ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
যেহেতু ইসলাম দ্বীনে ফিতরাহ বা স্বভাবজাত ধর্ম।তাই বলা যায় যে,পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে ইসলামে অনেক গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। যেজন্য ফুকাহায়ে কেরাম লিখেন, বিনা ওজরে শরীরের অবাঞ্ছিত লোম, নখ ইত্যাদিকে চল্লিশ দিন পর কাটা মাকরূহ তাহরীমি।তাতে অবশ্যই গোনাহ হবে
যেমন হযরত আনাস রাযি. থেকে বর্ণিত রয়েছে-
وُقِّتَ لَنَا فِي قَصِّ الشَّارِبِ، وَتَقْلِيمِ الأَظْفَارِ، وَنَتْفِ الإِبِطِ، وَحَلْقِ الْعَانَةِ، أَنْ لاَ نَتْرُكَ أَكْثَرَ مِنْ أَرْبَعِينَ يَوْماً.
অর্থাৎ, গোঁফ ছোট রাখা , নখ কাঁটা, বগলের লোম উপড়িয়ে ফেলা এবং নাভীর নিচের লোম চেঁছে ফেলার জন্যে আমাদেরকে সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল যেন, আমরা তা করতে চল্লিশ দিনের অধিক দেরী না করি। (মুসলিম ২৫৮)
কিন্তু '৪০ দিন অতিক্রম করলে ইবাদত কবুল হবে না ; কথাটা বিশুদ্ধ নয়।
(২)
দাড়ি ব্যতিত শরীরের অন্যান্য অঙ্গের লোম, যেমন হাত বা পায়ের লোম, পুরুষ এবং নারীদের জন্য একেবারে উপড়ে ফেলা বা মুণ্ডন করা নিষেধ নয়। তবে অনুত্তম।
وفى حلق شعر الصدر والظهر ترك الادب، (رد المحتار، كتاب الحظر والاباحة، فصل فى البيع-9/583، طحطاوى على مراقى الفلاح-431
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে বুকের লোম পরিস্কার করা যাবে।