আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
223 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (58 points)
edited by
১৷ কসমের বিস্তারিত মাস আলা জানার পূর্বে আল্লাহর কাছে কসম করেছিল বিভিন্ন ব্যাপারে। পরবর্তীতে ভেঙ্গে ফেলায় একবার কাফফারা আদায় করে। কাফফারা আদায় করে ফেলার পর পুনরায় অনেক বার ই ভেঙ্গে ফেলে। কতবার ভেঙ্গেছে তা জানেনা। সে কি ক্ষমা পাবে? যদিও সে জানত না কাফফারা আদায় করার পর পুনরায় কসম রক্ষা করতে হবে। যদি জানত তবে সে কখনোই কসম করত না। আবার সেই কসম করা হয়েছিল হঠাৎ আবেগ থেকে।এবং সে এটাও জানত যে কসম ভেঙ্গে ফেলতে পারে।

২। এক ব্যক্তি আল্লাহর কাছে এভাবে বলে আমি জিনায় জড়াব না,  যদিও সে মনে মনে বলেছিল আমি মেসেঞ্জারে অশ্লীল বাক্যালাপ করব না। এটাই বুঝিয়েছিল। এক্ষেত্রে আল্লাহর নাম নিয়েছিল কিনা মনে নেই। তারপর যথাসম্ভব অশ্লীল বাক্যালাপ এড়িয়ে গেছে। এক্ষেত্রে কসম কোনটার উপর পতিত হবে? জিনার উপর নাকি যে কথা নিয়ত করে বলেছে তার উপর? এক্ষেত্রে কারো সাথে সাধারণ কথা বললেই কি কসম ভঙ্গ হয়ে যাবে?


৩। তাওবা করার সময় যে বলা হয়, আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করুন,আমি আর এমনটি করব না। যদিও পরে এমন কাজ পুনরায় করা হয়। এক্ষেত্রে কসম আর কাফফারা হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/3101 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
কসম বা শপথ তিন প্রকার যথাঃ-
(اليمين بالله ثلاثة أنواع) غموس، وهو الحلف على إثبات شيء، أو نفيه في الماضي، أو الحال يتعمد الكذب فيه فهذه اليمين يأثم فيها صاحبها، وعليه فيها الاستغفار، والتوبة دون الكفارة.
(১)গুমুস- অতীত বা বর্তমান কালে কোনো জিনিষকে প্রমাণিত করা বা না করার জন্য ইচ্ছা করে মিথ্যা কসম করা।এমন শপথকারী নিজে গোনাহগার হবে।তার উপর তাওবাহ ইস্তেগফার করা অত্যাবশ্যকীয়। তবে তার উপর কাফফারা আসবে না।
ولغو، وهو أن يحلف على أمر في الماضي، أو في الحال، وهو يظن أنه كما قال:، والأمر بخلافه بأن يقول: والله قد فعلت كذا، وهو ما فعل، وهو يظن أنه فعل، أو: ما فعلت كذا، وقد فعل، وهو يظن أنه ما فعل، أو رأى شخصا من بعيد فقال: والله إنه لزيد، وظنه زيدا، وهو عمرو، أو طائرا فقال: والله إنه لغراب، وظنه غرابا، وهو حدأة فهذه اليمين نرجو أن لا يؤاخذ بها صاحبها، واليمين في الماضي إذا كان لا عن قصد لا حكم له في الدنيا، والآخرة عندنا.
(২)লগু-অতীত বা বর্তমান কালে কোনো জিনিষ প্রমাণিত করা বা না করার জন্য শপথ করা।সে ধারণা করছে যে,সে যা বলছে তাই সত্য,অথচ বাস্তবতা হল,মিথ্যা।যেমন কেউ বলল,আল্লাহর কসম,আমি এমনটা করেছি।অথচ বাস্তবতা হল, সে করেনি।কিন্তু সে মনে করে করেছে যে,সে করোছে।এবং তার উল্টো বিষয়ও এমনই।
এবং কেউ দূর থেকে কোনো ব্যক্তিকে দেখে বলল,এতো যায়েদ।অথচ সে আমর।কিন্তু সে ধারণা করেছিল যে,উনি যায়েদ,ইত্যাদি ইত্যাদি।এমন শপথের ব্যাপারে বলা যায় যে,এই শপথের শপথকারীর কোনো প্রকার গোনাহ হবে না।অতীতকালের শপথ যদি কেউ মিথ্যার ইচ্ছায় না করে,তাহলে হানাফি ফিকহ অনুযায়ী দুনিয়া ও আখেরাতে এর কোনো শাস্তির বিধান আরোপিত হবে না।
ومنعقدة، وهو أن يحلف على أمر في المستقبل أن يفعله، أو لا يفعله، وحكمها لزوم الكفارة عند الحنث كذا في الكافي.
(৩)মুনআকিদাহ- ভবিষ্যৎকালে কোনো জিনিষ করা বা না করার শপথ করা।শপথ পূর্ণ না করলে এর কাফফারা অবশ্যই দিতে হবে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-২/৫২)

আপনার বক্তব্য থেকে বুঝা যাচ্ছে যে,আপনি ভবিষ্যতে কিছু করা বা না করার শপথ নিয়েছিলেন।সুতরাং এখন শপথকে রক্ষা না করলে অবশ্যই আপনাকে কাফফারা দিতে হবে।এ সম্পর্কে  বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/1808

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

(১)
কসমের মাস'আলা না জানার পরও কেউ যদি কসম করে উক্ত কসমকে ভঙ্গ করে,তাহলে কাফফারা ওয়াজিব হবে।কসম কে ভঙ্গ করার কারণে কাফফারা দেয়ার পর উক্ত কাজ দ্বিতীয়বার করলে বা কসম ভঙ্গ হলে, আর কাফফারা আসবে না।

(২)
যিনা অনেক প্রকার হতে পারে।লিঙ্গের যিনা,যাকে বাস্তব যিনা বা ব্যভিচার বলা হয়ে থাকে। হাতের যিনা,মুখের যিনা সবই যিনা শব্দের অন্তর্ভুক্ত। যেহেতু আপনি নিয়ত দ্বারা যিনার প্রকারভেদ সমূহের মধ্যে একটিকে নির্দিষ্ট করে নিয়েছেন, তাই এখন অশ্লীল কথা বলার কারণেও বা যিনার নিয়তে সাধারণ কথা বলার কারণেও আপনার কসম ভঙ্গ হয়ে যাবে।

তবে সাধারণ কথা দ্বারা কসম ভঙ্গ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...