আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
261 views
in পবিত্রতা (Purity) by (25 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লহি ওবারাকাতুহু শাইখ।
আমার অনিয়মিত হায়েয এর সমস্যা আছে।মাঝে মাঝে নিয়মিত হয়,আবার মাঝে মাঝে কয়েক মাস মিস যায়,আবার মাঝে মাঝে ইস্তিহাযা পর্যন্ত হয়।
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে,আমাদের ত তুহরের সময় স্রাব হয় না?ত সেটা কখনো সাদা হয় কখনো হাল্কা হলদে হয়(লালচে না,সাদাটে হলুদ)
আগে আমি এটা কি নরমাল স্রাব হিসেবেই নিতাম।কিন্তু কিছু মাস আগে আমি আমার পিরিয়ড এর ৯ম দিনে এই হলদেটে স্রাব দেখে,আবার হাল্কা লালচে স্রাব দেখসি।
এরপর থেকে আমার প্রশ্ন এই স্রাব কে আমি কি হিসেবে নিবো?
নরমালি নিবো?নাকি হায়েজ এর রক্ত হিসেবে?
হায়েজ এর রক্ত হিসেবে নিলে,আমাকে সারা বছর ই ইস্তিহাযাা হিসেবে মানতে হবে যেহেতু এটা সব সময় ই দেখি আমি।এবং সব সময় ই যায়,সাদা স্রাব এর মতো।
আর ২ য় প্রশ্ন আমি কিভাবে বুঝবো আমার তুহর শুরু হইসে?যেহেতু হলদেটে স্রাব টা আমার সব সময়ই যায়।
বুঝিনা এটা কি হিসেবে ধরবো,তাই ১০ দিন পর্যন্ত সালাত পরিনা,আর আগের অভ্যাস ৮ দিন ৪ ওয়াক্ত ধরে বাকি গুলা কাযা পরে নিতাম।এইবার কি করবো?তুহর বুঝবো কখন?

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
اذا عاودها الدم في العشرة بطل الحكم بطهارتها مبتدأة كانت او معتادة و كأنها لم تطهر اصلا
হায়েয বন্ধ হওয়ার পর দশ দিনের ভিতর আবার যদি হায়েয চলে আসে,তাহলে পূর্বের পবিত্রতার বিধান খতম হয়ে যাবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।যেমন ঐ মহিলা পূর্বে পবিত্রই হয়নি।
(ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়া-১/৪৮৫, যাকারিয়া)

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)

প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
আপনার পূর্বের যে আদত বা নিয়ম ছিল, মাসের যে তারিখ শুরু হত, প্রতি মাসে সেই তারিখ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত আপনি হায়েয গণ্য করবেন।১০ দিন পর অতিরিক্ত সময়কে ইস্তেহাযা গণ্য করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,260 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...