হাদীসে ইরশাদ হচ্ছে-
হযরত আনাস বিন মালিক রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-
3425 – حَدَّثَنَا أَبُو الْجَهْمِ الْأَزْرَقُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا الْمُسْتَلِمُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ الْحَجَّاجِ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْأَنْبِيَاءُ أَحْيَاءٌ فِي قُبُورِهِمْ يُصَلُّونَ
[حكم حسين سليم أسد] : إسناده صحيح
হযরত আনাস বিন মালিক রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, নবীগণ তাদের কবরে জীবিত। তারা সেখানে নামায পড়েন।
মুসনাদে আবী ইয়ালা, হাদীস নং-৩৪২৫}
বিস্তারিত জানুনঃ
★সুতরাং উল্লেখিত আকীদা বিশুদ্ধ।
তবে কিছু স্কলারদের মতবিরোধ রয়েছে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আল্লাহ তায়ালার কাছে বিষয়টি খুবই সামান্য বিষয়, যিনি মৃত্যুকে জীবিত করতে পারেন,তার পক্ষে কবরে জীবিত নবী রাসুলদের মিরাজের রজনিতে আসমানে,বাইতুল মুকাদ্দাসে রাসুল সাঃ এর সাথে সাক্ষাৎ করানো এটি কঠিন কোনো বিষয় নয়। সম্ভব।
(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
أَخْبَرَنَا سُوَيْدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، قَالَ قَالَ مَعْمَرٌ وَيُونُسُ قَالَ الزُّهْرِيُّ وَأَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ أَنَّ عَائِشَةَ أَخْبَرَتْهُ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ أَقْبَلَ عَلَى فَرَسٍ مِنْ مَسْكَنِهِ بِالسُّنُحِ حَتَّى نَزَلَ فَدَخَلَ الْمَسْجِدَ فَلَمْ يُكَلِّمِ النَّاسَ حَتَّى دَخَلَ عَلَى عَائِشَةَ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُسَجًّى بِبُرْدٍ حِبَرَةٍ فَكَشَفَ عَنْ وَجْهِهِ ثُمَّ أَكَبَّ عَلَيْهِ فَقَبَّلَهُ فَبَكَى ثُمَّ قَالَ بِأَبِي أَنْتَ وَاللَّهِ لاَ يَجْمَعُ اللَّهُ عَلَيْكَ مَوْتَتَيْنِ أَبَدًا أَمَّا الْمَوْتَةُ الَّتِي كَتَبَ اللَّهُ عَلَيْكَ فَقَدْ مُتَّهَا .
সুওয়ায়দ (রহঃ) ... আবূ সালামা (রাঃ) থেকে বর্নিত যে, আয়িশা (রাঃ) তাকে বর্ণনা করেছেন যে, আবূ বকর (রাঃ) তার “সুনহা” নামক স্থানের বাসস্থান থেকে একটি ঘোড়ায় আরোহন করে এসে অবতরণ করলেন এবং মসজিদে প্রবেশ করলেন-তিনি কারো সাথে কোন কথাবার্তা না বলে আয়িশা (রাঃ)-এর কাছে গেলেন। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি ইয়ামানী চাদরে ঢাকা ছিলেন। তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মুখমন্ডল থেকে তা খুলে ফেলে ঝুঁকে পড়ে তাঁকে চুমু খেলেন এবং কাঁদতে কাঁদতে বলতে লাগলেন আপনার উপর আমার মাতা-পিতা কুরবান হোক, আল্লাহর শপথ! আল্লাহ তা’আলা আপনাকে কখনো দু’বার মৃত্যু দান করবেন না। যে মৃত্যু আপনার জন্য নির্ধারিত ছিল তা আপনি বরণ করে নিয়েছেন।
(বুখারী ১২৪২, নাসাঈ ১৮৪১)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছেঃ
ফাতহুল বারী গ্রন্থে আছেঃ
المراد بالموتة الأخرى موتة الشريعة أي لا يجمع الله عليك موتك وموت شريعتك. قال هذا القائل: ويؤيده قول أبي بكر بعد ذلك في خطبته " من كان يعبد محمدا فإن محمدا قد مات، ومن كان يعبد الله فإن الله حي لا يموت "
সারমর্মঃ
এখানে ২য় মৃত্যু দ্বারা উদ্দেশ্য রাসুল সাঃ এর শরীয়তের মৃত্যু।
যার স্বপক্ষে প্রমান হলো আবু বকর রাঃ এর কথা।
তিনি বলেছিলেন যে যে ব্যাক্তি মুহাম্মদ সাঃ এর ইবাদত করো,মুহাম্মদ সাঃ মারা গিয়েছেন।
আর যে ব্যাক্তি আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করেন,আল্লাহ তায়ালা জীবিত,তিনি মারা যাবেননা।
হাশিয়াতুস সানাদি আলান নাসাঈ গ্রন্থে আছেঃ
( لا يجمع الله عليك موتتين ) رد لما زعم عمر أنه يرجع إلى الدنيا بأنه لو رجع لمات ثانيا وهو عند الله أعلى قدرا من أن يجمع له موتتين
সারমর্মঃ
কেননা তিনি ধারনা করেছিলেন যে রাসুলুল্লাহ সাঃ আবার দুনিয়াতে আসবেন,তাহলে ২য় বার মারা যাবেন।