সেই কবিতার দিকে একটু লক্ষ্য করা যা তিনি নবীজী সাঃ এর একটি হাদীস থেকে চয়ন করে লিখেছিলেন,
আমার এ ঘর বাঙ্গিবে যে আমি বাধি তার ঘর।
যেমন রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ
ﺻﻞ ﻣﻦ ﻗﻄﻌﻚ ﺃﻋﻂ ﻣﻦ ﺣﺮﻣﻚ ﺍﻋﻒ ﻋﻤﻦ ﻇﻠﻤﻚ
যে তোমার সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করে তুমি তার সাথে সম্পর্কস্থাপন করো।যে তোমাকে মাহরুম করে তুমি তাকে দান করো।যে তোমার উপর জুলুম করে তুমি তাকে ক্ষমা করে দাও।{শুআবুল ঈমান-বায়হাক্বী-7599}

অহেতুক কাউকে বদ দুআ করা জায়েয হবে না।
চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ
"আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায় " রয়েছে,
 لا خلاف بين الفقهاء في أن الدعاء على المسلم المصون باللعن حرام. أما المسلم الفاسق المعين فقد اختلفت فيه أقوال الفقهاء: فالمذهب عند الحنفية والشافعية وهو المذهب عند الحنابلة وهو قول ابن العربي من المالكية، أنه لا يجوز لعنه
নিরপরাধ কোনো মুসলমানকে অহেতুক বদদুআ করা হারাম।এবং গুনাহগার নির্দিষ্ট কোনো মুসলমানকে লা'নত করাও চার মাযহাব মতে হারাম।{৩৫/৩৭৩}
{ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া-২৪/২৫২}

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন!
আপনাকে লুকিয়ে চুরি করে দেখার কারণে যদিও তাকে লা'নত করার অধিকার আপনার আছে, তথাপি আপনি লা'নত থেকে বিরত থাকবেন।বরং তাকে ক্ষমা করে দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...