ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1453 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
যখন কেনো মানুষের গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন দেখা দিবে,তখন তার জন্য সালাতুল হাজত পড়া মুস্তাহাব।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আবি আওফা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,যে ব্যক্তির আল্লাহর নিকট কোনো কিছুর প্রয়োজন হবে, বা কোনো মানুষ সম্পর্কিত কোনো প্রয়োজন দেখা দিবে,সে যেন উত্তম রূপে অজু করে,অতঃপর দু' রাকাত নামায পড়ে।নামাযের পর আল্লাহ তা'আলার হামদ ও ছানা এবং নবী সাঃ এর উপর দুরুদ পাঠ পূর্বক নিম্নোক্ত দু'আকে যেন সে পড়ে নেয়।
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ الحَلِيمُ الكَرِيمُ، سُبْحَانَ اللهِ رَبِّ العَرْشِ العَظِيمِ، الحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ العَالَمِينَ، أَسْأَلُكَ مُوجِبَاتِ رَحْمَتِكَ، وَعَزَائِمَ مَغْفِرَتِكَ، وَالغَنِيمَةَ مِنْ كُلِّ بِرٍّ، وَالسَّلاَمَةَ مِنْ كُلِّ إِثْمٍ، لاَ تَدَعْ لِي ذَنْبًا إِلاَّ غَفَرْتَهُ، وَلاَ هَمًّا إِلاَّ فَرَّجْتَهُ، وَلاَ حَاجَةً هِيَ لَكَ رِضًا إِلاَّ قَضَيْتَهَا يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِينَ.
(সুনানু তিরমিযি-৪৭৯)
আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী রাহ তাজনিস কিতাবের উদ্ধৃতিতে লিখেন,
এ'শার নামাযের পর সালাতুল হাজতের চার রা'কাত পড়তে হবে।এই নামাযের নিয়ম একটি হাদীসে মারফু এর আলোকে এভাবে রয়েছে যে,প্রথম রা'কাতে সূরায়ে ফাতেহা একবার,এবং আয়াতুল কুরসি তিনবার।এবং পরবর্তী তিন রা'কাতে সূরায়ে ফাতেহার সাথে সূরায়ে ইখলাছ এবং সূরায়ে ফালাক্ব ও সূরায়ে নাস একবার করে করে পড়তে হবে।মাশায়েখগণ বলেন,আমরা এমন পদ্ধতিতে নামায পড়তাম,আমাদের হাজত পূর্ণ হতো।মুনয়াতুল মুসাল্লি নামক কিতাবে দু'রাকাত সালাতুল হাজতের কথা বর্ণিত রয়েছে।
রদ্দুল মুহতার-২/২৮আরো জানতে দেখুন-
(কিতাবুন-নাওয়াযিল-৪/৬৩১)
সালাতুল হাজতের নামায দু'রাকাত বা চার রা'কাত যে কোনো সংখ্যায় পড়া যায়।কেননা নফল নামায দু-রাকাত করেও পড়া যায়।আবার চার রাকাত করেও পড়া যায়।(শেষ)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি আপনার উপরোক্ত সমস্যার সমাধান কল্পে তাহাজ্জুদ নামায পড়ুন এবং সালাতুল হাজত পড়ে দু'আ করতে থাকুন।