আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
405 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (60 points)
আসসালামু আলাইকুম।
(১) যদি শরীরের অনাকাঙ্ক্ষিত লোম কাটতে ৪০ দিন পার হয়ে যায় তবে কি ইবাদত কবুল হয়না?

(২) হাত পা ও বুকের লোম কর্তন কি জায়েয? ............................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................

1 Answer

0 votes
by (709,260 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
যেহেতু ইসলাম দ্বীনে ফিতরাহ বা স্বভাবজাত ধর্ম।তাই বলা যায় যে,পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে ইসলামে অনেক গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। যেজন্য ফুকাহায়ে কেরাম লিখেন, বিনা ওজরে শরীরের অবাঞ্ছিত লোম, নখ ইত্যাদিকে চল্লিশ দিন পর কাটা মাকরূহ তাহরীমি।তাতে অবশ্যই গোনাহ হবে 

যেমন হযরত আনাস রাযি. থেকে বর্ণিত রয়েছে-
وُقِّتَ لَنَا فِي قَصِّ الشَّارِبِ، وَتَقْلِيمِ الأَظْفَارِ، وَنَتْفِ الإِبِطِ، وَحَلْقِ الْعَانَةِ، أَنْ لاَ نَتْرُكَ أَكْثَرَ مِنْ أَرْبَعِينَ يَوْماً.
অর্থাৎ, গোঁফ ছোট রাখা , নখ কাঁটা, বগলের লোম উপড়িয়ে ফেলা এবং নাভীর নিচের লোম চেঁছে ফেলার জন্যে আমাদেরকে সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল যেন, আমরা তা করতে চল্লিশ দিনের অধিক দেরী না করি। (মুসলিম ২৫৮)

কিন্তু '৪০ দিন অতিক্রম করলে ইবাদত কবুল হবে না ;  কথাটা বিশুদ্ধ নয়।


(২)
দাড়ি ব্যতিত শরীরের অন্যান্য অঙ্গের লোম, যেমন হাত বা পায়ের লোম, পুরুষ এবং নারীদের জন্য একেবারে উপড়ে ফেলা বা মুণ্ডন করা নিষেধ নয়। তবে অনুত্তম।
وفى حلق شعر الصدر والظهر ترك الادب، (رد المحتار، كتاب الحظر والاباحة، فصل فى البيع-9/583، طحطاوى على مراقى الفلاح-431

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে বুকের লোম পরিস্কার করা যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...