শরীয়তের বিধান হলো জাদু টোনা করা হারাম,এমনকি এর মধ্যে কিছু ছুরত রয়েছে,যেটি মানুষকে কুফর পর্যন্ত পৌছিয়ে দেয়।
ইসলামী রাষ্ট্রে প্রমান সাক্ষী সহকারে কাহারো এমনটি করার প্রমান হয়,তাহলে জাদুগরের শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১৬/২৭১)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَ اتَّبَعُوۡا مَا تَتۡلُوا الشَّیٰطِیۡنُ عَلٰی مُلۡکِ سُلَیۡمٰنَ ۚ وَ مَا کَفَرَ سُلَیۡمٰنُ وَ لٰکِنَّ الشَّیٰطِیۡنَ کَفَرُوۡا یُعَلِّمُوۡنَ النَّاسَ السِّحۡرَ ٭
আর সুলাইমানের রাজত্বে শয়তানরা যা আবৃত্তি করত তারা তা অনুসরণ করেছে। আর সুলাইমান কুফরী করেননি, বরং শয়তানরাই কুফরী করেছিল। তারা মানুষকে শিক্ষা দিত জাদু,,।
(সুরা বাকারা ১০২)
قال أبوحنیفۃ: الساحر إذا أقر لسحرہ أو ثبت بالبینۃ یقتل ولا یستتاب منہ۔ (شامي ۴؍۲۴۰ کراچی، ۶؍۳۸۲ زکریا)
সারমর্মঃ
ইমাম আবু হানিফা রহঃ বলেন, কেহ যদি তার জাদু করার কথা স্বীকার করে অথবা দলিল দ্বারা প্রমানীত হয়,তাকে হত্যা করা হবে।
তওবা চাওয়া হবেনা।
قال العلامۃ علاء الدین الطرابلسي: قال في النوازل: الخناق والساحر یقتلان إذ أقرّ؛ لأنہما ساعیان في الأرض بالفساد۔ (معین الحکام / الباب الحادي والخمسون في القضاء بما یظہر من قرائن الأحوال والأمارات وحکم الفراسۃ …، فصل في عقوبۃ الساحر والخناق الزندیق ۱۹۳ مصطفیٰ الباپ الحلبي مصر، بحوالہ: تعلیقاتِ فتاویٰ محمودیہ ۲۰؍۵۱ ڈابہیل)
সারমর্মঃ
শ্বাসরোধ করে হত্যা কারী আর জাদুকর যদি তাদের স্বীয় কাজের কথা স্বীকার করে,তাহলে তাদেরকে হত্যা করে দেওয়া হবে।
কেননা তারা জমিনে ফাসাদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
(১.২)
কুফরি কালাম ছাড়া জাদু করা হলে এহেন জাদু করা বা করানো হারাম।
এতে কেউ কাফের হবেনা।
তবে কুফরি কালাম দ্বারা জাদু করলে জাদুকর কাফের হবে।
কুফরি কালাম করতে যাদুকরকে নির্দেশ করলে নির্দেশ দাতাও কাফের হয়ে যাবে।
আরো জানুনঃ
তবে মুখে কাফের হয়ে যাওয়ার মতো কথা বললে কালেমায়ে শাহাদত পড়ে ঈমান আনতে হবে,বিবাহিত হলে পুনরায় বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।