জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
শরীয়তের বিধান হলো কোন মুসলিমের জন্য কুফরী আচারানুষ্ঠানের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করা কিংবা এ উপলক্ষে অন্যকে বোনাস গ্রহন,অফার গ্রহন করা হারাম।
কেননা আল্লাহ তাআলা কুফরীর প্রতি সন্তুষ্ট নন।
তিনি বলেন: “যদি তোমরা কুফরী কর তবে (জেনে রাখ) আল্লাহ্ তোমাদের মুখাপেক্ষী নন। আর তিনি তাঁর বান্দাদের জন্য কুফরী পছন্দ করেন না। এবং যদি তোমরা কৃতজ্ঞ হও; তবে (জেনে রাখ) তিনি তোমাদের জন্য সেটাই পছন্দ করেন।”
[সূরা যুমার, আয়াত: ৭]
আল্লাহ তাআলা আরও বলেন: “আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করলাম এবং তোমাদের উপর আমার নেয়ামত সম্পূর্ণ করলাম, আর তোমাদের জন্য ইসলামকে দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম।”
[সূরা মায়েদা, আয়াত: ৩]
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ عَبْدِ اللهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ:: ” الْمَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ
হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঈদ রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, ব্যক্তি [কিয়ামতের দিন] তার সাতে থাকবে যাকে সে মোহাব্বত করে। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৩৭১৮, বুখারী, হাদীস নং-৬১৬৮, ৫৮১৬}
عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ
হযরত ইবনে ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন- যে ব্যক্তি যার সাদৃশ্য গ্রহণ করে, সে তাদেরই অন্তর্ভূক্ত। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪০৩১}
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
পূজা উপলক্ষে ডিসকাউন্টে প্রডাক্ট কিনলে গুনাহ হবে।
এটি জায়েজ নেই।
আরো জানুনঃ
(০২)
কুরআন হাদীসে এমন কোনো দোয়া স্পষ্ট আকারে উল্লেখ নেই।
তবে নিম্নের হাদীসে যেই দোয়া এসেছে,সেটি পড়তে পারেনঃ-
আবদুর রহমান ইবনে আবু বকর (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি আমার পিতাকে বললাম, হে আব্বাজান, আমি আপনাকে প্রতিদিন ভোরে ও সন্ধ্যায় তিনবার বলতে শুনি:
: ‘আল্লাহুম্মা আ-ফিনি ফি বাদানি, আল্লাহুম্মা আ-ফিনি ফি সাম-ই, আল্লাহুম্মা আ-ফিনি ফি বাসারি, লা-ইলাহা ইল্লা আনতা।’
‘হে আল্লাহ, আমার দেহ সুস্থ রাখুন। হে আল্লাহ, আমাকে সুস্থ রাখুন আমার শ্রবণ ইন্দ্রিয়ে। হে আল্লাহ, আমাকে সুস্থ রাখুন আমার দৃষ্টিশক্তিতে। আপনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই।’ তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে এ বাক্যগুলো দ্বারা দোয়া করতে শুনেছি। সে জন্য আমিও তাঁর নিয়ম অনুসরণ করতে ভালোবাসি। (আবু দাউদ, হাদিস : ৫০৯০)
(০৩)
যেকোনো ভাবে দোয়া করা যায়।
তাকে বুঝানোর পাশাপাশি এইভাবে দোয়া করতে পারেনঃ
হে আল্লাহ! আমার স্বামীকে হেদায়াত দান করুন।
তাকে নামাযী, দীনদার, গুনাহ থেকে আত্মরক্ষাকারী, নেক কাজের প্রতি মহব্বত ও ভালোবাসা পোষণকারী বানিয়ে দিন।
(০৪)
এই জন্য সহীহ ধারার আলেম চিনে তার কাছে যাওয়া উচিত।
তিনি জাদু টোনা করবে কিনা,বা বৈধ কালাম ছাড়া অন্য কোনোভাবে কাজ করে কিনা,বিষয়টি সরাসরি তার কাছে প্রশ্ন করেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
তিনি যদি বলেন যে বৈধ কালাম দিয়েই তিনি কাজ করেন,তাহলে এর বিপরিত কোনো বিষয় প্রমাণিত না হলে সেখানে রুকইয়াহ করাতে পারে।